Inqilab Logo

শুক্রবার, ০৫ জুলাই ২০২৪, ২১ আষাঢ় ১৪৩১, ২৮ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

মেয়ের খোঁজ নিয়ে যেয়ে বখাটের হাতে বেধড়ক পিটুনির শিকার হলেন সুনামগঞ্জে এক বৃদ্ধ : গ্রেফতার ৪

সিলেট ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ৬ অক্টোবর, ২০২০, ৫:১৯ পিএম

সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে মেয়েকে উত্যক্ত ও ঘর থেকে তুলে নিয়ে যাওয়ার প্রতিবাদ করায় এক বৃদ্ধ (৬৫) বাবাকে রড দিয়ে পিটিয়ে আহত করেছে বখাটে শামীমের নেতৃত্বে একদল দূর্র্বৃত্ত। সে উপজেলার পাইলগাও ইউনিয়নের গুতগাও গ্রামের আংগুর মিয়ার পূত্র। সোমবার (৫ অক্টোবর) এ ঘটনা ঘটে। সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে নিখোঁজ হওয়া তরুণীকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (৬ অক্টোবর) সকালে হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে নির্যাতিত বৃদ্ধার কন্যাকে। এছাড়া গ্রেফতার করা হয়েছে ৪জনকে।
স্থানীয় সূত্র জানায়, এক সন্তানের জননী ওই নারী তালাকপ্রাপ্ত হওয়ায় দু’বছর ধরে থাকতেন বাবার বাড়িতেই। বিভিন্ন বাসায় গৃহ পরিচারিকার কাজ করতেন ওই মহিলা । সম্প্রতি হবিগঞ্জ জেলার নবীগঞ্জ উপজেলার রাজনগর গ্রামে এক ব্যক্তির বাড়িতে গৃহ পরিচারিকার কাজ করতেন। সেখান থেকে গত ৩০ সেপ্টেম্বর বিকেলে ওই নারীকে তুলে নিয়ে যায় বৃদ্ধকে নির্যাতনকারী শামীম। এ খবর জানতে পেরে সোমবার (৫ অক্টোবর) শামীমের দেখা পেয়ে ওই বৃদ্ধ জানতে চান, তার মেয়েকে কোথায় রেখেছেসে । এতে ক্ষুব্ধ হয়ে শামীম ওই বৃদ্ধকে আলীগঞ্জ বাজারের কলোনির ভাড়া বাসা থেকে ধরে নিয়ে গিয়ে রড দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে। এসময় শামীমের সঙ্গে আরও সহযোগী ছিল বলেও অভিযোগ করেছেন ওই বৃদ্ধ। নির্যাতনের শিকার ওই বৃদ্ধ বলেন, ৬ দিন ধরে মেয়ের খোঁজ পাচ্ছেন না তিনি। তার মেয়ে তালাকপ্রাপ্ত হওয়ার পর থেকে শামীম তাকে উত্ত্যক্ত করতো। তবে শামীমকে মেয়ের কথা জিজ্ঞেস করতেই সে ক্ষেপে যায়। কথা কাটাকাটি এক পর্যায়ে ( সোমবার আলীগঞ্জ এলাকার তার (বৃদ্ধের) বাসা থেকে শামীম, লিটন ও লিয়াকত,আক্কাইসহ আরও দুইজন তাকে ধরে নিয়ে গিয়ে রড দিয়ে বেধড়ক পিটিয়েছে । মেয়েকে উদ্ধার সহ এ তার উপর নির্মম হামলার বিচার দাবি করেছেন তিনি।
উল্লেখ্য, বৃদ্ধকে মারধরের ছবি ও তার মেয়ে নিখোঁজের ঘটনার বর্ণনা দিয়ে ঘটনাটি ভাইরাল হচ্ছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। স্থানীয়ভাবে ধারণ করা ভিডিওতে দেখা যায় মেয়ের বাবার হাতে ও পিঠে পায়ে রডের আঘাতের চিহ্ন। নির্যাতনের শিকার বৃদ্ধ তাকে মারধর ও তার মেয়ে নিখোঁজের বিষয়ে এসব কথা জানাচ্ছেন ভিডিওতে।
ভিডিওতে বৃদ্ধকে আরও বলতে শোনা যায়, দীর্ঘদিন যাবত শামীম তার মেয়েকে ঘর থেকে ধরে নিয়ে যেয়ে নির্যাতন করে যাচ্ছে। স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ৪ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্যকে জানিয়েও কোন প্রতিকার পাননি তিনি। তার মেয়ে এখন কোথায় আছে জানেন না তিনি।
স্থানীয় পাইলগাও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হাজী মো. মখলুছ মিয়া বলেন, বিষয়টি তাকে কেউ জানায়নি।
জগন্নাথপুর থানার ওসি তদন্ত মো মুসলেহ উদ্দিন আহমেদ বলেন, নির্যাতনকারী শামীম ও তার লোকজনদের ধরতে রাত থেকে অভিযান অব্যাহত রেখেছে পুলিশ।
এদিকে, সুনামগঞ্জের পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান জানিয়েছেন, বৃদ্ধার মেয়ে নিখোঁজ হয়নি। সে বিয়ে করে চলে গিয়েছিল নবীগঞ্জ। তাকে পুলিশী হেফাজতে নিয়ে আসা হয়েছে। আটক করা হয়েছে ৪ জনকেও ।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ