Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ছবি দেখেই এসআই আকবরকে সনাক্ত করলেন সিলেটে পুলিশী নির্যাতনে নিহত রায়হানের চাচা হাবিবুল্লাহ

সিলেট ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ১৩ অক্টোবর, ২০২০, ১:৪৬ পিএম

সিলেট নগরী পুলিশের অন্যতম এলাকা বন্দরবাজার। সেই বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়ি থেকেই রোববার ভোরে ফোন করা হয়েছিলো পুলিশী নির্যাতনে নিহত রায়হান আহমদ (৩৩)-এর মা সালমা বেগমকে। ফোন ধরেছিলেন চাচা ও সৎ বাবা হাবিবুল্লাহ চৌধুরী। রায়হান নিজেই ফোনে কথা বলেছিলেন তখন। আর্তনাদ করে টাকা নিয়ে পুলিশ ফাঁড়িতে আসার জন্য চাচাকে অনুরোধ করেছিলেন রায়হান। ফোন পেয়েই বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়িতে যান হাবিবুল্লাহ চৌধুরী। হাবিবুল্লাহ চৌধুরীর অভিযোগ, ফাঁড়িতে গেলে তার কাছে ১০ হাজার টাকা দাবি করেন এক পুলিশ সদস্য। কিছুক্ষণ পর আরেক পুলিশ সদস্য বলেন, রায়হান অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। তাকে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এরপর ওসমানী হাসপাতালে গিয়ে রায়হানের লাশ দেখতে পান তিনি। ওই সময় পুলিশ ফাড়িতে কর্তব্যরত কারা ? রায়হানকে নির্যাতন করেছিল কারা ? ঘুষের টাকা চেয়েছিলেন কারা ? এসব প্রশ্নের উত্তর এখনো এখন অন্ধকারে। তবে সে রাতে এসআই আকবর হোসেন ভূঁইয়া ফাঁড়িতে উপস্থিত ছিলেন বলে শনাক্ত করেছেন নিহত রায়হানের চাচা হাবিবুল্লাহ চৌধুরী। সোমবার (১২ অক্টোবর) সন্ধ্যায় রায়হানের পরিবারকে দেখতে যান সিলেট সিটি মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী। এসময় এসআই আকবর হোসেন ভূঁইয়ার ছবি দেখে শনাক্ত করেন হাবিবুল্লাহ। এরপর তিনি বলেন, সকালে ফাঁড়িতে যাওয়ার পর এক পুলিশ সদস্য আমার কাছে ১০ হাজার টাকা চান। এসময় পাশেই দাঁড়িয়ে ছিলেন এস আই আকবর। তখন তিনি সাদা পোষাকে ছিলেন ও মুখে মাস্ক পড়া ছিলো। তিনি আমাকে বলেন- রায়হান অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। তাকে ওসমানী হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। আমাদের পুলিশ সদস্যরাও সেখানে আছে। আপনি হাসপাতালে চলে যান। এদিকে, রোববার ভোরে রায়হানের মার কাছে টাকা দাবি করে ফোনটি করা হয়েছিলো বন্দরবাজার ফাঁড়ির কনস্টেবল তৌহিদ মিয়ার মোবাইল থেকে। রোবারবার থেকে মিডিয়ায় বিষয়টি আলোচিত হতে থাকলেও সোমবার পুলিশের পক্ষ থেকে তা স্বীকার করা হয়।

এই ঘটনার তদন্তের দায়িত্বে থাকা সিলেট মহানগর পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার (উত্তর) আজবাহার আলী শেখ বলেন, কনস্টেবল তৌহিদ মিয়ার মোবাইল ফোন থেকে রায়হানের পরিবারে কল করা হয়েছিলো। তবে ফোন করে ঠিক বলা হয়েছিলো, টাকা দাবি করা হয়েছিলো কি-না, সেটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। রায়হান হত্যার ঘটনায় রোববার মধ্যরাতে স্ত্রী তাহমিনা আক্তার তান্নি বাদি হয়ে কতোয়ালি থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। মামলায় কোনো আসামির নাম উল্লেখ না করলেও ফাঁড়ির ভেতরে পুলিশের নির্যাতনে রায়হানকে হত্যা করা হয় বলে অভিযোগ করা হয়েছে।



 

Show all comments
  • Amir Hossain. ১৪ অক্টোবর, ২০২০, ৯:১৮ এএম says : 0
    খুবই দুঃখজনক । এই পুলিশদের কি ট্রেনিং দেয়া হয় বুঝি না । তারা চাকুরি করে । এভাবে মানুষ পিটিয়ে মারার মত মন মানসিকতা বা সাহস কি করে হয় ? আইজি সাহেব এগুলির কোন ব্যাবস্থা করেন না কেন ? শুধু সাফাই গেয়ে পার পেয়ে যাচ্ছেন । শেষ বিচারের দিন কি জবাব দিবেন ? এখন সে কথাটি একটু ভাবুন ।
    Total Reply(0) Reply
  • Dr Faruque ১৪ অক্টোবর, ২০২০, ৬:২২ পিএম says : 0
    Only IGP ka amar request ki bolben apni
    Total Reply(0) Reply
  • Ashraf ১৪ অক্টোবর, ২০২০, ৬:২৫ পিএম says : 0
    আগে মানুষ টাকার জন্য রাজনীতি করত আর এখন মানুষ টাকার জন্য পুলিশে চাকরি নেয়।বাংলাদেশে ঘুষ যদি বন্দ করা হয় তবে অপরাধ বন্ধ করা যাবে।
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ