পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
দেশে ধর্ষণের ঘটনা প্রসঙ্গে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, সিলেটের এমসি কলেজে নারী ধর্ষণের ঘটনায় প্রমাণিত হয় যেন আদিম যুগ ফিরে এসেছে।তারপর নোয়াখালীর একলাশপুরে নারীর ওপর বীভৎস নিপীড়ন করা হলো। আর আওয়ামী লীগের এমপি মন্ত্রীরা বলছে প্রলাপ। তার বিএনপিকে দোষারোপ করছে। আমরা দেখেছি আওয়ামী লীগ অর্থ পাচার, লুটপাট আর দুর্নীতির সাথে জড়িত। এখন ধর্ষণের ঘটনায় আওয়ামী লীগের মন্ত্রী ও এমপিদের বক্তব্য শুনে মনে হচ্ছে আসলে তারা ইতরের দল। আমরা কোন দেশে বাস করছি? পাকিস্তান আমলেও এ ধরনের ঘটনা ঘটেছে কি না জানি না। কিন্তু এখন ঘটছে।
মঙ্গলবার (০৬ অক্টোবর) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
জাতীয়তাবাদী ওলামা দলের ৪১ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে “শহীদ জিয়ার রাজনৈতিক দর্শন, ধর্মীয় মূল্যবোধ ও আজকের প্রেক্ষাপট” শীর্ষক এই আলোচনা সভা।
রিজভী বলেছেন, দেশে চলছে রাষ্ট্রীয় অনাচার।আজকে কারো কোনো নিরাপত্তা নেই। সুতরাং অবৈধ সরকার ও অনাচারের বিরুদ্ধে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে এগিয়ে আসতে হবে। প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।
রুহুল কবির রিজভী বলেন, আজকে সমাজ ও রাষ্ট্র ব্যবস্থায় যারা দখল করে বসে আছেন তাদের দ্বারা ১২ বছরে আলেম ওলামাদের নানাভাবে নিপীড়ন করা হয়েছে।
বিশেষ করে হেফাজতের আন্দোলনের সময়। এ যে রাষ্ট্রের নিষ্ঠুর আচরণ। মানুষ যেন বিপন্ন। বাড়িতে থাকতে ভয় পাচ্ছে। রাস্তায় চলতে ভয় পায়।
তিনি বলেন, অপরাধীদের বিরুদ্ধে নিপীড়িত পরিবার মুখ খুলতে ভয় পাচ্ছে। পুলিশও নিশ্চুপ। তাহলে বুঝেন শেখ হাসিনা কোন ধরনের শাসন ব্যবস্থা কায়েম করেছেন?
কারণ এ ধরনের অপরাধীদের আশ্রয় দিয়ে লালন করছে রাষ্ট্র ও সরকার। এই হচ্ছে জনগণের পাশে আওয়ামী লীগের থাকার নমুনা।
অথচ বিএনপি একটি মিছিল করুক টপাটপ গ্রেফতার করে। বড় কোনো কিছু করুক তখন গোয়েন্দা অভিযান করে। এখানে তারা খুব নৈপূণ্য দেখায়।
তারা মনে করে প্রশাসনের কোনো দায় নেই। এখানে রাষ্ট্রের মদদ আছে। প্রধানমন্ত্রী তো আশ্রয় দিচ্ছেন।
কেনো আপনারা শোনেননি সাংবাদিক সাগর রুনির হত্যার বিচার প্রশ্নে তারা বললো সরকার কি বেডরুম পাহারা দেবে? এতেই তো দুষ্কৃতকারীরা আসকারা পাচ্ছেন।
ধর্ষণের শাস্তি না হওয়া প্রসঙ্গে রিজভী বলেন, ধর্ষকদের শাস্তি হয় না। কারণ তারা তো ছাত্রলীগ করে। সরকারের সোনার ছেলে তারা।
আপনারা দেখবেন বুয়েটের মেধাবী ছাত্র আবরারের হত্যাকারীদের জেলখানায় রাখা হয় জামাই আদরে। পরীক্ষার জন্য সুযোগ দেয়া হয়।
আর আমাদের (বিএনপি) নেতাকর্মীদেরকে জেলখানায় দেয়া ইটের বালিশ। আমরা গণতন্ত্র, সুষ্ঠু নির্বাচনের কথা বললে কণ্ঠস্বর চেপে ধরে।
রিজভী বলেন, কক্সবাজারের টেকনাফে ওসি প্রদীপ কতো জঘন্য অপরাধ ও অপকর্ম করেছে তাদের বিরুদ্ধে কি ব্যবস্থা নেয়া হলো?
বরং কক্সবাজারের এসপি অন্যায় করেও পার পেয়ে গেছেন। তাকে প্রাইজ পোস্টিং দেয়া হলো রাজশাহীতে!
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, আজকে শুধু এমসি কলেজে না, আনন্দ মোহন কলেজে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়েও এসব হচ্ছে। কারণ সব তাদের দখলে।
রিজভী বলেন, সরকার একটা অপকর্ম দিয়ে আরেকটি ঢাকার চেষ্টা করছে। এখন উলফার সাথে বিএনপি জামায়াত জড়িত থাকার খবর রটানো হচ্ছে।
এর দ্বারা জনগণের দৃষ্টি ভিন্নদিকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। ভারতের সাথে সরকারের স্বামী-স্ত্রীর যে সম্পর্ক তা অটুট রাখতে এসব করছে।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের আমলে সারাদেশে নারী নির্যাতনের কলংকিত রুপ বিস্তার লাভ করেছে। আগামী বছর তারা আরো ভয়াবহতা নিয়ে আসবে।
আজকে মানুষ আতংকিত। তারা বিচলিত। শংকিত। যেখানে একটা সম্ভ্রমহানির বড়ো অপরাধ সংঘটিত হলো আর জানাজানি হলো ৩২ দিন পর।
তাহলে জাতি কি লাখো শহীদের রক্তের বিনিময়ে এই বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন দেখেছিলেন?
রিজভী বলেন, এই পরিস্থিতি আর চলতে পারেনা। সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে এগিয়ে যেতে হবে। প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।
আজকে কারো কোনো নিরাপত্তা নেই। রাষ্ট্রীয় অনাচার চলছে। ঘরে বসে থাকার সময় নেই।
ওলামা দলের আহ্বায়ক শাহ মাওলানা নেছারুল হকের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব নজরুল ইসলাম তালুকদারের পরিচালনায় আলোচনা সভায় বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা
আবদুস সালাম, সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবদুস সালাম আজাদ,
সহ-প্রচার সম্পাদক কৃষিবিদ শামীমুর রহমান শামীম, বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মুহাম্মদ রহমাতুল্লাহ,
ওলামা দলের আলমগীর হোসেন, আবুল হোসেন, হাজী মনজুরুল ইসলাম, আশিকুর রহমান রাজু, শামসুর রাহমান খান বেনু ও হাফেজ মুহাম্মদ মাসুম বিল্লাহ প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।