পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ধর্ষকের শাস্তি কেন মৃত্যুদন্ড দেয়া হবে না- এই মর্মে রুল জারি হয়েছিল চলতি বছর জানুয়ারিতে। দশ মাস হতে চললেও হাইকোর্টকে সেটি জানানো হয়নি। ফলে ধর্ষণের শাস্তি বাড়ানোর আইনগত উদ্যোগটি এখনও আলোর মুখ দেখেনি। উদ্যোগ নেয়া হয়নি কমিশনের গঠনেরও।
অ্যাটর্নি জেনারেল কার্যালয় সূত্র জানিয়েছে, চলতি বছর ১৯ জানুয়ারি বিচারপতি এফআরএম নাজমুল আহাসান এবং বিচারপতি কেএম কামরুল কাদেরের ডিভিশন বেঞ্চ সরকারের সংশ্লিষ্টদের প্রতি ধর্ষণের শাস্তি বিষয়ে রুল জারি করেন। তাতে ১৬ বছরের নিচে কেউ ধর্ষণের শিকার হলে সে ক্ষেত্রে ধর্ষকের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদন্ড কেন দেয়া হবে না- জানতে চাওয়া হয়। সেই সঙ্গে ধর্ষণের ঘটনায় কারও মৃত্যুদন্ড হলে সে ক্ষেত্রে আইনে মৃত্যুদন্ডাদেশের পাশাপাশি যাবজ্জীবন সাজার যে বিধান রয়েছে সেখান থেকে ‘যাবজ্জীবন’ উঠিয়ে দিতে সরকারের নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ হবে না তাও জানতে চাওয়া হয়। ধর্ষণের বিচারে পৃথক আদালত গঠন এবং আদালতে ধর্ষণের বিচার দ্রুতসম্পন্ন করার কেন নির্দেশ দেয়া হবে না- জানতে চাওয়া হয় এটিও।
সংশ্লিষ্ট বেঞ্চের ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার এবিএম আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার জানান, ধর্ষণের শিকার ভিকটিমদের জন্য সাক্ষী সুরক্ষা আইন প্রণয়ন, ধর্ষকদের ডিএনএ সংরক্ষণের জন্য ডাটাবেস (তথ্যভান্ডার) প্রণয়ন, সব জেলায় ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারের মাধ্যমে ভিকটিমদের সুরক্ষা দেয়া, ভিকটিমদের ছবি গণমাধ্যমে প্রচারের ক্ষেত্রে সতর্কতা অবলম্বন, সব ধরনের ধর্ষণের অপরাধের জন্য পৃথক একটি আদালত গঠন এবং সে আদালতে দ্রুত মামলা নিষ্পত্তি করার ক্ষেত্রে কেন নির্দেশ দেয়া হবে না- রুলে জানতে চাওয়া হয়।
জনস্বার্থে দায়ের করা এক রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে হাইকোর্টের তৎকালিন বেঞ্চ রুল জারির পাশাপাশি নির্দেশনাও দেন। আদালত নারী নির্যাতন ও রোমহর্ষক ধর্ষণ ঠেকাতে একটি কমিশন গঠন করার নির্দেশ দিয়েছেন। পরবর্তী ৩০ দিনের মধ্যে আইন মন্ত্রণালয়ের অধীনে এ কমিশন গঠনের নির্দেশ দেয়া হয়েছিল।
আইন মন্ত্রণালয়ের একজন অতিরিক্ত সচিবের নেতৃত্বে এ কমিটিতে আইনজীবী, বিচারক, মানবাধিকার কর্মী, বিশিষ্ট ব্যক্তি, গণমাধ্যমের প্রতিনিধি, চিকিৎসক এবং ভিকটিমকে (যদি কোনো ভিকটিম রাজি থাকেন) রাখতে বলা হয়। সেই সঙ্গে কমিশনকে পরবর্তী ৬ মাসের মধ্যে ধর্ষণ প্রতিরোধে করণীয় সম্পর্কে একটি সুপারিশমালা তৈরি করে আদালতে প্রতিবেদন আকারে জমা দিতে নির্দেশ দেয়া হয়। তবে দশ মাসেও সেই নির্দেশ বাস্তবায়ন ঘটেনি।
কেন হয়নি- জানতে চওয়া হলে সরকারি এই আইন কর্মকর্তা গতকাল বুধবার ‘ইনকিলাব’কে বলেন, রুল জারির পর হাইকোর্টের ওই বেঞ্চটি ভেঙে যায়। আমিও ওই বেঞ্চে নেই। তাই বিষয়টি আরও এগোয়নি। তাছাড়া করোনা সংক্রমণের কারণে দীর্ঘদিন আদালত বন্ধ ছিল। এটিও একটি কারণ বিলম্বের। তবে পরবর্তীতে ওই বেঞ্চে যিনি আইন কর্মকর্তা নিযুক্ত হয়েছেন তার উচিৎ ছিল বিষয়টি আদালতকে অবহিত করা। এছাড়া যারা রিটটি ফাইল করেছেন তারাও তো এ বিষয়ে কোনো উদ্যোগ নেননি। তবে আমি এরমধ্যেই আদালতকে বিষয়টি অবহিত করেছি। এসব কারণেই রিটটির কোনো ডেভলপমেন্ট নেই এ মুহূর্তে। তবে দু’য়েকদিনের মধ্যেই ডেভলমেন্টের তথ্য দেয়া সম্ভব।
এদিকে আইনমন্ত্রণালয় সূত্র জানিয়েছে, হাইকোর্টের রুলের কোনো জবাব দেয়া হয়নি এখনও। করোনার কারণেই সময়সীমা রক্ষা করা সম্ভব হয়নি। তবে জবাব প্রস্তুত করছে মন্ত্রণালয়। কমিশন গঠনের বিষয়েও পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে। আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক গতকাল বুধবার বলেছেন, ধর্ষণের শাস্তি যাবজ্জীবন থেকে বাড়িয়ে মৃত্যুদন্ড করার কথা ভাবছে সরকার। কারণ মানুষের জন্যই আইন। ধর্ষণের শাস্তি বাড়ানোর দাবি তুলেছে মানুষ। তাই সরকার বিষয়টিকে সিরিয়াসলি নিয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।