প্রাক্তন প্রেমিকের নির্যাতনের শিকার অভিনেত্রী
মালায়ালাম সিনেমার অভিনেত্রী আনিকা বিক্রমন। প্রাক্তন প্রেমিক অনুপ পিল্লাই তাকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করেছেন বলে অভিযোগ
বলিউড তারকা সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যু তদন্তে তাকে খুনের আশঙ্কাকে নাকচ করে দিয়েছেন অল ইন্ডিয়া ইন্সটিটিউট অব মেডিক্যাল সায়েন্স (এমস)। এমস জানিয়েছিল, সুশান্ত নিশ্চিতভাবে আত্মহত্যা করেছে। তাকে খুনের মত কোনো আশঙ্কা দেখা যাচ্ছে না। আর তারপরই একটি অডিও ক্লিপ ফাঁস করে মুম্বাই সংবাদমাধ্যম।
অডিও ক্লিপে কোনো একজন বলছে, সুশান্ত আত্মহত্যা করেননি, খুন করা হয়েছে তাকে। যার অর্থ এমস’র প্রতিবেদনের বিপরীতে তথ্য উঠে আসে অডিও’তে। সংবাদমাধ্যমের দাবি, কথাগুলো বলেছেন এমসের চিকিৎসক সুধীর গুপ্ত।
ওই চিকিৎসকের নেতৃত্বেই এমস’র প্রতিনিধি দল সুশান্তের পোস্টমর্টেম এবং ভিসেরা প্রতিবেদন পুনরায় পরীক্ষা করার পর মৃত্যুর কারণ হিসেবে আত্মহত্যাকে দায়ী করেন। সিবিআইয়ের হাতে তুলে দেয়া প্রতিবেদনে এমস জানিয়েছে, অভিনেতার ওপর বিষ প্রয়োগের কোনো প্রমাণ খুঁজে পাওয়া যায়নি। সুশান্তের পরিবারের দাবি নাকচ করে জানানো হয়, অভিনেতার গলায় ফাঁসের দাগ ছাড়া অন্য কোনো ক্ষতের দাগ পাওয়া যায়নি। এমনকি তার দেহ বা জামাকাপড় থেকেও কোনো ধস্তাধস্তির প্রমাণ মিলেনি।
সুশান্তের পরিবার এখনও স্বস্তির নিশ্বাস ফেলতে পারেনি। তাদের পারিবারিক আইনজীবী বিকাশ সিংহ সংবাদ সম্মেলনে দাবি করেছিলেন, এমস’র আগে এক চিকিৎসক তাকে বলেছিলেন, সুশান্তকে শ্বাসরোধে খুন করা হয়েছে। আর এটা ২’শত ভাগ নিশ্চিত তিনি। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সেই চিকিৎসক আরও জানিয়েছিলেন, সে এমস’র বিশেষ টিমের একজন।
অডিও ক্লিপ ভাইরাল হওয়ার পর এবার স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠেছে, তাহলে কি সেটা সুধীর গুপ্ত চিকিৎসক। আর তাই যদি হয়ে থাকে তাহলে সুশান্ত মৃত্যু তদন্ত প্রতিবেদন ১৮০ ডিগ্রি ঘুরে গিয়ে কেন আত্মহত্যাকে সবার সামনে তুলে ধরছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।