Inqilab Logo

শুক্রবার ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২০ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

চন্দনাইশে গ্রামীণ সড়কের করুণ হাল

এম এ মোহসীন, চন্দনাইশ (চট্টগ্রাম) থেকে | প্রকাশের সময় : ৭ অক্টোবর, ২০২০, ১২:০৬ এএম

চট্টগ্রামের চন্দনাইশ উপজেলা সাতবাড়িয়া ইউনিয়নের পল্লী এলাকার কয়েকটি সড়ক একেবারে জরাজীর্ণ হয়ে পড়েছে। তারমধ্যে পূর্ব সাতবাড়িয়া ৬নং ওয়ার্ডে ভোগবানহাট থেকে নগরপাড়ার দেওয়ানহাট সড়কে সংযুক্ত রোন্নারগাড়া পর্যন্ত সড়কটি চলাচল অযোগ্য হয়ে পড়েছে। বিশেষ করে হাকিমনগর থেকে রোন্নারগাড়া পযর্ন্ত এ সড়কে একেবারই বেহাল দশা।
এ ব্যাপারে স্থানীয় সমাজ সেবক আলী করিম বাবুল ও মাওলানা সাইফুল্লাহ জানান, এ সড়ক দিয়ে প্রতিদিন সহস্রাধিক জনসাধারণ ছাড়াও স্কুল, কলেজ, মাদরাসার শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন পেশার চাকরিজীবী যাতায়াত করেন। এ সড়কের পাশেই রয়েছে পূর্ব সাতবাড়িয়া হাজিরপাড়া বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, বার আউলিয়া সিনিয়র মাদরাসাসহ গ্রামীণ আরো অনেক বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও কিন্ডারগার্ডেন। দেওয়ানহাট-নগরপাড়া সড়কের খাজা আজমীর অটোরিকশা চালক ও মালিক সমিতির সভাপতি আকতারুল আলম জানান, এ সড়কের দক্ষিণে নগরপাড়া, বৈলতলী দেওয়ানহাট সড়কের সাথে সংযুক্ত এবং উত্তরে উপজেলা সদর তথা খানহাট, বাগিচারহাট মহাসড়কে যাতায়াতের জন্য ভোগবানহাট সংযুক্ত। তাই এ সড়কটি প্রশাসনসহ কয়েকটি ইউনিয়নে যোগাযোগ জন্য অতি গুরুত্বপূর্ণ।
স্থানীয় মাওলানা ইসহাক ও মো. আবদুল মোনাফ জানান, এ সড়কে ভোগবানহাটের দক্ষিণে খদ্দারগাঁ ভাঙা ব্রিজটি ও ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। ব্রিজটি নিচ থেকে অতি উচ্চতা এবং দু›পাশে রেলিং না থাকার ফলে অনেকে ব্রিজ থেকে পা পিচলে নিচে পড়ে জীবনের জন্য পঙ্গুত্ব বরণ করেছেন।
সরেজমিনে দেখা যায়, গত ২৩ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় মো. ফরিদ নামে এক মোটরসাইকেল আরোহী স্ত্রীকে সাথে করে যাওয়ার পথে উক্ত ব্রিজে উল্টে গুরুতর আহত হয়। তাছাড়া মো. ইসলাম ও নূর মোহাম্মদ নামে ২ ব্যক্তিসহ আরো অনেকে উক্ত ব্রিজ থেকে পড়ে চিরতরে পঙ্গু হয়ে গেছে। এ পথে মুমুর্ষু রোগী ও ডেলিভারি রোগী নিয়ে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে যেতে দুর্ভোগের অন্ত নেই।
ইউপি চেয়ারম্যান আহমদুর রহমান (ডিলার) জানান, সড়ক সংস্কারে কর্তৃপক্ষের কোন উদ্যোগ দেখা যাচ্ছে না। এ সড়কটি টেন্ডার হয়েছে বলে জানা গেছে। সড়কটি দ্রুত মেরামতের জন্য স্থানীয় এলাকাবাসী সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি আশা করছেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ