পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
শুধু নারী নয়, সরকারের হাতে গোটা দেশ ধর্ষিত হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, বাংলাদেশে যে নারী নির্যাতন, ধর্ষণের সংখ্যা বেড়ে গেছে সে বিষয়ে অত্যন্ত উদ্বিগ্ন হয়ে স্টেটমেন্ট দিয়েছেন জাতিসংঘের মহাসচিব। এটা একটা বিরল ঘটনা। এই স্টেটমেন্টে বাংলাদেশের মানুষের সম্মান, ইজ্জত মাটির সাথে মিশে গেছে। আজকে এই সরকার শুধু নারী নির্যাতন, নারী ধর্ষণ নয়, সমস্ত বাংলাদেশকে ধর্ষণ করছে। এই স্টেটমেন্ট তার বড় প্রমাণ। গতকাল বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ধর্ষণ ও নারী নির্যাতনের প্রতিবাদে নারী ও শিশু অধিকার ফোরাম আয়োজিত মানববন্ধনে তিনি এসব কথা বলেন।
বেগমগঞ্জের ঘটনার প্রসঙ্গে মির্জা ফখরুল বলেন, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক স্বীকার করেছেন এর দায় এড়াতে পারেন না। পারবেন না। পারবেন কোত্থেকে। আপনারা যে সরকার তৈরি করেছেন সেই সরকারের সঙ্গে জনগণের কোনো সম্পর্ক নেই। জোর করে গায়ের জোরে বন্দুক-পিস্তল নিয়ে আগের রাত্রে ভোট ডাকাতি করে ক্ষমতা দখল করেছেন। আপনারা ম্যান্ডেটবিহীন সরকার, নৈতিকতা বিরোধী সরকার। আপনাদের কোনো অধিকার নেই ক্ষমতায় থাকার।
তিনি বলেন, ১৯৭৫ সালের মতো একদলীয় ‘বাকশাল’ করার জন্য সরকার জনগণের সব অধিকারকে ‘পায়ের তলায়-বুটের তলায় পিষ্ঠ’ করে দিচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে কি কেউ কোনো দিন টিকে থাকতে পারে? ইতিহাস এই কথা বলে না। মানুষ উঠে দাঁড়াবেই।
মা-বোন ও তরুণদের উদ্দেশ্যে বিএনপি মহাসচিব বলেন, আপনাদের প্রতি যে অন্যায়-অবিচার চলছে, এই অন্যায়-অবিচারের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ান। আর ঘরে বসে থাকা নয়, আমাদেরকে এই অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে হবে। বিশেষ করে তরুনদেরকে আহবান জানাবো- আপনাদের জেগে উঠতে হবে।
মির্জা ফখরুল বলেন, বুধবার শাহবাগের সামনে একটি ব্যাংকের ভাইস প্রেসিডেন্ট বক্তব্যে বলেছেন, শুধুমাত্র অন্যায় প্রস্তাবের আমি রাজি না হওয়ার কারণে তাকে ব্যাংক থেকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে। কী সমাজ তৈরি করেছে তারা? এদেরকে তো কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হবে। আমরা বার বার বলেছি, আপনাদের (সরকার) শুধু বুদ্ধির উদয় হোক, আসেন, কথা বলেন। রাজপথে দেয়ালের ভাষা পড়েন, মানুষের চোখের ভাষা বুঝতে শিখেন। এদেশের মানুষ মুক্ত স্বাধীন বাংলাদেশ চায়।
সরকার সুশাসন, নারী নির্যাতনমুক্ত, নারীর নিরাপত্তা, মানুষের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হয়েছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, অবিলম্বে পদত্যাগ করুন। পদত্যাগ করে একটা নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নিরপেক্ষ নির্বাচন করে জনগণের সরকার গঠন করবার সুযোগ গ্রহণ করেন। অন্যথায় কবি নির্মলেন্দু গুনের কবিতার মতো বলতে চাই-কোন দিকে পালাবে তুমি। কোনো দিকে পথ নাই। এসময় তিনি সকলকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহŸান জানান।
স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, মানুষ এখন বাঁচতে চায়, তারা চুরি-চামরী-লুটপাট,দখলবাজী-মামলা-মোকাদ্দমা, শিশু-নারী নির্যাতন-ধর্ষণ নির্মুল ভ্যাকসিন চায়। শেখ হাসিনাকে বিদায় দেয়ার নামই হলো নির্মূল ভ্যাকসিন। এই ভ্যাকসিন এখন জনে জনে, ঘরে ঘরে, নারী পুরুষ-শিশুকে এক ডাকে এক যোগে এক কথায় বলতে হবে যে, ‘শেখ হাসিনা কবে যাবে, না শেখ হাসিনা এখনই যাবে।
তিনি বলেন, এই আওয়াজ কিন্তু মাঠে উঠে গেছে। জাতীয় নেতৃত্বের কাছে সারাদেশের মানুষ যে, আশা করছে- আমি বিশ্বাস করে বিএনপির নেতৃত্ব সেই আশা পুরন করবে। বিএনপি সেই আশা পূরনের সূচনা নিয়ে রাস্তায় নেমেছে। আর রাস্তা থেকে ঘরে যাবে না। এই আস্থা ও বিশ্বাস রাখুন।
নাগরিক ঐক্যের আহŸায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, আওয়ামী লীগ এখন ডাকাতদের দল, লুটেরাদের দল, ধর্ষকদের দল। যখন সারাদেশের মানুষ প্রতিবাদ করতে শুরু করেছে তখন আওয়ামী ছাত্র লীগ, আওয়ামী মহিলা যুব লীগ, আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ রাস্তার মধ্যে নেমেছে আমরাও প্রতিবাদ করি, আমরাও ধর্ষকদের বিচার চাই। ফরটুয়ান্টি একেবারে।
তিনি বলেন, সরকারের গদিতে টান লেগেছে। বুঝতে পারছে-এই টানে গদি চলে যেতে পারে। অতত্রব নানারকম টাল্টিভাল্টি করে আন্দোলনকে নষ্ট করতে চায়। এই আন্দোলন চালাতে হবে, থামা যাবে না। থামলে দেখবেন ওদের চেহারা বদলে যাবে।
মান্না বলেন, ওদের পদত্যাগ চাই। কেনো? কারণ ওরা চোরের সর্দার, ওরা ডাকাত, ওরা লুটপাটকারী, ওরা ধর্ষকদের বাপ-মার আশ্রয়দাতা। এই সরকারের হাতে মানুষের জান-মাল-ইজ্জত কোনো কিছু নিরাপদ নাই। এজন্য আমাদেরকে শক্তভাবে দাঁড়াতে হবে। আমাদের দাবি তুই যা। সেই দাবিতে আমাদের আন্দোলন করতে হবে।সমস্ত অন্যায়-অত্যাচারের জন্য রাজপথে লড়াই করতে হবে।
শিশু ও নারী অধিকার ফোরামের আহŸায়ক সেলিমা রহমানের সভাপতিত্বে এবং সদস্য সচিব নিপুণ রায় চৌধুরী ও সদস্য মীর নেওয়াজ আলী নেওয়াজের পরিচালানায় মানববন্ধনে বিএনপির সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, মীর সরফত আলী সপু, মোস্তাফিজুর রহমান বাবু, দেওয়ান মো. সালাহউদ্দিন, খন্দকার আবু আশফাক, সিমকি ইমাম, তমিজউদ্দিন মাস্টার, বজলুল বাসিত আনজু, আবদুল আলিম নকি, এজিএম শামসুল হক, আবদুল কাদির ভুঁইয়া জুয়েল, এসএম জিলানি, ফখরুল ইসলাম রবিন, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সম্পাদক রুহুল কুদ্দুস কাজল প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।