বিএনপি নেতা সাজুর তত্ত্বাবধানে বিজয় দিবস র্যালিতে বিপুল নেতাকর্মীর অংশগ্রহন
ঢাকা-১৪ আসনের বিএনপি মনোনীত সংসদ সদস্য প্রার্থী ও দারুসসালাম থানা বিএনপির সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এস
কেন্দ্রে যাওয়ার পর যদি ভোট না দিতে দেয় তাহলে ১৭ তারিখ রাত ১২ টা থেকে ঢাকা-কক্সবাজার, ঢাকা-সিলেট রুটে কোন গাড়ি চলবে না বলে ঘোষণা দিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। তিনি বলেন, আন্দোলন ছাড়া কোন পথ নাই। ভদ্র ভাষায় কথা বললে তারা বুঝে না। গণতন্ত্রের ভাষা তারা বুঝে না। মানবতাবোধ বলতে তাদের কিছু নেই। তারা আছে পুলিশের ওপর ভর করে টিকে আছে। অতীতে অনেক অপকর্ম করে হজম করলে এবার বদহজম হবে। রোববার রাজধানীর ডেমরার সারুলিয়া এলাকায় ঢাকা-৫ এর উপ-নির্বাচনে বিএনপি প্রার্থী সালাহউদ্দিন আহমেদের নির্বাচনী মিছিলপূর্ব এক পথসভায় তিনি এসব কথা বলেন।
এর আগে বেলা ১১টায় পথসভা শুরু হওয়ার কথা থাকলেও সকাল ১০ টা থেকে ঢাকা-৫ এর নির্বাচনী এলাকার বিভিন্ন জায়গা থেকে খ- খণ।ড মিছিল নিয়ে সভাস্থলে আসতে থাকেন দলীয় নেতাকর্মীরা। পরে পথসভা শেষে কেন্দ্রীয় নেতাদের উপস্থিতিতে অর্ধশত মটোরসাইকেলসহ নির্বাচনী র্যালীতে অংশ নেয় কয়েক হাজার নেতাকর্মী। এসময় র্যালির সামনে পেছনে পুলিশের কয়েকটি গাড়ি ও মটরসাইকেল নিয়ে তারা র্যালির নিরাপত্তা নিশ্চিত করেন। র্যালিটি সারুলিয়া রানীমহল সিনেমা হল থেকে শুরু হয়ে ডাগাইর, পশ্চিম ডগাইর, কোনাপাড়া, মাতুয়াল কবরস্থানসহ বিভিন্ন এলাকা ঘুরে শনিরআখরা মৃধাবাড়ি এলাকায় এসে শেষ হয়।
গয়েশ্বর চন্দ্র বলেন, পিলখানার ৫৬ জন চৌকস সামরিক কর্মকর্তা জীবন দিলো এটাও সরকার হজম করে ফেলেছে। শেয়ার মার্কেট থেকে ৮৬ হাজার কোটি টাকাও হজম করে ফেলেছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ এর ৬০০ কোটি টাকা সেটাও হজম। খুন,গুম, নারী-ধর্ষণ এরকম হাজার বিষয় হজম। হজম শক্তিটা এমন হয়েছে যে আমি সরকারকে বলবো ১৭ তারিখের নির্বাচনে তালবাহানা করলে কিন্তু বদহজম শুরু হবে। তখন কিন্তু হাসপাতালে নিতে হবে সরকারকে।
বিএনপির এই নেতা বলেন, ১৯৭০ এর নির্বাচনে ভোটের ফলাফল না মানার কারনে আমরা যদি অস্ত্র হাতে যুদ্ধ করতে পারি, আমার মায়ের সম্ভ্রম নষ্ট হতে পারে, আমার পাশ থেকে আমার ভাই শহীদ হয় তবে আজকের ৫০ বছর পরে পাক বাহিনী যে কা-টা করেছে সেটা কি দেখতে চাই? প্রশ্ন জাগতে পারে পাক বাহিনী আসলে কোথা থেকে? পাক বাহিনী না আসলেও তাদের প্রেতাত্মা আসছে। ফলে নারী ধর্ষণ হচ্ছে, শিশু ধর্ষণ হচ্ছে। পাকিস্তানিরাও কিন্তু নয় মাস যুদ্ধ চলাকালীন সময়ে আমাদের মা-বোনদের ইজ্জত নষ্ট করেছে। কিন্তু আমাদের ছোট ছোট শিশুদের বা ৭০ বছরের বৃদ্ধাদের সম্ভ্রমহানী করেছে এমন সংবাদ আমরা পাইনি। এখন নয় থেকে নব্বই কারো রেহাই নাই। ৭১ এ যুদ্ধকালীন সময়ে পাক বাহিনীর যে বর্বরতা ছিলো তার চাইতেও কিন্তু কঠিন বর্বরতা চলছে এখন। প্রতিদিন খবরের কাগজ খুললেই আমরা সেটা দেখতে পাই।
বিএনপি প্রার্থী সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ১৭ তারিখ ভোটকেন্দ্রে উপস্থিত থেকে আপনাদের ভোট আপনারা দিবেন। এই সরকার আপানাদের ভোট হরণ করেছিলো। আর সেটা করার পেছনে কারন একটাই তারা গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না। তাই আপনাদের হরণকৃত ভোট আমরা আবার প্রতিষ্ঠিত করতে চাই। আগামী ১৭ তারিখ নির্বাচনে আমাদের সাংবিধানিক অধিকার, গণতান্ত্রিক অধিকার।
তিনি বলেন, আমরা যখনই কোন কিছু করি নির্বাচন কমিশন তখনই আমাদের বাঁধা দেয় অথচ আমার প্রতিপক্ষকে কোন বাঁধা দেয় না। আমি নির্বাচন কমিশনকে অনুরোধ করবো একটা নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে করেন। যদি এই নির্বাচনে কোন কারচুপি করার চেষ্টা করা হয় তাহলে এখান থেকেই এই সরকার পতনের আন্দোলন ডাকা হবে এবং সে আন্দোলন এই নির্বাচন কমিশন পতনেরও আন্দোলন হবে।
বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল বলেন, এই সরকারের উন্নয়ন হলো খুন, গুম, হত্যা ও ধর্ষণের উন্নয়ন। তাই আসুন শহীদ জিয়ার ধানের শীষে, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার ধানের শীষে ভোট দিয়ে গণতন্ত্রকে পুনঃপ্রতিষ্ঠা করি।
আরেক যুগ্ম মহাসচিব হাবিব উন নবী খান সোহেল বলেন, আকাশের সূর্য পশ্চিম দিকে উঠে পূর্ব দিকে অস্ত যায় এটা বিশ্বাস যোগ্য হতে পারে, যদি বঙ্গোপসাগরের পানি একরাতে শুকিয়ে যায় এটাও সম্ভব হতে পারে। তবে আওয়ামীলীগ ও সুষ্ঠু নির্বাচন কখনো সম্ভব না। আগে ভোটের দিন ভোট কেন্দ্রে যেতো জনগণ, এখন যায় চতুষ্পদ প্রাণী। তিনি বলেন, আগামী ১৭ অক্টোবর কোন টালবাহানা সহ্য করা হবে না। যদি নির্বাচন কমিশন তাদের তাদের দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হয় তবে তাদের বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করানো হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।