বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
পদ্মা ইসলামী লাইফ ইন্সুরেন্স লিমিটেড এর ৫২ গ্রাহকের প্রায় আড়াই লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ করেছে গ্রাহকরা। কুষ্টিয়া জোন অফিসের ইনচার্জ আবু সালেহ এর বিরুদ্ধে এ অভিযোগ করেছে কোম্পানীর সদস্যরা। ৪/৫ বছর পূর্বে গ্রাহকদের সঞ্চিত বীমার মেয়াদ উত্তীর্ণ হলেও তাদের টাকা পরিশোধ করছে না।
আবু সালেহ বিভিন্ন অজুহাত দেখিয়ে গ্রাহকদের মাসের পর মাস ঘুরাচ্ছে। উপরন্তু টাকা চাইলে গ্রাহকদের বিভিন্নভাবে হুমকি দেওয়া হয়। একদিকে গ্রাহকদের ন্যায্য পাওনা অপরদিকে হয়রানীর সঠিক বিচার ও ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি করেছে গ্রাহকরা।
জানা যায়, পদ্মা ইসলামী লাইফ ইন্সুরেন্স লিমিটেড কুষ্টিয়া জোনের অধীনে বিভিন্ন এলাকায় কাজ শুরু করে। এর মধ্যে পোড়াদহ এলাকার শোন্দাহ, বাগডাঙ্গা, খোর্দ আইলচারা, নলকোলা, ঝাউদিয়া, নাজিরপুর, বালিয়াশিশাসহ কয়েকটি গ্রামের লোকজন বীমা করে। সম্পদ সঞ্চয়, গচ্ছিত রাখার জন্য গ্রামের দরিদ্র শ্রেণির লোকজন বীমা করে। কিন্তু অসাধু কর্মকর্তারা কোম্পানীর নিয়মনীতি অমান্য করে গ্রাহকদের কাছে থেকে বিভিন্ন নামে টাকা আদায় করে।
পাশ বই জমা, নির্বাহী রশিদ জমা এবং চেক নেওয়ার সময়সহ বিভিন্নভাবে টাকা নেন কর্মকর্তারা। এছাড়াও নির্বাহী রশিদ থেকে কর্তন করেন। বীমার মেয়াদ পূর্তি হলেও তিনি হেড অফিসে কাগজপত্র পাঠান না। অফিস ইনচার্জ আবু সালেহ কাগজপত্রে ভুলত্রæটি দেখিয়ে অফিসে কাগজপত্র রেখে দেন। গ্রাহকদের নিকট সুযোগ সুবিধা গ্রহণের জন্য দিনে পর দিন ঘুরান। গ্রাহকরা তার কথায় সম্মতি হয়ে সুযোগ সুবিধা দিলে তিনি তাদের কাজ দ্রæত করে দেন।
তিনি এখনও ৫২ সদস্যের ২ লাখ ৩৪ হাজার ৭ শত ৮০ টাকা দিচ্ছে না। সদস্যদের মেয়াদ পূর্তির কাগজপত্র হেড অফিসে পাঠালে তারা টাকা পরিশোধের জন্য সকল ব্যবস্থা করে কুষ্টিয়া অফিসে পাঠায়। কুষ্টিয়া অফিসের ইনচার্জ ব্যাংক ভাউচার ছাড়াই টাকা পরিশোধ করতে চাইলেও আজ পর্যন্ত কোন সদস্যের টাকা পরিশোধ করেনি।
এতে চরম ক্ষোভ প্রকাশ করেছে পদ্মা ইসলামী লাইফ ইন্সুরেন্স লিমিটেড এর কুষ্টিয়া পোড়াদহ এলাকার ৫২ জন সদস্য।
এ ব্যাপারে কুষ্টিয়া জোন অফিসের ইনচার্জ আবু সালেহ এর ফোনে কথা হলে তিনি জানান, যারা টাকা পায়নি তাদেরকে কুষ্টিয়া অফিসে লিখিত অভিযোগ করতে বলেন। ব্যবস্থা গ্রহণ করছি।
পদ্মা ইসলামী লাইফ ইন্সুরেন্স লিমিটেড এর কুষ্টিয়া অফিসের কর্মকর্তাদের কারণে কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা, কুমারখালী, দৌলতপুর,মিরপুর, মেহেরপুর, গাংনী ও পাবনা জেলার শত শত গ্রাহকরা টাকা জমা দিয়ে মেয়াদ পূর্তি হলেও টাকা ফেরত পাচ্ছেনা। আবু সালেহ এর কারণে গ্রাহকরা হয়রানী শিকার হচ্ছে। এসব টাকা উদ্ধারে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছে গ্রাহক ও মাঠ পর্যায়ের কর্মীরা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।