বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
জাতীয় সংসদের বিরোধী দলীয় নেত্রী ময়মনসিংহ-৪ সদর আসনের সংসদ সদস্য বেগম রওশন এরশাদের হস্থক্ষেপে অবশেষে ময়মনসিংহ শিশু হাসপাতালের জমি অধিগ্রহন প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। এর ফলে ২০০ শয্যার শিশু হাসপাতাল পাচ্ছে ময়মনসিংহবাসী।
সূত্র জানায়, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যান মন্ত্রনালয়ের ৪র্থ স্বাস্থ্য ও পুষ্টি সেক্টর কর্মসূচী ফিজিক্যাল ফ্যাসিলিটিজ ডেভেলমমেন্ট র্শীষক অপারেশন প্লানে ময়মনসিংহ শিশু হাসপাতাল অনুমোদন লাভ করে ২০১৭ সালের মার্চে। ওই সময় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় হাসপাতালটি নির্মানের জন্য ৩০ কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছিল। কিন্তু জমি অধিগ্রহন না হওয়ার কারণে র্দীঘ সময় কালক্ষেপন হলে ২০১৯ সালের ২৭ নভেম্বর জাতীয় সংসদের বিরোধী দলীয় নেত্রী বেগম রওশন এরশাদ এমপি স্বাস্থ্য মন্ত্রী এবং স্বাস্থ্য সচিবের কাছে জমি অধিগ্রহনের জন্য এক চিঠি প্রেরণ করেন।
ওই চিঠির পর সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ জমি অধিগ্রহনের জন্য চিঠি চালাচালি করলেও শর্ত অনুযায়ী নগরীর প্রধান সড়কের পাশে এক একর জমি না পাওয়ায় আবারও শুরু হয় জটিলতা। ফলে ফের স্থবির হয়ে পড়ে হাসপাতাল নির্মান কাজ।
জানা যায়, জমি অধিগ্রহন জটিলতার বিষয়টি জানতে পেরে গত ২৭ সেপ্টেম্বর ৫ দফা দাবিতে ময়মনসিংহ জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপি দেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. মোয়াজ্জেম হোসেন বাবুল, অ্যাড. এমদাদুল হক মিল্লাত ও অ্যাড. নজরুল ইসলাম চুন্নু। ওই স্মারকলিপিতে প্রয়োজনীয় ভূমি বরাদ্দের বিষয়টি নিশ্চিত করে প্রস্তাবিত শিশু হাসপাতালটি দ্রুত নির্মাণের কাজ অবিলম্বে বাস্তবায়ন করার দাবি জানান তারা।
বিষয়টি নিশ্চিত করে অ্যাড. নজরুল ইসলাম চুন্নু বলেন, জমি নির্ধারণ জটিলতায় দীর্ঘ দিন জমি অধিগ্রহনের কাজ আটকে থাকলেও অবশেষে শিশু হাসপাতালটি হতে যাচ্ছে। এটি অনেক বড় আশার খবর। আশা করছি দ্রুত সময়ের মধ্যে হাসপাতালটি নির্মাণ হবে।
জেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, জমি নির্ধারণ জটিলতায় প্রায় ৩ বছর আটকে ছিল শিশু হাসপাতাল নির্মাণ কার্যক্রম। সম্প্রতি নগরীর ছত্রাপুর মৌজায় জমি নির্ধারন হবার পর গত ১২ অক্টোবর স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের উপসচিব মুহাম্মদ শাহাদাত খন্দকার স্বাক্ষরিত পত্রে অনুমোদন দেওয়া হয়। ওই পত্রে প্রাথমিকভাবে শিশু হাসপাতালটি ২০০ শয্যার হবে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য বিভাগ।
খবরের সত্যতা নিশ্চিত করে ময়মনসিংহের সিভিল সার্জন ডা. এবিএম মসিউল আলম বলেন, আমি যোগদানের পর জেলা প্রশাসকের প্রচেষ্টায় জমি নির্ধারণ করা হয়েছে। তারই পরিপ্রেক্ষিতে ইতিমধ্যে প্রশাসনিক অনুমোদন পাওয়া গেছে। এখন জমি অধিগ্রহনের জন্য টাকা বরাদ্ধ পেলেই নির্মাণ কাজের অগ্রগতি শুরু হবে। তিনি আরো জানান, প্রাথমিক পর্যায়ে হাসপাতালটি ২০০ শয্যার হবে। তবে পর্যায়ক্রমে এটি ৫০০ শয্যায় উন্নীত করার পরিকল্পনা রয়েছে বলেও জানান তিনি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।