Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

বাঙালির অধিকার প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে বঙ্গবন্ধু

প্রকাশের সময় : ১৩ আগস্ট, ২০১৬, ১২:০০ এএম

মো. জুয়েল আক্তার
একদিন পরেই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪১তম শাহাদাতবার্ষিকী। ১৯৭৫ সালের শোকাবহ এ দিনে সূর্য ওঠার আগে ধানমন্ডির ৩২ নম্বর বাসভবনে সপরিবারে তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। সময়ের পরিক্রমায় আগস্ট মাসের ১৫ তারিখ আসলেই বাঙালি-হৃদয় যন্ত্রণাদগ্ধ হয়, শোকে মুহ্যমান হয় বাঙালি-আত্মা। হৃদয়পটে ভেসে ওঠে হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি, স্বাধীনতার স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নাম। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে মর্মন্তুদ হত্যার মধ্য দিয়ে তাকে সপরিবারে হত্যা করা হয়। আরও হত্যা করা হয় বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব, শেখ কামাল, শেখ জামাল, শিশু রাসেল, শেখ কামালের স্ত্রী সুলতানা কামাল, শেখ জামালের স্ত্রী রোজী জামাল, বঙ্গবন্ধুর ভাই শেখ আবু নাসের, শেখ ফজলুল হক মণি, তার অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী আরজু মণি, বঙ্গবন্ধুর ভগ্নিপতি আবদুর রব সেরনিয়াবাত, তার পুত্র আরিফ সেরনিয়াবাত, নাতি সুকান্ত আবদুল্লাহ, আবদুর রব সেরনিয়াবাতের বড় ভাইয়ের ছেলে সজীব সেরনিয়াবাত। শুধু বাঙালি জাতির ইতিহাসে নয়, গোটা বিশ্ব ইতিহাস তন্নতন্ন করে খুঁজলেও এমন নজিরবিহীন রাজনৈতিক হত্যাকা- দ্বিতীয়টি আর খুঁজে পাওয়া কঠিন।
আগের রাতে অন্যান্য দিনের মতোই প্রেসিডেন্ট শেখ মুজিবুর রহমান বাড়ি ফেরেন রাত সাড়ে ৮টা নাগাদ এবং পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে শেখ মুজিবুর রহমান খাওয়া-দাওয়া সেরে ঘুমিয়ে পড়েন রাত প্রায় ১২টা নাগাদ। শেষ রাতের দিকে ঘাতকদের বৃষ্টির মতো গুলিবর্ষণের মুখে মারা গেলেন প্রথমে শেখ কামাল এবং এরপর শেখ মুজিবুর রহমানসহ পরিবারের অন্য সদস্যরা।
শেখ মুজিবুর রহমান ছিলেন অদম্য সাহসী ও মানব দরদী একজন মহামানব। সেই স্কুল জীবন থেকেই তিনি মানব কল্যাণের জন্য কাজ করে গেছেন। ১৯৪০ সাল, অবিভক্ত বাংলার প্রধানমন্ত্রী শেরেবাংলা এ কে ফজলুল হক ও তৎকালীন খাদ্যমন্ত্রী হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী গোপালগঞ্জ স্কুল পরিদর্শনে যান। পরিদর্শন কাজ শেষে বাংলোতে ফেরার পথে একদল ছাত্র তাদের পথ আগলে দাঁড়ায়। অকপটে বলে যায়, বর্ষাকালে ছাত্রাবাসের ছাদ চুঁইয়ে পড়া পানিতে ছাত্রদের বিছানাপত্র নষ্ট হওয়ার কথা। ছাত্রাবাসটি মেরামতের দাবি জানায় তারা। প্রধানমন্ত্রী তাৎক্ষণিক তার স্বেচ্ছাধীন তহবিল থেকে ১,২০০ টাকা মঞ্জুর করেন এবং ছাত্রাবাসটি মেরামত করার নির্দেশ দেন। এই ছাত্রদের নেতার নাম ছিল খোকা। হ্যাংলা, ছিপছিপে দৈহিক গঠন, তবে সুশ্রী ছেলেটির ভালো নাম ছিল শেখ মুজিবুর রহমান। খোকা নামের সেই শিশুটি গভীর রাজনৈতিক প্রজ্ঞা, আত্মত্যাগ এবং জনগণের প্রতি মমত্ববোধের কারণে পরিণত বয়সে হয়ে ওঠেন বাঙালির অবিসংবাদিত নেতা।
তিনি ১৯২০ সালের ১৭ মার্চ গোপালগঞ্জ জেলার পাটগাতি ইউনিয়নের টুঙ্গিপাড়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবার নাম শেখ লুৎফর রহমান আর মা মোসা. সায়েরা বেগম। পরিবারের প্রথম পুত্র সন্তান ছিলেন তিনি। ৪ বোন ও ২ ভাইয়ের মাঝে তৃতীয় ছিলেন শেখ মুজিবুর রহমান। তার বেড়ে ওঠা শুরু হয় ছায়া-ঢাকা পথঘাটহীন শহর থেকে দূরে নিভৃত পল্লীতে। প-িত সাখাওয়াত উল্লাহর কাছে বাড়িতেই তার লেখাপড়ার হাতেখড়ি। ১৯২৭ সালে ৭ বছর বয়সে তার স্কুল শিক্ষার শুরু গমা ডাংগা প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। এরপর গোপালগঞ্জ পাবলিক স্কুলের তৃতীয় শ্রেণীতে ভর্তি হন ১৯২৯ সালে। শেখ মুজিবুর রহমানের পিতা ছিলেন মাদারীপুর দায়রা আদালতের সেরেস্তাদার। এরপর যখন শেখ মুজিবের বয়স ১০/১১ বছর তখন তার পিতা তাকে মাদারীপুরে নিয়ে যান। মাদারীপুরের ইসলামিয়া হাই স্কুলে তাকে ভর্তি করে দেয়া হয় চতুর্থ শ্রেণীতে। এরপর তিনি আবার চলে আসেন গোপালগঞ্জে। ১৯৩৬ সালে তিনি গোপালগঞ্জ মিশন স্কুলে পঞ্চম শ্রেণীতে ভর্তি হন। মাদারীপুর থাকার সময়েই শেখ মুজিবুর রহমান মারাত্মক রোগে আক্রান্ত হন। বেরিবেরি রোগের কারণে শেখ মুজিবের চোখে ছানি পড়ে। শেখ লুৎফর রহমান ছেলেকে কলকাতা মেডিকেল কলেজের বিখ্যাত চক্ষু চিকিৎসক ডা. টি আহমদের কাছে নিয়ে যান। সেখানে সফল অস্ত্রোপচারের পর তিনি সুস্থ হলেন। ডাক্তার তাকে পরামর্শ দিলেন চশমা পরতে, সেই থেকে আমৃত্যু চশমা পরেছেন শেখ মুজিব। মাত্র ১৮ বছর বয়সে ১৯৩৮ সালে শেখ মুজিবুর রহমানের বিয়ে হয় ফজিলাতুন্নেসা ওরফে রেনুর সাথে। পরবর্তীকালে এ দম্পতির ৩ পুত্র ও ২ কন্যা সন্তান জন্ম নেয়।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের রাজনৈতিক জীবন শুরু হয়েছিল মিশনারি স্কুলে পড়ার সময় থেকেই। মিশন স্কুলে ছাত্রদের সভা ডাকা হয়। তৎকালীন এসডিও ১৪৪ ধারা জারি করে সেই সভা বন্ধ করে দেন। ছাত্ররা সমবেত হয়ে মসজিদে গিয়ে সভা করে। শেখ মুজিব দাঁড়িয়ে দু-একটা কথা বলতেই তাকে গ্রেফতার করা হয়। এটাই ছিল শেখ মুজিবুর রহমানের ঘটনাবহুল জীবনের প্রথম গ্রেফতার। তখন তিনি ছিলেন নবম শ্রেণীর ছাত্র। গ্রেফতারের পর সেকেন্ড কোর্টে হাজির করে দুই ঘণ্টা আটক রাখা হয় তাকে। ছাত্রদের বিক্ষোভ ও চাপে শেষ পর্যন্ত কোর্ট থেকেই তাকে ছেড়ে দিতে বাধ্য হয়। এরপর ১৯৪০ সালে নিখিল ভারত মুসলিম ছাত্র ফেডারেশনে যোগ দেন শেখ মুজিবুর রহমান। ১৯৪২ সালে এন্ট্রান্স পাস করার পর কলকাতা ইসলামিয়া কলেজে (বর্তমান নাম মাওলানা আজাদ কলেজ) আইন বিষয়ে ভর্তি হন তিনি। এ কলেজ থেকেই তিনি সক্রিয়ভাবে ছাত্র রাজনীতি শুরু করেন। ১৯৪৩ সালে তিনি বেঙ্গল মুসলিম লীগে যোগ দেন এবং বাঙালি মুসলিম নেতা হুসেইন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর সান্নিধ্যে আসেন। এই একই সালে তিনি বঙ্গীয় মুসলিম লীগের কাউন্সিলর নির্বাচিত হন। শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৪৬ সালে কলকাতা ইসলামিয়া কলেজের ছাত্র সংসদের সাধারণ সম্পাদক পদে নির্বাচিত হন। বঙ্গীয় মুসলিম লীগ নেতা সোহরাওয়ার্দী-হাসিম গ্রুপের সাথে তিনি ছিলেন সক্রিয়ভাবে যুক্ত।
১৯৪৬ সালের সাধারণ নির্বাচনে মুসলিম লীগ তাকে ফরিদপুর জেলার দায়িত্বে নিয়োজিত করে। ১৯৪৭ সালের ১৪ ও ১৫ আগস্ট যথাক্রমে পাকিস্তান ও ভারত স্বাধীনতা লাভ করে। ১৯৪৮ সালে শেখ মুজিব ঢাকায় আসেন এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আইন বিভাগে ভর্তি হন। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারীদের ন্যায্য দাবি-দাওয়ার প্রতি কর্তৃপক্ষের বৈষম্যমূলক আচরণের বিরুদ্ধে আন্দোলনে নেতৃত্ব দেয়ার অভিযোগে ১৯৪৯ সালের প্রথমদিকে তাকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার করা হয়। তারপরই তিনি আবার গ্রেফতার হয়ে যান। তাই তার বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষাজীবন আর সমাপ্ত হয়নি। ১৯৪৯ সালের ২১ জানুয়ারি মুক্তি লাভ করেন শেখ মুজিব। এ বছরের ২৩ জুন, ঢাকার রোজ গার্ডেনে এক বৈঠকে ‘পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী-মুসলিম লীগ’ গঠিত হলো। একজন রাজবন্দি হিসেবে তখন তিনি ফরিদপুর জেলে অন্তরীণ ছিলেন। কারাবন্দি থেকেই শেখ মুজিব নির্বাচিত হলেন অন্যতম যুগ্ম সম্পাদক পদে। ১৯৪৯ সালের জুলাই মাসে জেল থেকে বেরিয়েই শেখ মুজিব আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানীর সঙ্গে খাদ্য সঙ্কটের বিরুদ্ধে আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়লেন। অক্টোবরে আর্মানীটোলা থেকে এক বিশাল ভুখা মিছিল থেকেই গ্রেফতার হলেন মওলানা ভাসানী, শামসুল হক আর শেখ মুজিব।
১৯৫২ সালে চীনের রাজধানী বেইজিং নগরীতে আয়োজিত বিশ্ব শান্তি সম্মেলনে যোগ দেন শেখ মুজিব। ১৯৫৩ সালের ৯ জুলাই তিনি পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী মুসলীম লীগের কাউন্সিল অধিবেশনে দলের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। ১৯৬৬ সালে দলের সভাপতি হওয়ার আগ পর্যন্ত তিনি এ পদে ছিলেন। ১৯৬৬ সালের ১ মার্চ শেখ মুজিবুর রহমান আওয়ামী লীগের সভাপতি এবং তাজউদ্দীন আহমদ সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। এ বছর প্রথম তিন মাসে শেখ মুজিব ৮ বার গ্রেফতার হন। এরপর ’৬৬-এর ঐতিহাসিক ৬ দফা, স্বায়ত্তশাসনের অধিকার আদায়ের আন্দোলন, কথিত আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলায় বঙ্গবন্ধু কারারুদ্ধ হন। ’৭০-এর নির্বাচনে বঙ্গবন্ধুর দেয়া ৬ দফার পক্ষে অকুণ্ঠ সমর্থন জানায় বাঙালি জাতি। এতে বঙ্গবন্ধুর আওয়ামী লীগ পাকিস্তানের সংখ্যাগরিষ্ঠ রাজনৈতিক দলের মর্যাদা লাভ করে। কিন্তু পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠী শেখ মুজিবের নেতৃত্বে বাঙালির এই নির্বাচনে বিজয়কে মেনে নেয়নি। সংখ্যাগরিষ্ঠ দল হিসেবে আওয়ামী লীগের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তরে তারা নানা ষড়যন্ত্র শুরু করে। আর অপেক্ষা নয়, ’৭১-এর মার্চেই বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে পশ্চিম পাকিস্তানের শাসকগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে নজিরবিহীন অসহযোগ আন্দোলন শুরু হয়। ৭ মার্চ তৎকালীন রেসকোর্স ময়দানে (বর্তমান সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) জনসমুদ্রে বঙ্গবন্ধু বর্জকণ্ঠে ঘোষণা করেন ‘এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম।’ বঙ্গবন্ধুর এই ঐতিহাসিক ভাষণে সাড়া দিয়ে সেদিন গোটা বাঙালি জাতি ঐক্যবদ্ধ হয়ে মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল। দীর্ঘ ৯ মাসের সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে বীর বাঙালি ’৭১-এর ১৬ ডিসেম্বর বিজয় ছিনিয়ে নেয়। জন্ম হয় স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশের। ’৭২-এর ১০ জানুয়ারি বিশ্ব নেতাদের চাপে পাকিস্তানের শাসকগোষ্ঠী বঙ্গবন্ধুকে মুক্তি দিতে বাধ্য হয়। পাকিস্তানের কারাগার থেকে মুক্তি লাভ করে তিনি স্বদেশ প্রত্যাবর্তন করেন। দেশে ফিরেই তিনি যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশ পুনর্গঠনে মনোনিবেশ করেন। তিনি বাংলার সাধারণ মানুষকে নিয়ে গড়তে চেয়েছিলেন সোনার বাংলা। তিনি এক জনসভায় বলেছিলেন আমার বাংলার যদি একটি মানুষও না খেয়ে মারা যায় তাহলে আমাদের এই স্বাধীনতা অর্থহীন হয়ে পড়বে। তখন তিনি আরও ঘোষণা করেন যেন বাংলার মানুষ নিজেদের আত্মকলহ ভুলে দেশ ও জনগণের কল্যাণে কাজ শুরু করে। তিনি বুঝতে পেড়েছিলেন দেশ থেকে ক্ষুধা ও দারিদ্র্য দূর করতে না পারলে এই স্বাধীনতা রক্ষা করা আরও কঠিন হয়ে পড়বে। তাই তিনি নিজেকে মেলে ধরলেন দেশ ও জনগণের সামাজিক, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক অধিকার প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে। ১৯৭৫ সালে জাতির অর্থনৈতিক মুক্তি তথা একটি শোষণমুক্ত ও সুখী-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গঠনের লক্ষ্যে তিনি জাতীয় কর্মসূচি ঘোষণা করেন। কিন্তু সেই সুযোগ বেশি দিন পাননি তিনি। এর কিছুদিনের মধ্যেই ’৭৫-এর ১৫ আগস্ট কালরাতে ঘাতকদের তপ্ত বুলেটে সপরিবারে নিহত হন তিনি।
বাংলা, বাঙালি ও বাংলাদেশের গৌরবোজ্জ্বল অধ্যায়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এক কালজয়ী অধ্যায়। এই দেশ ও এই ভূখ- যতদিন থাকবে, পদ্মা-মেঘনা-যমুনায় যতদিন স্রোতধারা বহমান থাকবে বঙ্গবন্ধুর নাম উচ্চারিত হবে এর সর্বত্রই। বাংলাদেশ ও বঙ্গবন্ধু এক অবিচ্ছেদ অধ্যায়। পৃথিবীর মানচিত্রে বাংলাদেশের অবস্থান চিত্রায়িত হয়েছে বঙ্গবন্ধুর কারণেই। বিশ্বসভায় বাঙালি জাতির সগর্ব উপস্থিতিই স্মরণ করিয়ে দেয় বঙ্গবন্ধুকে। তাই তো কবি লিখেছেন ‘যতদিন রবে পদ্মা যমুনা/গৌরী মেঘনা বহমান,/ততদিন রবে কীর্তি তোমার/শেখ মুজিবুর রহমান।’
লেখক: প্রভাষক, রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগ, মিরপুর বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ, ঢাকা



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: বাঙালির অধিকার প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে বঙ্গবন্ধু
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ