Inqilab Logo

রোববার ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৭ আশ্বিন ১৪৩১, ১৮ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরী

করোনায় দেশে আরও ২০ মৃত্যু, শনাক্ত ১৪৪১

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৮ অক্টোবর, ২০২০, ৩:৫৯ পিএম

দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে একদিনে আরও ২০ জনের মৃত্যু হয়েছে, আর নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছে ১ হাজার ৪৪১ জন।

বৃহস্পতিবার বিকালে সংবাদমাধ্যমে বিজ্ঞপ্তি পাঠিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে দেশে করোনাভাইরাস পরিস্থিতির এই সবশেষ তথ্য জানানো হয়।

সেখানে বলা হয়, সকাল ৮টা পর্যন্ত শনাক্ত ১ হাজার ৪৪১ জনকে নিয়ে দেশে করোনাভাইরাসে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৩ লাখ ৭৪ হাজার ৫৯২ জন হল।

আর গত এক দিনে মারা যাওয়া ২০ জনকে নিয়ে দেশে করোনাভাইরাসে মোট মৃতের সংখ্যা ৫ হাজার ৪৬০ জনে দাঁড়াল।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হিসাবে বাসা ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আরও ১ হাজার ৬৮৫ জন রোগী সুস্থ হয়ে উঠেছেন গত এক দিনে। তাতে সুস্থ রোগীর মোট সংখ্যা বেড়ে ২ লাখ ৮৮ হাজার ৩১৬ জন হয়েছে।



 

Show all comments
  • সিরাত সালিক ৮ অক্টোবর, ২০২০, ৫:৪৩ পিএম says : 0
    পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার দৃষ্টিতে ছোঁয়াচে বা সংক্রামক বলে কোন রোগ নাই “ছোঁয়াচে বিশ্বাস করা শিরক”-১০ নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি যেমনিভাবে বলেছেন, “ছোয়াঁচে বলতে কোন রোগ নাই” তেমনিভাবে এই বিষয়টি উম্মতদেরকে তা’লীম মুবারক দেয়ার জন্য, স্বয়ং তিনি সরাসরি আমল দ্বারাও প্রমাণ করে দেখিয়ে দিয়েছেন। এবং হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়া’লা আনহুম আজমাইন, তাবেয়ীন, তাবে-তাবেয়ীন, আইম্মায়ে মুজতাহিদীন রহমাতুল্লাহি আলাইহিমগণ উনারাও সরাসরি আমলের দ্বারা প্রমাণ করে দেখিয়ে দিয়েছেন যে, ছোঁয়াচে বলতে কোন রোগ নাই। কিন্তু পরবর্তী যামানায় কেউ কেউ “ছোঁয়াচে বা সংক্রামক বলে কোন রোগ নাই” একথা বলার পরেও ছোঁয়াচের সবব নির্ধারণ করে ইহতিয়াত বা সাবধাণতার কথা বলেছেন এবং সববের উপর ভিত্তি করে কেউ কেউ তাওয়াক্কুল পরিপন্থী যুক্তির দ্বারা পূর্ববর্তীগণ উনাদের সরাসরি আমল ও মতের সাথে দূরত্ব সৃষ্টি করেছেন। যা সাধারণ মানুষের ছহীহ আক¦ীদার উপর ইস্তিক্বামাত থাকার সহায়ক হয় নাই বরং আঘাতদায়ক হয়েছে। যার কারণে তারা ঐ সববের উপর ভিত্তি করে পবিত্র ঈমান ও তাওয়াক্কুলের উপর ইস্তিক্বামাত থাকতে না পেরে, মৃত্যুভীতি ও সববের আশংকা উভয়কেই তাদের অন্তরে স্থান করে নিয়ে কুফরী ও শিরকী করছে। মূলতঃ ইহতিয়াত বা সাবধাণতা এবং ইস্তিহবাব বা মুস্তাহাব হলো ঐ ফাতওয়া, যার দ্বারা সাধারণ মানুষসহ সকলের পবিত্র ঈমান ও আক্বীদা রক্ষা হয় এবং হক্কুল্লাহ, হক্কু রাসূলিল্লাহ এবং হক্কুল ইবাদ যথাযথ আদায় করে দুনিয়া ও পরকালে কামিয়াবী হাছিল করতে পারে। মূলতঃ মহামারীগ্রস্থ ব্যক্তির সাথে অথবা মহামারী এলাকাতে অবস্থান করা এটা প্রত্যেকের ইখতিয়ারভুক্ত বিষয়। যে ব্যক্তি ধৈর্য্য ও তাওয়াক্কুলের সাথে তথায় অবস্থান করবেন, উনার যেমন ফযীলত রয়েছে, তেমনি যিনি সেখানে ধৈর্য্য ও তাওয়াক্কুলের সাথে অবস্থান করতে পারবেন না, উনার জন্য সেখান থেকে দূরে সরে যাওয়াটাও জায়েয রয়েছে। কিন্তু সর্ব অবস্থাতেই ছোঁয়াচে আক্বীদা পোষণ করা শিরকী ও কুফরী। ধারাবাহিক আলোচনা........... মহাসম্মানীত মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত রয়েছে- عَن حَضْرَتْ سَعِيدُ بْنُ مِينَاءَ قَالَ سَمِعْتُ حَضْرَتْ أَبَا هُرَيْرَةَ يَقُولُ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لاَ عَدْوَى وَلاَ طِيَرَةَ وَلاَ هَامَةَ وَلاَ صَفَرَ وَفِرَّ مِنَ المَجْذُومِ كَمَا تَفِرُّ مِنَ الأَسَدِ অর্থ: হযরত সাইদ ইবনে মীনা রহমাতুল্লাহি আলাইহি উনার থেকে বর্ণিত: তিনি বলেন আমি হযরত আবূ হুরাইরাহ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনাকে বলতে শুনেছি যে, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, ছোঁয়াচে বা সংক্রামক বলতে কোন রোগ নেই, কোন কিছুতে অশুভ নেই, পেঁচার মধ্যে কুলক্ষণ নেই এবং সফর মাসেও কোন অশুভ নেই। তবে কুষ্ঠরোগী হতে পলায়ন করো, যেমন তুমি বাঘ হতে পালিয়ে থাকো। (বুখারী শরীফ) উপরোক্ত পবিত্র হাদীছ শরীফে উল্লেখ রয়েছে যে, وَفِرَّ مِنَ المَجْذُومِ كَمَا تَفِرُّ مِنَ الأَسَدِ অর্থ: কুষ্ঠরোগী হতে পলায়ন করো যেমন তুমি সিংহ হতে পালিয়ে থাকো। উল্লেখিত অংশ দ্বারা কেউ কেউ ছোঁয়াচে প্রমাণ করতে দলীল পেশ করে থাকে। নাঊযুবিল্লাহ! তারা বলে থাকে যে, কুষ্ঠরোগী থেকে পলায়ন করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে, সাধারণত কুষ্ঠরোগীর ক্ষতি থেকে নিরাপদ থাকার জন্য। নাঊযুবিল্লাহ! উল্লেখিত পবিত্র হাদীছ শরীফে তিনটি বিষয় বিশেষভাবে লক্ষনীয় তাহলো: প্রথমত: কুষ্ঠরোগ সংক্রমণের আশংকায় বা কুষ্ঠরোগীর সাথে অবস্থানকারীর কোন ক্ষতি হওয়ার আশংকায় উপরোক্ত পলায়ন করার নির্দেশ দেয়া হয়নি। তার অকাট্য প্রমাণ হলো: উক্ত হাদীছ শরীফ উনার শুরুতেই বলা হয়েছে لَا عَدْوٰى অর্থ: ছোঁয়াচে রোগ বলতে কোন রোগ নেই। এ বাণী মুবারক উনার দ্বারা স্পষ্ট বুঝা যায় যে, ছোঁয়াচে বা সংক্রমণ হওয়ার কারণে পলায়ন করার নির্দেশ দেয়া হয়ন,ি অন্য কোন কারণে পলায়ণ করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। সেই কারণ সম্পর্কে আমরা পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যেই তার জবাব পাই, তাহলো: فَقَالُوا يَا رَسُولَ اللَّهِ وَمَا ذَاكَ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم إِنَّهُ أَذًى অর্থ:- হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু আনহুম উনারা প্রশ্ন করলেন হে মহান আল্লাহপাক উনার রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, কী কারণে রোগী ব্যক্তিকে সুস্থ ব্যক্তির থেকে দূরে রাখতে হবে? তখন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন যে, নিশ্চয়ই ইহা কষ্টদায়ক (মুয়াত্তা ইমাম মালেক ২/ ৯৪৬, কিতাবুল জামি’) মহাসম্মানিত মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে আরো রয়েছে যে, عَنْ حَضْرَتِ الْوَلِيْدِ بْنِ عَبْدِ اللهِ رضي الله عنهما أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَرَّ عَلَىٰ مَجْذُوْمٍ فَخَمَرَ أَنْفَهُ فَقِيْلَ لَهُ يَا رَسُوْلَ اللهِ أَلَيْسَ قُلْتَ لَا عَدْوَىٰ وَلَا طِيَرَةَ؟ قَالَ بَلَىٰ قَالَ بَلَى وَلَكِنِّي أَقْذَرُهُمْ অর্থ: হযরত ওয়ালিদ ইবনে আবদুল্লাহ রদ্বিয়াল্লাহু আনহুমা থেকে বর্ণিত: তিনি বলেন, নিশ্চয়ই নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি কুষ্ঠরোগীর পাশ দিয়ে অতিক্রম করার সময় তিনি উনার নূরুন আলা নূর মুবারক (নাক মুবারক) ঢেকে ফেলেন। তখন উনাকে জিজ্ঞাসা করা হলো, আপনিই তো বলেছেন, ছোঁয়াচে বলে কোন রোগ নেই, কুলক্ষন বলতে কিছুই নেই। তিনি উত্তর দিলেন, হ্যাঁ। কিনÍু আমি তাদের দুর্গন্ধে কষ্ট অনুভব করি। (লি ইবনে আবী শায়বা-১/২২১) উপরোল্লেখিত মহাসম্মানিত মহাপবিত্র দুটি হাদীছ শরীফ দ্বারা প্রমাণিত হলো যে, মহাসম্মানীত মহাপবিত্র হাবীব নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি যদি পলায়ন করতে বলেও থাকেন, তাহলে তা মূলত: কুষ্ঠ রোগীর সাথে অবস্থান করা কষ্টকর বিধায় পলায়ণ করতে বলেছেন, ছোঁয়াচের আশংকায় তিনি পলায়ণ করতে বলেননি। দ্বিতীয়ত: যদি উক্ত হাদীছ শরীফে পলায়নের নির্দেশ দ্বারা ছোঁয়াচের আশংকাকে উদ্দেশ্য করে অর্থ করা হয়। তাহলে, উক্ত হাদীছ শরীফ উনার অর্থগত দিক থেকে কুফরী অর্থ হবে। আর আক্বীদাগত দিক থেকে হবে শিরকী আক্বীদা। ১। অর্থগত দিক থেকে কুফরী অর্থ হবে স্ববিরোধী বক্তব্য হওয়ার কারণে: অর্থাৎ পলায়নের নির্দেশ দ্বারা ছোঁয়াচের আশংকাকে উদ্দেশ্য করে অর্থ করা হলে, অর্থ হবে নিন্মরূপ: لاَ عَدْوَى...... وَفِرَّ مِنَ المَجْذُومِ كَمَا تَفِرُّ مِنَ الأَسَدِ অর্থ: ছোঁয়াচে বা সংক্রামক রোগ বলতে কোন রোগ নাই এবং তোমার মধ্যে কুষ্ঠরোগ ছোঁয়াচে বা সংক্রমণ হওয়ার আশংকায়, কুষ্ঠরোগী হতে পলায়ন করো যেমন তুমি বাঘ হতে পালিয়ে থাকো। (বুখারী শরীফ) নাউযুবিল্লাহি ওয়া রাসূলিহী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম। সুতরাং যারা বলবে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি এ ধরণের স্ববিরোধী বক্তব্য দিয়েছেন তারা নিঃসন্দেহে কাফির। ২। আক্বীদাগত দিক থেকে হবে শিরকী আক্বীদা: মহান আল্লাহ পাক তিনি যাকে ইচ্ছা রোগ দেন এবং যাকে ইচ্ছা রোগ থেকে আরোগ্যতা দান করেন। রোগের কোন ক্ষমতাই নাই কাউকে রোগাক্রান্ত করার। কিন্তু ছোঁয়াচে বিশ্বাসীরা মনে করে রোগীর সাথে অবস্থান করলেই রোগ হবে, আর রোগী থেকে দূরে অবস্থান করলে রোগ থেকে রক্ষা পাবে। অর্থাৎ একদিকে তারা স্ববিরোধী মিথ্যা অর্থ করে কুফরী করেছে। অন্যদিকে কুষ্ঠরোগকে ছোঁয়াচে মনে করে, রোগী থেকে দূরে সরে যাওয়াকেই রোগ থেকে রক্ষা পাওয়ার মাধ্যম মনে করে শিরক করে। নাঊযুবিল্লাহ! তৃতীয়ত: নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি রোগ থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য মানুষকে মহান আল্লাহ পাক উনার ভয় না দেখিয়ে সিংহের ভয় দেখাবেন, তা কখনো বিশ্বাসযোগ্য হতে পারে না। যার কারণে وَفِرَّ مِنَ المَجْذُومِ كَمَا تَفِرُّ مِنَ الأَسَدِ উক্ত হাদীছ শরীফ উনার অংশটি স¦য়ং নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বক্তব্য নয়, বরং পরবর্তীতে কারো কর্র্তৃক অতিরিক্ত সংযোজন বলেও অনেকে মন্তব্য করেছেন। যেমন: স্বয়ং মহাসম্মানিতা মহাপবিত্রা উম্মুল মুমিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত আছ ছালিছা ছিদ্দীক্বাহ আলাইহাস সালাম তিনি নি¤েœর বর্ণিত পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার অংশকে জা’ল বা মিথ্যা কথা বলে কসম করেছেন। তা হলো: وَفِرَّ مِنَ المَجْذُومِ كَمَا تَفِرُّ مِنَ الأَسَدِ যেমন এই বিষয়ে মহাসম্মানিত মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত রয়েছে, عَنْ حَضْرَتْ اُمِّ الْمُؤْمِنِيْنَ الثَّالِثَةِ سَيِّدَتِنَا الصِّدِّيْقَةِ عَلَيْهَا السَّلَامُ أَنَّ امْرَأَةً سَأَلتْهَا أَكَانَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى الله عَلَيْهِ وَسلم قَالَ فِرَّ مِنَ المْجْذُوْمِ فِرَارُكَ مِنَ الْأَسَدِ؟ فَقَالَت حَضْرَتْ اُمِّ الْمُؤْمِنِيْنَ الثَّالِثَةِ سَيِّدَتِنَا الصِّدِّيْقَةِ عَلَيْهَا السَّلَامُ كَلَّا وَاللهِ وَلكِنَّه قَالَ لَا عَدْوى অর্থ: উম্মুল মুমিনীন আছ ছালিছা সাইয়্যিদাতুনা হযরত ছিদ্দীক্বাহ আলাইহাস সালাম উনার থেকে বর্ণিত নিশ্চয়ই একজন মহিলা উনাকে প্রশ্ন করলেন যে, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি কি একথা ইরশাদ মুবারক করেছেন যে, কুষ্ঠরোগী হতে পলায়ন করো, যেমন তুমি সিংহ হতে পালিয়ে থাকো? তখন তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, মহান আল্লাহ পাক উনার কসম মুবারক কখনো তিনি এ ধরণের কথা বলেন নাই। বরং তিনি বলেছেন যে, ছোঁয়াচে রোগ বলতে কোন রোগ নাই। (শরহু ছহীহিল বুখারী লি ইবনে বাত্ত¡াল ৯/৪১০, উমদাতুল ক্বারী ২১/২৪৭, আত তাওদ্বীহ লি শরহিল জামিয়িছ ছহীহ ২৭/৪২৪, নাখবুল আফকার ১৪/৯৩, ফতহুল বারী, ফতহুল মুনয়িম শরহু ছহীহি মুসলিম ৮/৬২৯ ইকমালুল মু’লিম শরহু ছহীহি মুসলিম ৭/৮২, শরহুন নববী আলাল মুসলিম ১৪/২২৮) সাথে সাথে মহাসম্মানিতা মহাপবিত্রা উম্মুল মুমিনীন আছছালিছা সাইয়্যিদাতুনা হযরত ছিদ্দীক্বাহ আলাইহাস সালাম উনার বিষয়েও আরেকটি স্ববিরোধী বক্তব্য উল্লেখ করার দ্বারা প্রমাণিত হয় যে, فر من المجذوم فرارك من الْأسد এই অংশটি বানোয়াট বা কারো কর্তৃক অতিরিক্ত সংযোজন। তাহলো: عَنْ حَضْرَت اُمِّ الْمُؤْمِنِيْنَ الثَّالِثَةِ سَيِّدَتِنَا الصِّدِّيْقَةِ عَلَيْهَا السَّلَامُ لا عدوى وإذا رأيت المجذوم ففر منه كما تفر من الأسد অর্থ: মহাসম্মানিতা মহাপবিত্রা উম্মুল মুমিনীন আছছালিছা সাইয়্যিদাতুনা হযরত ছিদ্দীক্বাহ আলাইহাসসালাম উনার থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, ছোঁয়াচে বলে কোন রোগ নেই, যখন কুষ্ঠরোগীকে দেখবে তখন তার থেকে পলায়ন করো, যেমন সিংহ দেখলে পলায়ন করো। (ইবনে খুযাইমা শরীফ) পর্যালোচনা : প্রথমত: দুটি কারণে নিঃসন্দেহে প্রমাণিত হয় উক্ত فر من المجذوم فرارك من الْأسد বর্ণিত অংশটি বানোয়াট। তাহলো: ১। পলায়নের নির্দেশ দ্বারা ছোঁয়াচের আশংকাকে উদ্দেশ্য করে যদি অর্থ করা হয় তাহলে, উক্ত হাদীছ শরীফ উনার অর্থগত দিক থেকে কুফরী অর্থ হবে। আর আক্বীদাগত দিক থেকে হবে শিরকী আক্বীদা। যা আমরা ইতিপূর্বে আলোচনা করেছি। ২। মহাসম্মানিতা মহাপবিত্রা উম্মুল মুমিনীন আছছালিছা সাইয়্যিদাতুনা হযরত ছিদ্দীক্বাহ আলাইহাস সালাম উনার থেকে মারফূ’ সূত্রে কসম সহ বর্ণিত পবিত্র হাদীছ শরীফ كلا وَالله وَلكنه قَالَ: لَا عدوى উনার মোকাবেলায় মাওকূফ সূত্রে বর্ণিত দৃঢ়তাবিহীন হাদীছ শরীফ فر من المجذوم فرارك من الْأسد গ্রহনযোগ্য হতে পারে না। তাই উক্ত হাদীছ শরীফ উনার অংশটুকু বানোয়াট ও বাতিল। দ্বিতীয়ত: সরাসরি পলায়নের নির্দেশটি ছোঁয়াচে বলতে কোন রোগ নাই, কুষ্ঠরোগীর সাথে ঘর-সংসার করার বৈধতা, রোগীর কাছে অবস্থান পূর্বক সেবা শুশ্রুষার নির্দেশ, ধৈর্য্য ও তাওয়াক্কুল করার নির্দেশ সহ ইত্যাদি অসংখ্য মহাসম্মানিত মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার বিরোধী। যা আমরা নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু আনহুম আজমাইন, তাবেয়ীন, তাবে-তাবেয়ীন আইম্মায়ে মুজতাহিদীন রহমাতুল্লাহি আলাইহিমগণ উনাদের সরাসরি আমলের দ্বারাও প্রমাণকরেছি। তৃতীয়ত: সরাসরি পলায়নের নির্দেশটি যদি অনুসরণ করা হয়, তাহলে পৃথিবী বিরান হয়ে যাবে। কেননা তখন মানুষ মহান আল্লাহ পাক উনাকে ভয় না করে মৃত্যভীতি ও ছোঁয়াচের আশংকায় রোগী তো অবশ্যই এমনকি সুস্থ মানুষ থেকেও পলায়ণ করে শিরকে লিপ্ত হবে। রোগীর সেবা শুশ্রæষা না করে ছোঁয়াচের আশয়ংকায় রোগীর প্রতি নিষ্ঠুর ও অমানবিক অচরণ করবে এবং হক্কুল ইবাদ তো অবশ্যই হক্কুল্লাহ এবং হক্কু রাসূল্লিাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম নষ্ট করবে। যার কারণে কোন ক্রমেই পলায়নের নির্দেশ সংক্রান্ত বর্ণনাটি গ্রহণযোগ্য বলে প্রমাণিত হয় না। যার বাস্তবতা আমরা প্রত্যক্ষ করেছি করোনা ভাইরাসের সময়ে, ঐ সময় মানুষ তার আপণজন ইন্তিকাল করেছে কিন্তু ছোঁয়াচের আশংকায় তারা উক্ত মৃত ব্যক্তির জানাযা ও দাফন করতেও বিরত থেকেছে। নাঊযুবিল্লাহ! কারো স্বামী বিদেশ থেকে এসেছে স্ত্রী করোনা ভাইরাস সংক্রমণ হওয়ার আশংকায় ঘর-বাড়ী থেকে পলায়ন করে বাপের বাড়ীতে চলে গেছে। নাঊযুবিল্লাহ! অনুরূপ হযরত ইমাম ত্ববারী রহমাতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন, اختلف السلف فى صحة هذا الحديث فأنكر بعضهم أن يكون عليه السلام أمر بالبعد من ذى عاهه جذامًا كانت برصًا أو غيره وقالوا قد أكل رسول الله مع مجذوم وأقعده معه وفعل ذلك أصحابه المهديون অর্থ: (فِرَّ مِنَ الْمَجْذُومِ فِرَارَكَ مِنَ الْأَسَدِ) এই হাদীছ শরীফ ছহীহ হওয়ার ব্যাপারে হযরত ছলফে ছালেহীন রহমাতুল্লাহি আলাইহিম উনারা ইখতিলাফ করেছেন। কুষ্ঠরোগে আক্রান্ত হওয়ার আশংকায় দূরে থাকার নির্দেশকে উনারা অস্বীকার করেছেন। চাই তা ধ¦বল রোগ বা অন্য যে কোন রোগই হোক না কেন। উনারা বলেছেন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি কুষ্ঠরোগীকে নিজের সাথে বসিয়েছেন এবং উনার সাথে খানাও খেয়েছেন এবং হেদায়াতের কেন্দ্রস্থল তথা হযরত খুলাফায়ে রাশেদ্বীন আলাইহিমুস সালাম উনারাও কুষ্ঠরোগীকে নিজেদের সাথে বসিয়েছেন এবং উনাদের সাথে খাদ্য খেয়েছেন। (শরহু ছহীহিল বুখারী লি ইবনি বাত্ত¡াল ৯/ ৪১০, তাহযীবুল আছার লিত ত্ববারী, আত তাওদ্বীহু লি শরহি জামিয়িছ ছহীহ) উপরোক্ত পবিত্র হাদিছ শরীফ উনার ব্যাখ্যায় পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার শরাহ গ্রন্থসমূহে বর্ণিত রয়েছে, قَالَ الْقَاضِي عِيَاضٌ قَدْ ذَهَبَ عُمَرُ وَغَيْرُهُ مِنْ السَّلَفِ إلَى الْأَكْلِ مَعَهُ وَرَأَوْا أَنَّ الْأَمْرَ بِاجْتِنَابِهِ مَنْسُوخٌ অর্থ: হযরত ক্বাজী ইয়াজ রহমাতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন, (সংক্রামক বলতে কোন রোগ নাই তা প্রমাণ করার জন্য) সাইয়্যিদুনা হযরত ফারুকে আ‘যম আলাইহিসসালাম তিনি এবং অন্যান্য ছলফে ছালেহীন রহমাতুল্লাহি আলাইহিম আজমাঈন উনারা কুষ্ঠরোগীর সাথে খানা খেয়েছেন এবং উনারা বলেছেন কুষ্ঠ বা মহামারী রোগী থেকে দূরে থাকার নির্দেশ মানসূখ তথা বাতিল করা হয়েছে। (ফতহুল বারী ১০/১৫৯, শরহুন নববী আলা মুসলিম ১৪/২২৮, উমদাতুল ক্বারী ২১/২৪৭ আওনুল মা‘বূদ ১০/২০১, তুহফাতুল আহওয়াজী ৫/৪৩৯ তাত্বরীযু রিয়াদ্বিছ ছলিহীন ১/৯৪৩, নাইলুল আওতার ৭/ ২২০) উপরোক্ত সিদ্ধান্তটি ইজমা পর্যায়ের। উক্ত সিদ্ধান্তটির মোকাবেলায় যেহেতু উনাদের সমসাময়িক কারো বিপরীত মন্তব্য নাই, তাই উক্ত সিদ্ধান্তের মোকাবেলায় পরবর্তী যামানার কারো কোন মন্তব্য গ্রহণযোগ্য নয়। সুতরাং উপরোক্ত সিদ্ধান্তের মোকাবেলায় নি¤েœর একক ও দলিল বিহীন এবং মনগড়া মন্তব্য একেবারেই বাতিল ও পরিত্যাজ্য, আর তা হলো কেউ বলেছেন, وَالصَّحِيحُ الَّذِي عَلَيْهِ الْأَكْثَرُ وَيَتَعَيَّنُ الْمَصِيرُ إِلَيْهِ أَنْ لَا نَسْخَ অর্থ: আর ছহীহ কথা হলো যার উপর অধিকাংশের মত, তাহলো: পলায়ণের হাদীছ শরীফটি মানসূখ হয় নাই। উপরোক্ত পবিত্র হাদিছ শরীফ উনার ব্যাখ্যায় اختصار صحيح البخاري وبيان غريبه নামক কিতাবে ৪র্থ খÐ, ৩৭৫ পৃষ্ঠায় রয়েছে, الأمرُ بالفرار من المجذوم إنما هو لمن تَنْفِر منه وتتأذى بذلك بدليل أن النبي صلى اللَّه عليه وسلم قد أكل مع مجذوم وقال كل بسم اللَّه توكلًا على اللَّه ذكره الترمذي অর্থ: উল্লেখিত পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে কুষ্ঠ রোগী থেকে পলায়ন করার নির্দেশ এটা শুধুমাত্র ঐ ব্যক্তির জন্য, যে কুষ্ঠ রোগীর সাথে অবস্থান করতে কষ্ট মনে করে। এ কথার দলীল হলো একটি পবিত্র হাদীছ শরীফ, যা তিরমিযী শরীফে উল্লেখ রয়েছে। তাহলো: নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি কুষ্ঠরোগীর সাথে খানা খেয়েছেন এবং তিনি ইরশোদ মুবারক করেছেন, মহান আল্লাহ পাক উনার উপর তাওয়াক্কুল করে খাও। উপরোক্ত পবিত্র হাদিছ শরীফ উনার ব্যাখ্যায় الآداب للبيهقي নামক কিতাবের ১ম খন্ড ১৪৫ পৃষ্ঠায় রয়েছে, وَأَمَّا الْحَدِيثُ الَّذِي رُوِيَ فِي حَدِيثِ عَمْرِو بْنِ الشَّرِيدِ، عَنْ أَبِيهِ أَنَّهُ قَالَ كَانَ فِي وَفْدِ ثَقِيفٍ رَجُلٌ مَجْذُومٌ فَأَرْسَلَ إِلَيْهِ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنَّا قَدُ بَايَعْنَاكَ فَارْجِعْ وَفِي حَدِيثِ أَبِي هُرَيْرَةَ مَرْفُوعًا: فِرَّ مِنَ الْمَجْذُومِ فِرَارَكَ مِنَ الْأَسَدِ فَإِنَّمَا هُوَ لِمَا فِي مُخَالَطَتِهِ مِنَ الْأَذَى الَّذِي ذَكَرْنَاهُ فِي إِيرَادِ الْمُمْرِضِ عَلَى الْمُصِحِّ অর্থ: হযরত আমর ইবনে শারীদ রহমাতুল্লাহি আলাইহি উনার পিতা থেকে বর্ণিত, اِنَّ فِي وَفْدِ ثَقِيفٍ رَجُلٌ مَجْذُومٌ فَأَرْسَلَ إِلَيْهِ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ اِنَّا قَدْ بَايَعْنَاكَ فَارْجِعْ এবং হযরত আবূ হুরাইরা রদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত হাদীছ শরীফ فِرَّ مِنَ الْمَجْذُومِ فِرَارَكَ مِنَ الْأَسَدِ এই পবিত্র হাদীছ শরীফ দুটিতে, কুষ্ঠরোগীর সাথে মিলিত হওয়া থেকে দূরে থাকার নির্দেশ দেয়া হয়েছে শুধুমাত্র তার জন্য, যে ব্যক্তি উক্ত কুষ্ঠরোগীর সাথে মিলিত হওয়াকে কষ্টকর মনে করে। যা আমরা রোগ্ন উটের সাথে সুস্থ উটকে মিলিত করার বর্ণনায় উল্লেখ করেছি। উপরোক্ত পবিত্র হাদিছ শরীফ উনার ব্যাখ্যায় عون المعبود وحاشية ابن القيم নামক কিতাবে ১০খÐ ৩০০ পৃষ্ঠায় রয়েছে, وقوله وَفِرَّ مِنَ الْمَجْذُومِ كَمَا تَفِرُّ مِنَ الْأَسَدِ وأمره فِي مَجْذُومِ بَنِي ثَقِيفٍ بِالرُّجُوعِ فِي حَقِّ مَنْ يَخَافُ عَلَى نَفْسِهِ الْعَجْزَ عَنِ احْتِمَالِ الْمَكْرُوهِ وَالصَّبْرِ عَلَيْهِ অর্থ: পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত وَفِرَّ مِنَ الْمَجْذُومِ كَمَا تَفِرُّ مِنَ الْأَسَدِ উক্ত অংশটিতে পলায়ণের নির্দেশ এবং বনী ছাকীফ গোত্রের কুষ্ঠরোগীকে ফিরে যাওয়ার নির্দেশ ঐ ব্যক্তির ক্ষেত্রে প্রযোজ্য, যে কুষ্ঠরোগীর সাথে অবস্থান করতে কষ্ট পায় এবং ধৈর্য্যধারণ করতে অক্ষম। উপরোক্ত পবিত্র হাদিছ শরীফ উনার ব্যাখ্যায় شرح الزرقاني على الموطأ নামক কিতাবের ৪ খÐ, ৫২৮ পৃষ্ঠায় রয়েছে, فِرَّ مِنَ الْمَجْذُومِ فِرَارَكَ مِنَ الْأَسَدِ وَإِنْ كُنَّا نَعْتَقِدُ أَنَّ الْجُذَامَ لَا يُعْدِي لَكِنَّا نَجِدُ فِي أَنْفُسِنَا نَفْرَةً وَكَرَاهِيَةً لِمُخَالَطَتِهِ وَقَالَ يَحْيَى بْنُ يَحْيَى: سَمِعْتُ أَنَّ تَفْسِيرَهُ فِي رَجُلٍ يَكُونُ بِهِ الْجُذَامُ فَلَا يَنْبَغِي لَهُ أَنْ يَنْزِلَ عَلَى الصَّحِيحِ يُؤْذِيهِ لِأَنَّهُ وَإِنْ كَانَ لَا يُعْدي فَالْأَنْفُسُ تَكْرَهُهُ وَقَدْ قَالَ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِنَّهُ أَذًى يَعْنِي لَا لِلْعَدْوَى وَأَمَّا الصَّحِيحُ فَلَهُ أَنْ يَنْزِلَ مَحَلَّةَ الْمَرِيضِ إِنْ صَبَرَ عَلَى ذَلِكَ وَاحْتَمَلَتْهُ نَفْسُهُ অর্থ: কুষ্ঠরোগী হতে পলায়ন করো, যেমন- তুমি বাঘ হতে পালিয়ে থাকো। (নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার এই নির্দেশ মুবারক উনার প্রতি) যদিও আমরা এই আক্বীদা পোষণ করি যে, কুষ্ঠরোগ কোন ছোঁয়াচে রোগ নয়। কিন্তু উক্ত রোগীর সাথে মিলিত হওয়াকে আমরা নিজেদের জন্য কষ্ট ও অপছন্দ মনে করি। হযরত ইয়াহইয়া ইবনে ইয়াহইয়া রহমাতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন, কুষ্ঠরোগে আক্রান্ত ব্যক্তি সম্পর্কিত পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার ব্যাখ্যা সম্পর্কে আমি শুনেছি যে, কুষ্ঠরোগী ব্যক্তির সুস্থ ব্যক্তির কাছে গিয়ে অবস্থান করা উচিৎ নয়। কেননা এর দ্বারা সে সুস্থ ব্যক্তিকে কষ্ট দেয়। এটা এ কারণে যে, কুষ্ঠরোগ যদিও কোন ছোঁয়াচে রোগ নয় কিন্তু উক্ত রোগীর সাথে মিলিত হওয়া স¦য়ং নিজেদের জন্য কষ্ট ও অপছন্দনীয়। অবশ্য নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন যে, নিশ্চয়ই ইহা কষ্ট দায়ক তার অর্থ হলো তা সংক্রামক নয়। তবে সুস্থ ব্যক্তি অবশ্যই কুষ্ঠরোগীর সাথে অবস্থান করতে পারবে। যদি সে সেখানে ধৈর্য্য ধারণ করতে পারে ও নিজেকে মানিয়ে নিতে পারে। উপরোক্ত পবিত্র হাদিছ শরীফ উনার ব্যাখ্যায় شرح نخبة الفكر للقاري নামক কিতাবে রয়েছে, والظاهر أن الأمر بالفرار رخصة للضعفاء ولذا خصه بالمخاطب وأما الكاملون المتوكلون فلا حَرج في حقهم অর্থ: স্পষ্ট কথা হলো: পলায়ণ করার নির্দেশ তাদের জন্য যারা দুর্বল ঈমানদার। এ কারণেই তাদেরকে খাছ করে সম্বোধন করা হয়েছে। আর যারা কামিল তাওয়াক্কুলকারী ঈমানদার উনাদের কুষ্ঠরোগীর সাথে অবস্থান করাতে কোন সমস্যা নাই। উপরোক্ত পবিত্র হাদিছ শরীফ উনার ব্যাখ্যায় المفهم لما أشكل من تلخيص كتاب مسلم নামক কিতাবের ১২ খÐ, ১১৪ পৃষ্ঠায় রয়েছে, فأمره بالفرار لئلا يتشوّش عليه ويغلبه وَهْمُهُ وليس ذلك خوفًا لعدوى অর্থ: পলায়ণ করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে এই কারণে যে, যাতে করে সংক্রমনের সন্দেহ এবং প্রভাব তাদের অন্তরে জাগ্রত না হয়। মূলতঃ সংক্রমণ হওয়ার আশংকায় দূরে সরার নির্দেশ দেয়া হয় নাই। উপরোক্ত পবিত্র হাদিছ শরীফ উনার ব্যাখ্যায় فتح الباري لابن حجر নামক কিতাবের ১০খÐ, ১৬০ পৃষ্ঠায় রয়েছে, فِرَّ مِنَ الْمَجْذُومِ كَانَ الْمُخَاطَبُ بِذَلِكَ مَنْ ضَعُفَ يَقِينُهُ وَلَمْ يَتَمَكَّنْ مِنْ تَمَامِ التَّوَكُّلِ فَلَا يَكُونُ لَهُ قُوَّةٌ عَلَى دَفْعِ اعْتِقَادِ الْعَدْوَى অর্থ: পলায়নের নির্দেশটি দেয়া হয়েছে ঐ ব্যক্তির জন্য, যার ঈমান দূর্বল অর্থাৎ কুষ্ঠ রোগ সংক্রামণ হয়, এমন বদ আক্বীদা থেকে পরিপূর্ণ তাওয়াক্কুলের দ্বারা নিজেকে বাঁচাতে যার শক্তি নাই। উপরোক্ত পবিত্র হাদিছ শরীফ উনার ব্যাখ্যায় نيل الأوطار নামক কিতাবের ৭খÐ, ২২০পৃষ্ঠায় রয়েছে قَالَ بَعْضُ الْعُلَمَاءِ فِي هَذَا الْحَدِيثِ وَمَا فِي مَعْنَاهُ يَعْنِي حَدِيثَ الْفِرَارِ مِنْ الْمَجْذُومِ دَلِيلٌ عَلَى أَنْ يَثْبُتَ لِلْمَرْأَةِ الْخِيَارُ فِي فَسْخِ النِّكَاحِ إذَا وَجَدَتْ زَوْجَهَا مَجْذُومًا أَوْ حَدَثَ بِهِ جُذَامٌ অর্থ: কতিপয় আলিমগণ উনারা বলেন, কুষ্ঠরোগী থেকে পলায়নের হাদীছ শরীফ খানা খিয়ার সাব্যস্ত হওয়ার ক্ষেত্রে দলীল যেমন যখন কোন মহিলা তার আহালকে কুষ্ঠরোগী অবস্থায় পায় অথবা বিবাহের পর তার আহালের কুষ্ঠরোগ হয়। তখন ঐ মহিলার জন্য ইখতিয়ার দেয়া হয়েছে যে, সে ইচ্ছা করলে ঘর-সংসার করতে পারবে অথবা ইচ্ছা করলে সে বিবাহ বাতিল করতে পারবে। চলবে.............. মুহম্মদ মুফীদ্বুর রহমান।
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: করোনাভাইরাস

৪ জানুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ