Inqilab Logo

শুক্রবার ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ৩০ কার্তিক ১৪৩১, ১২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

নারী সংগঠনের ভূমিকায় হতাশ হাইকোর্ট

গৃহবধূকে বিবস্ত্রকরণের ভিডিও

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৭ অক্টোবর, ২০২০, ১২:০০ এএম

নোয়াখালীতে গৃহবধূকে বিবস্ত্রকরণ এবং ভিডিও করে তা ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেয়ার ঘটনায় মানবাধিকার ও নারী সংগঠনগুলোর ভূমিকায় হতাশা ব্যক্ত করেছেন হাইকোর্ট। আদালত বলেন, ৩২ দিন পর ভিডিওটি ভাইরাল হয়েছে। এর আগে পুলিশ কি করেছে? কোনো মানবাধিকার কিংবা নারী সংগঠন আদালতের শরণাপন্ন হয়নি। গতকাল বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া এবং বিচারপতি মহিউদ্দিন শামীমের ডিভিশন বেঞ্চ এ হতাশা ব্যক্ত করেন।

পরে এ বিষয়ক ৫ দফা নির্দেশনা জারির পাশাপাশি রুল জারি করেন হাইকোর্ট। শুনানিকালে আইনজীবীদের উদ্দেশে আদালত বলেন, এই ভিডিও যদি ভাইরাল না হতো তাহলে তো পুলিশ জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিত না। ঘটনা সবার চোখের আড়ালেই থেকে যেত। আমরা আশাহত হয়েছি, ‘অধিকার’, ‘আইন ও সালিশ কেন্দ্র’, ‘ব্লাস্ট’র মতো সংগঠন বা কোনো নারী সংগঠন এখন পর্যন্ত এগিয়ে আসেনি।

বেগমগঞ্জে গৃহবধূকে বিবস্ত্র করার ঘটনায় নির্দেশনা চেয়ে বক্তব্য দেন- সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট এএম আমিনউদ্দিন, সমিতির সম্পাদক ব্যারিস্টার রূহুল কুদ্দুস কাজল, ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া, অ্যাডভোকেট ইয়াদিয়া জামান, জামিউল হক ফয়সাল, রাশিদা চৌধুরী নিলু, তানজীম আল ইসলাম প্রমুখ। সরকারপক্ষে বক্তব্য দেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল নওরোজ রাসেল চৌধুরী।

এর আগে গত ৫ অক্টোবর সকালে নারী নির্যাতনের এ ঘটনা আদালতের নজরে এনে ওই ভিডিও অপসারণসহ প্রয়োজনীয় নির্দেশনা চেয়ে আবেদন করেন সুপ্রিম কোর্ট বারের দুই আইনজীবী। আদালত তাদেরকে লিখিত আবেদন করতে বলেন। শুনানির জন্য বেলা ২টা ৩০ মিনিট সময় নির্ধারণ করেন। নির্ধারিত সময়ে শুনানি শেষ করে হাইকোর্ট কয়েকটি আদেশের পাশাপাশি একটি রুল জারি করেন।

পরে অ্যাডভোকেট এএম জামিউল হক ফয়সাল সাংবাদিকদের বলেন, আদালত কয়েকটি নির্দেশনাসহ একটি রুল জারি করেছেন। কয়েকটি অবজারভেশনও দিয়েছেন। তবে আদালত একটি বিষয়ে উষ্মা প্রকাশ করেছেন। ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। হতাশা ব্যক্ত করে আদালত নারী সংগঠনের বিষয়ে বলেন, দেশে এতো এতো নারী সংগঠন। তারা আজ কোথায়? তারা কেন এ ঘটনার বিচার চেয়ে আদালতের কাছে এলো না? সত্যিই অবাক হলাম। এত নারী সংগঠন থাকা সত্তে¡ও একটি নারী সংগঠনও নারী নির্যাতনের এ লোমহর্ষক ঘটনার বিচার চেয়ে আদালতে আসেনি।

প্রসঙ্গত, গত ২ সেপ্টেম্বর নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার একলাশপুর ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডে নারীর ওপর অমানুসিক নির্যাতনের ঘটনা ঘটে। ঘটনার ৩২ দিন পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর গত ৪ অক্টোবর প্রকাশ্যে আসে। এর আগে নির্যাতনের শিকার ওই গৃহবধূ বাদী হয়ে ৯ জনের বিরুদ্ধে বেগমগঞ্জ মডেল থানায় মামলা করেন। গতকাল পর্যন্ত এ মামলায় ৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।



 

Show all comments
  • নওরিন ৭ অক্টোবর, ২০২০, ৯:০৭ এএম says : 0
    নারী সংগঠনগুলো শুধু যেখানে স্বার্থ আছে সেখানেই কাজ করে
    Total Reply(0) Reply
  • সালাউদ্দিন ৭ অক্টোবর, ২০২০, ৩:০৯ পিএম says : 0
    নারীবাদী সংগঠনেরা রক্ষক নয় এরা ভক্ষক তা নাহলে এত ধর্ষণের পরও তারা নিশ্চুপ কেন
    Total Reply(0) Reply
  • Mohammed Shah Alam Khan ৭ অক্টোবর, ২০২০, ৯:২৬ পিএম says : 0
    নিন্দুকেরা বলছেন, তারা (নিন্দুকেরা) বহুবছর ধরে ধর্ষণের মামলায় উকিল বাবুদেরকে এই ধর্ষণকে উভয় পক্ষের এক আনন্দ, উপভোগ জনক খেলা হিসাবেই প্রামাণ করে আসছে। নিন্দুকেরা আরো বলছেন, সাথে সাথে উকিল বাবুরা মানবিকতা ও নৈতিকতার বিসর্জন দিয়ে পকেট মোটা করার জন্যে আদালতে বাদী ও বাদী পক্ষের লোকদেরকে যৌন সংক্রান্ত নানা রকম অশ্লিল প্রশ্ন করে নাজেহাল করায় এসব মামলায় কোন সাক্ষি আসতে চায়না যে কারনে মামলা বেশী দিন চলেনা... এইসব অমানবিক অনৈতিকতায় পরিপূর্ণ উকিল বাবুদের ভয়ে বুদ্ধিজীবীরা মুখে তালা লাগিয়ে ঘরে বসে আছে। কাজেই নিন্দুকেরা বলছেন, এখন সাধারন জনগণকে উকিল বাবুদের বিরুদ্ধে আন্দলনে নামতে হবে একটাই দাবী নিয়ে যে, উকিল বাবুদেরকে সত্য কথা বলতে হবে এবং সততার সাথে তাদের মহান দায়িত্ব পালন করতে হবে। সরকারের প্রতি আরো একটা দাবী আদায়ের জন্যে আন্দোলন করতে হবে সেটা হচ্ছে, সরকারকে বাধ্য করতে হবে উকিল বাবুদের মিথ্যা কথা বলার উপর সাজার দেয়ার আইন প্রণয়ন করতে। নিন্দুকেরা বলছেন এই দুই কাজ করতে পারলেই দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠিত হবে ইনশ’আল্লাহ।
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: হাইকোর্ট


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ