Inqilab Logo

শনিবার ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৬ আশ্বিন ১৪৩১, ১৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরী

১৯ কোটি টাকার নির্মানাধীন ত্রুটিপুর্ন সড়ক

সাংবাদিক দেখেই দে- ছুট তদন্ত টিমের কর্মকর্তারা

কালীগঞ্জ (ঝিনাইদহ) উপজেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ৯ অক্টোবর, ২০২০, ৯:২৭ পিএম

১৯ কোটি টাকার নির্মানাধীন ত্রুটিপুর্ন সড়কের তদন্তে এসে সাংবাদিক দেখেই তড়িঘড়ি ঘটনাস্থল ত্যাগ করলেন তদন্ত টিমের কর্মকর্তারা। এ সময় ঘটনাস্থলে দাড়িয়ে থাকা ঝিনাইদহ সদর ও কালীগঞ্জ উপজেলার ইউএনও সহ স্থানীয় সাংবাদিকরা হতবাক হয়ে পড়েন। শুক্রবার বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে কালীগঞ্জ গান্না সড়কের আলাইপুর নামক স্থানে এ ঘটনা ঘটে। উল্লেখ্য’ নির্মাণের ৭ দিনের মাথায় ১৯ কোটি টাকার নতুন রাস্তাটির কার্পেটিং উঠে যাচ্ছে মর্মে সমকাল সহ বিভিন্ন গনমাধ্যমে খবর প্রকাশ হয়। এরই প্রেক্ষিতে সড়ক ও জনপথ বিভাগের হেড অফিস থেকে ৩ সদস্যের একটি তদন্ত টিম ঘটঁনাস্থলে আসেন শুক্রবার।
ঢাকা থেকে আসা তদন্ত টিমের সাথে উপস্থিত কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার সূবর্না রানী সাহা জানান, তদন্ত টিমের কর্মকর্তারা কালীগঞ্জ থেকে গান্না হয়ে ঝিনাইদহের ডাকবাংলা পর্যন্ত ২২ কিলোমিটার নির্মানাধীন ত্রুটিপুর্ণ সড়কটি সরেজমিনে দেখতে আসেন। পথিমধ্যে তিনিও ওই টিমের সাথে যোগ দেন। তারা ওই সড়কের কাদিরকোল নামকস্থানে নেমে সড়কের কিছু নমুনা সংগ্রহ করেন। এরিমধ্যে হাজির হন স্থানীয় সাংবাদিকগন। সাংবাদিকগন তদন্ত টিমকে জানান, এখান থেকে আরো আধা কিলোমিটার দুরে সড়কটিতে পুরো কার্পেটিং উঠে যাচ্ছে। এ কথা শুনে টিমের কর্মকর্তারা সাংবাদিকদের ওইস্থানে আসতে বলেন। কিন্তু তাদের কথামত সাংবাদিকরা ওইস্থানে গিয়ে দাড়িয়ে থাকলে ঢাকার টিমটি সেখানে না থেমে জোরসে গাড়ী চালিয়ে চলে যায়।
এরপর সন্ধ্যায় সাংবাদিকগন কালীগঞ্জ ইউএনওর মুঠোফোনে আগত ওই তদন্ত টিমের সদস্যদের পরিচয় সহ বিষয়টি জানতে চাইলে তিনি তাদের নাম, সংখ্যা বা কোন দপ্তর থেকে এসেছে তার কিছুই জানাতে পারেননি। তবে এ বিষয়ে ওই তদন্ত টিম সন্ধ্যা ৭ টার পর ঝিনাইদহ সার্কিট হাউজে ব্রিফিং করবেন বলে জানান।
উল্লেখ্য, কালীগঞ্জ থেকে গান্না হয়ে ঝিনাইদহের ডাকবাংলা পর্যন্ত ২২ কিলোমিটার এ রাস্তার মজবুতিসহ ওয়ারিং এর কাজ চলছে তিন বছর ধরে। এরিমধ্যে তিন কিলোমিটার পিচ কার্পেটিং কাজ সম্পন্ন করেছিল। কিন্তু ৭ দিনের মধ্যে ওই সড়কের শ্রীরামপুর এলাকার প্রায় এক কিলোমিটার অংশে রাস্তার পিচ ঢালাই উঠে যায়। এছাড়া কোথাও বড় বড় ফাটলের সৃষ্টি হয়। এ নিয়ে সে সময়ে সমকাল সহ বিভিন্ন পত্রিকাতে অনিয়মের খবর প্রকাশ হয়। এর দুইদিন পর কতৃপক্ষের নির্দ্দেশে রাস্তার কিছু অংশ ভেকু গাড়ী দিয়ে তুলে ফেলা হয়েছে।
খোজ নিয়ে জানা গেছে, টেন্ডারে ওই রাস্তার কাজটি পান খুলনার মুজাহার এন্টার প্রাইজ নামের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। যার নির্মান ব্যয় ধরা হয় ১৯ কোটি টাকা। কিন্তু হাত বদল হয়ে রাস্তার কাজটি করছেন ঝিনাইদহের ঠিকাদার মিজানুর রহমান মাসুম মিয়া।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ