Inqilab Logo

রোববার ০৩ নভেম্বর ২০২৪, ১৮ কার্তিক ১৪৩১, ৩০ রবিউস সানী ১৪৪৬ হিজরি

তিন মাসে ধর্ষণের শিকার অর্ধশতাধিক নারী ও শিশু খুমেক হাসপাতালে ভর্তি

খুলনা ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ৬ অক্টোবর, ২০২০, ৩:৩৪ পিএম

মহামারী করোনাভাইরাসের মধ্যেও সহিংসতার শিকার হচ্ছে নারী ও শিশু; ঘটছে ধর্ষণের ঘটনাও। গত তিন মাসে ধর্ষণের শিকার হয়ে খুলনা মেডিকেল কলেজের ওয়ানস্টপ ক্রাইসিস সার্র্ভিসে (ওসিসি) ভর্তি হয়েছে ৫১ জন নারী ও শিশু। এর মধ্যে সাড়ে চার বছরের শিশু থেকে শুরু করে ষাট বছরের বৃদ্ধাও রয়েছে। গেল ৩ জুলাই থেকে শুরু করে গত দিন মাসের এ বর্বরোচিত ঘটনাগুলো ঘটে। একই সময় শারীরিক নির্যাতনের শিকার হয়ে হাসপাতালে আসার সংখ্যাও কম নয়।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কিছু মানুষের মানসিক কু-প্রবৃত্তি আর হিংসাত্মক মনোভাব বৃদ্ধি এবং তাদের সঠিক বিচার না হওয়ায় ধর্ষণের প্রবণতা আরও বৃদ্ধি পেয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) গত তিন মাসে ৫১ জন নারী ও শিশু ধর্ষণের শিকার হয়ে ভর্তি হয়েছে। এর মধ্যে ৯ জনের বয়স ১৮ বছরের নিচে। আর বাকীরা ১৮ বছরের উর্দ্ধে। ২৪ সেপ্টেম্ববর ধর্ষণের শিকার হয়, খালিশপুর থানা এলাকায় ৬৫ বছর বয়সী এক নারী। এছাড়া বেশির ভাগ ঘটনাই খুলনার দাকোপ বটিয়াঘাটা ও পাইকগাছা উপজেলার।
সূত্রটি জানায়, খুলনার কয়রা উপজেলার বালিয়াপুর গ্রামের বাসিন্দা সাড়ে ৪ বছরের এক শিশু ধর্ষণের শিকার হয়ে গত ১৮ আগস্ট ওসিসিতে ভর্তি হয়। গত ১৪ সেপ্টেম্বর জেলার তেরখাদা উপজেলায় পুলিশ সদস্য কর্তৃক চতুর্থ শ্রেণির এক ছাত্রী (৯) ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় পুলিশ উপজেলার মধুপুর ইউনিয়নের মোকামপুর গ্রামের রেজাউল ইসলামকে (২২) গ্রেপ্তার করে। তিনি নাটোর পুলিশ লাইনসে কর্মরত।
নগরীর দৌলতপুর থানাধীন মহেশ^রপাশা ধর্ষণের শিকার এক কিশোরীর বাবা বলেন, কোন ধর্ষণের সঠিক বিচার পাওয়া যায় না। যে কারণে প্রতিনিয়ত ধর্ষণের শিকার হচ্ছে আমাদের সন্তান আমাদের মা আমাদের বোন। একটি সঠিক বিচার হলে ধর্ষণের পরিমান কমে যেত বলে মনে করেন তিনি।
এ বিষয়ে জনউদ্যোগ নারী সেলের আহবায়ক এড. শামীমা সুলতানা শীলু বলেন, ‘প্রতিনিয়তই নারীর প্রতি সহিংসতা বেড়ে চলেছে। খুলনাতেও উদ্বেগজনক হারে ধর্ষণের ঘটনা বাড়ছে। মূলত কিছু মানুষের মানসিক কুপ্রবৃত্তি আর হিংসাত্মক মনোভাব বৃদ্ধির ফলেই এসব ঘটনা বেশি ঘটছে।’ যদি দ্রুত সময়ের মধ্যে উপযুক্ত শাস্তির ব্যবস্থা করা যেত তাহলে এসব অপরাধ প্রবণতা কমে আসতো বলে দাবি করেন তিনি।



 

Show all comments
  • Mohamed Monir Alam ৬ অক্টোবর, ২০২০, ৪:০৬ পিএম says : 0
    The only way to stop widespread raping is to hang these rapists without having any mercy to them and it should be done without making any more delay to save our mothers and sisters insha Allaah
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ