ইবি ভিসির অফিসে তালা, অডিও ক্লিপ বাজিয়ে আন্দোলন
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) ভিসি প্রফেসর ড. শেখ আবদুস সালামের অডিও ফাঁসের ঘটনায় তৃতীয় দিনেও ভিসি
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ধর্ষণবিরোধী আন্দোলন ও ধর্ষণের সেঞ্চুরি উদযাপন করা জাবি ছাত্রলীগের তৎকালীন সাধারণ সম্পাদক জসিম উদ্দিন মানিককে নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর উপ-প্রেস সচিব আশরাফুল আলম খোকন মিথ্যাচার করেছে বলে দাবি করেছে জাবি শাখা ছাত্রদল।
শুক্রবার শাখা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহিম সৈকত স্বাক্ষরিত গণমাধ্যমে পাঠানো এক প্রেস বিবৃতিতে তারা এই দাবি করে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান।
বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়, গত ৭ই অক্টোবর প্রধানমন্ত্রীর উপ-প্রেস সচিব আশরাফুল আলম খোকন তার ফেসবুক পেইজ থেকে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ধর্ষণবিরোধী আন্দোলন ও ধর্ষণের সেঞ্চুরি উদযাপন করা জাবি ছাত্রলীগের তৎকালীন সাধারণ সম্পাদক জসিম উদ্দিন মানিককে নিয়ে একটি পোস্ট করেন। এতে তিনি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ধর্ষণ বিরোধী আন্দোলনের গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাস বিষয়ে ও ধর্ষক মানিকের সাথে ছাত্রদলকে জড়িয়ে নির্লজ্জ মিথ্যাচার করেছেন এবং বানোয়াট ও মনগড়া কাহিনী তুলে ধরে বর্তমান প্রজন্মকে ছাত্রলীগের সেই অপকর্মের বিষয়ে বিভ্রান্ত করার অপপ্রয়াস চালিয়েছেন। একটি দায়িত্বশীল পদে থেকে আশরাফুল আলম খোকনের এমন জঘন্যতম মিথ্যাচারের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানায় জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদল।
বিবৃতিতে বলা হয়, আশরাফুল আলম খোকন তার লেখায় বলেছেন, বহুল আলোচিত সেই ধর্ষক জসিম উদ্দিন মানিক প্রথমে শহীদ সালাম বরকত হল শাখা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক এবং পরে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের ‘সাবির বাবু-আসাদ কমিটির’ সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন। কিন্তু প্রকৃত সত্য হল, জসিম উদ্দিন মানিক শহীদ সালাম বরকত হলের ছাত্রই ছিলেন না। তিনি ছিলেন মীর মোশাররফ হোসেন হলের আবাসিক ছাত্র। ১৯৯৩-৯৪ সালে শহীদ সালাম বরকত হল শাখা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন একরামুল খবির স্বপন (পরিসংখ্যান বিভাগ)। আর বিশ্ববিদ্যালয় কমিটির কথিত ‘সাবির বাবু’ একই ব্যক্তি ছিলেন না। বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সেই সাবির-আসাদ কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন সাইদুর রহমান বাবু।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদল চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিচ্ছে, জসিম উদ্দিন মানিক নামের কেউ কোনদিন শহীদ সালাম বরকত হল শাখা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক কিংবা বিশ্ববিদ্যালয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক ছিল না। আমরা মনে করি, সরকারী দলীয় নেতাকর্মীদের একের পর এক নারী নিপীড়নের ঘটনায় যখন দেশজুড়ে প্রতিবাদের জোয়ার বইছে, মানুষ যখন প্রতিবাদ করতে রাস্তায় নেমে আসছে, তখন দেশবাসীর মনযোগকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করা এবং তরুণ প্রজন্মকে ছাত্রলীগের এসব অপকর্মের বিষয়ে বিভ্রান্ত করার উদ্দেশ্যেই সরকারের দায়িত্বশীল পদে থেকে পরিকল্পিত মিথ্যাচার করা হচ্ছে।
বিবৃতিতে শাখ ছাত্রদল আরও বলেন, আজ প্রায় দুই যুগ পর সরকারের গুরুত্বপূর্ণ একজন ব্যক্তি তাকে নির্দোষ প্রমাণ করতে গিয়ে ইতিহাস বিকৃত করে মিথ্যা তথ্য প্রকাশের মাধ্যমে নিজ দলের ধর্ষকদেরকে উৎসাহিত করছেন বলে আমরা মনে করি। এভাবে ইতিহাস বিকৃত করে মিথ্যা ও মনগড়া তথ্য প্রকাশ করায় জনাব আশরাফুল আলম খোকনকে তার বক্তব্য প্রত্যাহার করে জাতির কাছে ক্ষমা চাওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। অন্যথায় জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদল দেশের মানুষকে সাথে নিয়ে ইতিহাস বিকৃতির এসব অপচেষ্টার সমুচিত জবাব দিবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।