Inqilab Logo

রোববার ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৭ আশ্বিন ১৪৩১, ১৮ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরী

বৃহত্তর রংপুরের আলু ও ধানবীজ কম বরাদ্দ দেয়ার আশংকা করছে কৃষকরা

কুড়িগ্রাম জেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ৭ অক্টোবর, ২০২০, ৬:২২ পিএম

কুড়িগ্রাম সহ বৃহত্তর রংপুরের ৮ জেলায় আলু ও ধানের বীজের কম বরাদ্দ দেয়ার আশংকা করছে কৃষকরা। যদিও এখনও আলু ও বীজ মৌসুম শুরু হয়নি। এটি শুরু হতে আরও এক মাস সময় লাগবে বলে জানিয়েছে কৃষকরা। এবারের ৫ দফা বন্যায় এমনিতে কুড়িগ্রাম, লালমনির হাট,গাইবান্ধা, ও নীলফামারী জেলায় ব্যাপক ধান ও সবজির ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। তাই এ অঞ্চলের কৃষকরা এবার আগাম আলু সরিষা ও ধান লাগানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে। এই আবাদ করে তাদের কিছুটা ক্ষতি পুষিয়ে নিবে। তবে স্থানীয় বি এডিসির সার ও বীজ ডিলাররা বলছেন তারা বিভিন্ন সুত্রে খবর পেয়েছে বৃহত্তর রংপুর অঞ্চলে চলতি মৌসুমে আলু,ধান বীজের বরাদ্দ পরিমাণ কম দেয়ার সম্ভবনা রয়েছে। বিএডিসি বীজ বিপণন ঢাকাস্থ কেন্দ্রীয় অফিস থেকে সারা দেশের মত এ অঞ্চলেও এসব বীজ বরাদ্দ দেয়া হয়।যদি বীজ বরাদ্দ কম পায় তাহলে এ অঞ্চলের কৃষকরা বিরাট ক্ষতির মুখে পড়বে। বীজের পাশাপাশি গত চার মাস থেকে এ অঞ্চলে বিএডিসি সার ডিলারদের ডি এপি সার বরাদ্দ দেয়া হয় না। আর এম ও পি সার খুব সামান্য পরিমাণ বরাদ্দ দেয়া হয়। এমনিতেই এই সব ডিলারদের ইউরিয়া সার সরকার এখনও দেয়নি। ডিলাররা ইউরিয়া সার বরাদ্দ পাবার জন্য গত ৫ বছর থেকে নানা ভাবে চেষ্টা করেও কোন লাভ হয়নি অদৃশ্য কারণে। তবে সরকারের উচ্চ পর্যায়ে কর্মকর্তারা বার বার বার ইউরিয়া দেয়ার প্রতিশ্রতি দিয়ে আসলেও কোন কাজ হয়নি।

কুড়িগ্রাম বি এ ডিসি সার ও বীজ ডিলার এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ জানান, দেশের বিএডিসির ডিলাররা হচ্ছে কৃষকদের প্রাণ। দেশের কৃষি অর্থনীতি চাঙ্গা রাথতে দীর্ঘদিন থেকে কৃষকদের সাথে কাজ করে আসছে। অথচ তারা সবচেয়ে অবহেলিত। তারা বিভিন্ন জাতের ধান, আলু ও সবজী বীজ সরকারের নির্ধারিত মূল্যে বিক্রি করে। পাশাপাশি নন ইউরিয়া সারও বিক্রি করে। কিন্তু কৃষকদের প্রধান চাহিদা ইউরিয়া সারের কিন্তু তারা আজও বিক্রি করার অনুমতি পায়নি। তিনি আরও জানান, বৃহত্তর রংপুর অঞ্চলের ৮টি জেলার প্রায় ৮শ ডিলার প্রতি বছর চাহিদা অনুযায়ী আলু ও ধানের বীজ পায় না। এবারও সেই সংকটের আশংকা করছে বীজ ডিলাররা।

পর পর কয়েকদফা বন্যার পর কৃষকরা চরম ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে। তাই তারা আগাম আলু, ধান ও সবজি আবাদের উপর ঝুঁকে পড়ছে। এ জন্য গতবারের চাহিদার চেয়ে বেশী আলু ও গম বীজের দরকার।গত বছর ৫ জেলায় ৩ হাজার ৯শ৫০ মেঃটঃ আলু বীজ, ২ হাজার ৯শ৫০ মেঃটন ধানবীজ , ১ হাজার ২শ মেঃটন গম বীজ ও ৬২ মেঃ টন হাইব্রীড ধান বীজ বরাদ্দ দেয়া হয়েছিল। চলতি মৌসুমে এই বরাদ্দের দ্বিগুন দাবী করছে এ অঞ্চলের বীজ ডিলাররা। কারণ বন্যার কারণে এমনি ধান নষ্ট হয়ছে। তাই কৃষকরা এবার আলু,গম, ও সরিষা আবাদের দিকে ঝুঁকে পড়েছে। সেই অনুযায়ী তারা প্রস্তুতি নেয়া শুরু করেছে।

রংপুর সার ও বীজ ডিলার এসোসিয়েশনের বিভাগীয় সভাপতি বাবলু মিয়া জানান, সরকার কোন অবস্থাতে যেন চলতি মৌসুমে বরাদ্দ না কমায় সরকারের কাছে জোর দাবী করছেন। কারণ এমনিতেই এ অঞ্চলের কৃষকরা বন্যায় খুব ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

রংপুর অঞ্চলের বি এ ডিসির ডি ডি মার্কেটিং আলুর উপ পরিচালক আসাদুজ্জামান খান জানান, আলু বীজের এখনও বরাদ্দ হয়নি। কম বা বেশী বরাদ্দের কথা এ মুহুর্তে বলা যাবে না। তবে উর্দ্ধেতন কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করেছি যেন আলুর বরাদ্দ যেন গতবারের মত রাখে। বিষয়টি তারা বিচেনা করছেন বলে জানান।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ