পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
সরকারের মন্ত্রীদের বিবেক, মানবিকতা, লাজ-লজ্জা থাকলে কান ধরে উঠবস করতো বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেন, বেগমগঞ্জের নারী নির্যাতনের ঘটনা চরম জঘণ্য। যার বিবরণ দেয়ার কোনো ভাষা খুজে পাওয়া যায় না। নারীটিকে লজ্জা নিবারণ করতেও দেয়নি অপরাধীরা। এরাই (সরকার) হচ্ছে নারী ও শিশু নিপীড়নের পৃষ্ঠপোষক। তা না হলে নারী শিশুদের ওপর কেনো নির্যাতনের বাড়-বাড়ন্ত হবে? নাটোরের বড়াইগ্রামে উপজেলা চেয়ারম্যান বাবুর হত্যকা-ের চার্জশিট দেয়া হয়নি। কারণ হত্যকারীদের বাঁচাতে চায় সরকার। তারা তাদের লোক। আজকে প্রত্যেকটি হত্যকান্ডের সাথে তাদের লোক জড়িত। প্রতিদিনি খবরে তাদের নাম আসছে। ওবায়দুল কাদের, হাছান মাহমুদ আপনাদের টনক নড়েনা। আসলে আপনাদের যদি বিবেক থাকতো, মানবতা ও লজ্জা থাকতো তাহলে আপনারা প্রতিদিন কান ধরে উঠ বস করতেন।
দেশব্যাপী অব্যাহত পৈশাচিক নারী ও শিশু নির্যাতন ও ধর্ষণের প্রতিবাদে শুক্রবার (০৯ অক্টোবর) জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের উদ্যোগে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আয়োজিত মানববন্ধনে তিনি এসব কথা বলেন।
রিজভী বলেন, আজকে ভয়ংকর দু:সময় যাচ্ছে। একেবারে যাকে বলে নৈরাজ্য। কারো কোনো নিরাপত্তা থাকবে না। মা বোন কারো নিরাপত্তা থাকবে না। বাজার করতে গেলে মানুষের টাকা কেড়ে নেয়া হবে। যেখানে সেখানে লাশ পড়ে থাকবে। এটাই নৈরাজ্য। যাকে ফরাসী বিপ্লবের সময় বলা হয়েছিল ‘রেইন অব টেরর’ বা ত্রাসের রাজত্ব।
তিনি বলেন, এই সরকার টিকে থাকবে না। মন্ত্রীদের আসফালনও থাকবে না। এটি একটি বিয়োগান্ত ঘটনার দিকে যাবে ক্ষমতা হারিয়ে। আপনাদের এই অনাচার ও নারীর সম্ভ্রমহানিকে প্রশ্রয় দেয়ার জন্য। আপনারা চারিদিকে ব্যর্থ। পানি বলেন, বিদ্যুত বলেন সব ক্ষেত্রে নৈরাজ্য।
রিজভী বলেন, এরপরও ব্যর্থতা ঢাকার জন্য জনগণের দৃষ্টি ভিন্ন দিকে নিয়ে যান। আজকে মানুষের ওপর এতো নিপীড়ন নির্যাতন হচ্ছে। সবগুলোর সাথে সরকারের লোকেরা জড়িত। এটা বাড়িয়ে কিংবা হাওয়া থেকে বলা? না। এরপরও আওয়ামী লীগের নেতাদের গলা থেকে কথা বের হয় কী করে। এরা লাজ লজ্জার পোশাক নদীতে ফেলে দিয়েছে।
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, তারা লাজ-সম্ভ্রম বিসর্জন দিয়েছে বলেই হত্যাকারীরা, ধর্ষকরা সরকারের প্রশ্রয়ে লালিত পালিত হয়েছে। আসলে যে সরকার প্রধান বলেন- ‘একটা মারলে তোমরা দশটা মারবে’। তবে তো সব অপরাধীরা তাদের দলেই যোগদান করবে।
রিজভী বলেন, আজকে নারী নিপীড়নের বিরুদ্ধে এই প্রতিবাদ থামলে চলবে না। এই প্রতিবাদ ছড়িয়ে দিতে হবে ইথারে ইথারে। এবার প্রতিবাদ নয় প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। যত বাধা-বিপত্তিই আসুক।
জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের সভাপতি আফরোজা আব্বাসের সভাপতিত্বে ও সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হেলেন জেরিন খানের পরিচালনায় মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, মহিলা দলের নেত্রী নিলোফার চৌধুরী মনি, শাম্মি আখতার, শিরিন সুলতানা, ছাত্রদলের সাবেক কেন্দ্রীয় নেত্রী আরিফা সুলতানা রুমা প্রমুখ।
-
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।