প্রাক্তন প্রেমিকের নির্যাতনের শিকার অভিনেত্রী
মালায়ালাম সিনেমার অভিনেত্রী আনিকা বিক্রমন। প্রাক্তন প্রেমিক অনুপ পিল্লাই তাকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করেছেন বলে অভিযোগ
২০১৯ সালে মুক্তি পাওয়া প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বায়োপিক ফের মুক্তি পাচ্ছে বড়পর্দায়। করোনার আতঙ্ক কাটিয়ে আগামী ১৫ অক্টোবর সিনেমা হল খোলার দিনই মুক্তি পাবে পিএম মোদি।
ছবিটির প্রযোজক সন্দীপ সিংয়ের মতে, গত বছর লোকসভা নির্বাচনের শেষ দফার পর ছবিটি যখন মুক্তি পায় তখন রাজনৈতিক চাপানউতোরের কারণে অনেকেই এটি দেখতে পারেননি। সেজন্যই ছবিটি পুনরায় বায়োপিক মুক্তির সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি।
তিনি বলেন, “প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী দেশের সর্বকালের সেরা প্রধানমন্ত্রী। ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে যা প্রমাণিত হয়েছে। তাঁর জীবন সম্পর্কে জানার মতো ভাল কাজ আর কী হতে পারে! তাই যেদিন সিনেমা হলগুলি খুলবে সেদিন ফের একবার ইতিহাস তৈরি হবে। আমি চাই গোটা দেশের মানুষ ফের একবার প্রধানমন্ত্রী জীবন দর্শন জানুক।”
তবে রাজনৈতিক মহলে চলছে ভিন্ন কথা। তাদের মতে, বিহার নির্বাচনের গিমিক হিসাবে ফের ছবিটিকে রিলিজ করা হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী-সহ বিজেপির ভাবমূর্তি রক্ষার জন্যই এমনটা করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে কানাঘুষো চলছে।
এই ছবিটির পরিচালক উমঙ্গ কুমার। ছবিটিতে মোদীর ভূমিকায় অভিনয় করেছিলেন বিবেক আনন্দ ওবেরয়, এছাড়াও ছিলেন বোমান ইরানি, দর্শন কুমার, মনোজ যোশী, প্রশান্ত নারায়ণন, জারিনা ওয়াহাব, বরখা বিস্ত সেনগুপ্ত, অঞ্জন শ্রীবাস্তবের মতো তারকারা।
গতবছর মুক্তি পাওয়া বায়োপিকটি একেবারেই ব্যবসা সফল ছিলনা। ছবিটিতে নরেন্দ্র মোদীকে দেখানো হয়েছিল মহান হিসাবে আর সেই সাথে মনমোহন, সোনিয়া-সহ বিরোধীদের দেখানো হয়েছে খারাপ ভাবে। যা দর্শকদের পছন্দ হয়নি। তাছাড়া ছবিতে মোদীর স্তুতি ছাড়া আর কিছুই দেখার মতো ছিল না।
তাহলে প্রশ্ন থেকে যায়, কেন আবার একই মুভি পুনরায় মুক্তি পেতে চলেছে! সমালোচকের মতে, এর একটা কারণ সুশান্ত মৃত্যু তদন্ত থেকে নিস্তার পাওয়ার চেষ্টা করছেন তাঁর বন্ধু সন্দীপ সিং।
অন্যভাবে দেখতে গেলে বিহার ভোটের ইস্যু এবং সেই সাথে বিজেপির চাপেও মোদীর বায়োপিক ফের রিলিজ করতে পারেন সন্দীপ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।