প্রাক্তন প্রেমিকের নির্যাতনের শিকার অভিনেত্রী
মালায়ালাম সিনেমার অভিনেত্রী আনিকা বিক্রমন। প্রাক্তন প্রেমিক অনুপ পিল্লাই তাকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করেছেন বলে অভিযোগ
ইউটিউব সার্চে বলিউড সুপারস্টার শাহরুখ খানকে টপকে গিয়েছেন জনপ্রিয় তুর্কি টেলি-ড্রামা ‘ডিরিলিস: এরতুগ্রুল’ এর প্রধান চরিত্র ‘এরতুগ্রুল’। সম্প্রতি এক টুইট বার্তায় এরতুগ্রুলের প্রযোজক সংস্থা টিআরটি-র একজন সিনিয়র কর্মকর্তা রিয়াদ মিন্টি এ তথ্য জানান।
ভারতে ‘ডিরিলিস: এরতুগ্রুল’ নিয়ে এক গবেষণায় ড্রামাটির এমন জনপ্রিয়তার তথ্য তুলে ধরেছেন হায়দ্রাবাদের মাওলানা আজাদ জাতীয় উর্দু বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই অধ্যাপক। এরতুগ্রুল কীভাবে ভারতে এতটা জনপ্রিয়তা পেল, তা নিয়ে বিশদে সমীক্ষা করেছেন সমাজতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক শাহীদ মিও এবং ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক ইকরামুল হক। অধ্যাপক ইকরামুল হকের বলেন, আজকের ভারতবর্ষে মুসলিমরা যে আত্মপরিচয়ের সঙ্কট বা আইডেন্টিটি ক্রাইসিসে ভুগছেন, সেই শূন্যতার জায়গা থেকেই হয়তো তারা ভিনদেশি এই ঐতিহাসিক উপাখ্যানের সঙ্গে নিজেদের অনেকটা 'রিলেট' করতে পারছেন - আর সে কারণেই এরতুগ্রুল এদেশেও এতটা জনপ্রিয় হয়েছে। গবেষণা রিপোর্টটির অন্যতম লেখক ড. হক বলেন, একটা ফ্যাক্টর তো এটার টানটান গল্প, নাটকীয়তায় ভরা প্লট, দারুণ অভিনয় আর দুর্ধর্ষ স্পেশাল এফেক্টস। এরতুগ্রুল একবার দেখতে বসলে সেটা ছেড়ে ওঠাই মুশকিল। গত মে মাসের মাঝামাঝি এরতুগ্রুলের প্রযোজক সংস্থা টিআরটি-র একজন সিনিয়র কর্মকর্তা, রিয়াদ মিন্টি একটি খুব ইন্টারেস্টিং টুইট করেন। গুগল ট্রেন্ডস থেকে নেয়া একটি গ্রাফ শেয়ার করে তিনি লেখেন, ভারতীয়রা এখন ইউটিউবে শাহরুখ খানের চেয়েও এরতুগ্রুলের ভিডিও অনেক বেশি সার্চ করছে।
অধ্যাপক শাহীদ মিও বলেন, আমি যখন কাশ্মীরি ছাত্রদের আজকাল অনলাইনে ক্লাস নিই, ব্যান্ডউইথের সমস্যায় তারা আমাকে ঠিকমতো শুনতেই পান না। অথচ সেই একই ছাত্ররা আমাকে বলেন, এরতুগ্রুলের একটা এপিসোডও ছাড়া যাবে না। দুর্বল নেট নিয়েই, বাফারিং সহ্য করেই তারা হুমড়ি খেয়ে পড়েন মোবাইল ফোনে এই তুর্কি নাটক দেখার জন্য। ২০১৭ সালের অক্টোবরে নেটফ্লিক্স তুরস্কের এই ঐতিহাসিক ড্রামাটি অনলাইনে স্ট্রিম করতে শুরু করার পরই ভারতে তা প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই তুমুল সাড়া ফেলে।
সূত্র : বিবিসি বাংলা
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।