রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
ফেনী শহরের একাডেমি সড়কটি দখলে-দূষণে নাজেহাল। অবৈধ গাড়িপার্কিং ও খানাখন্দে বেহাল অবস্থা। সরেজমিনে দেখা যায়, শহরের রেলগেট থেকে সদর হাসপাতাল মোড় চৌরাস্তা পর্যন্ত দেড় কি.মি. জনগুরুত্বপূর্ণ একাডেমি সড়ক। এক সময় এ সড়কটি ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটের প্রধান সড়ক হিসেবে ব্যবহার হয়েছিল। বর্তমানে ফুলগাজী, পরশুরামের বিলোনিয়া স্থলবন্দর, ছাগলনাইয়া, শুভপুর ও করেরহাট যাওয়ার প্রধান সড়ক এটি। প্রতিদিন এই সড়ক দিয়ে ছোট-বড় অসংখ্য গাড়ি চলাচল করে। বিশেষ করে ফেনী সরকারি জেনারেল হাসপাতাল থাকায় সবসময় এই সড়ক দিয়ে মূমুর্ষ রোগী নিয়ে অ্যাম্বুলেন্সের চলাচল বেশি। কিন্তু কিছু অসাধু ব্যবসায়ী সড়কের ওপর প্রতিদিন গাড়ির খোলা পার্টস, পুরান বিকল গাড়ির যন্ত্রাংশ, হোন্ডার গ্যারেজ, গ্রিল ওয়ার্কশপের ওয়েল্ডিং মেশিন, রংয়ের মেশিন, পুরাতন লোহার দরজা জানালা, রড, সিমেন্ট, পাথর, ইট, বালি, খোয়াসহ অসংখ্য মালামাল স্তুূপ করে রাখে। ফলে পথচারী ও যানবাহন চলাচলে সীমাহীন দুর্ভোগে পড়তে হয় এবং যানজট লেগেই থাকে।
এদিকে সড়কের ওপর যত্রতত্র পৌরবর্জ্যরে স্তুূপ পরিবেশকে বিষিয়ে তুলেছে। সড়কের দুইপাশে পৌরসভার ড্রেনগুলোর অবস্থা খুবই নাজুক। গত দুই বছর পূর্বে সড়কের পূর্বপাশে কিছু অংশে ড্রেন নির্মাণ করা হলেও পশ্চিম পাশে আগের পুরাতন সরু ড্রেন রয়ে গেছে। ড্রেনগুলোতে ময়লা-আবর্জনা, প্লাস্টিক বর্জ্য আটকে মাটিতে ভরাট হয়ে যায়, বর্ষামৌসুমে বৃষ্টির পানি ড্রেন দিয়ে সরেনা, ফলে শহীদ সালাম স্টেডিয়াম থেকে সদর হাসপাতাল মোড় পর্যন্ত সড়কে হাটু পরিমান পানি ওঠে পানিবদ্ধতা সৃষ্টি হয়। মানুষের বাসাবাড়িতেও পানি ওঠে যায়। এই পানি দুই তিন দিনেও সড়ক থেকে নামে না, ফলে সড়কের কার্পেটিং ওঠে গিয়ে বড় বড় গর্ত ও খানাখন্দ সৃষ্টি হয়ে গাড়ি চলাচলের অনুপযোগি হয়ে পড়ে। গত কয়েক যুগ ধরে এই দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে স্থানীয় বাসিন্দা, স্কুল কলেজের ছাত্র-ছাত্রী, পথচারী, ব্যবসায়ী, যাত্রী ও গাড়ি চালকদের।
কথা হয় কয়েকজন ব্যবসায়ী, পথচারী ও স্থানীয় বাসিন্দাদের সাথে, তারা ইনকিলাবকে বলেন, একাডেমি সড়কে কোন শৃংঙ্খলা ও পরিবেশ নেই। পুরো সড়কজুড়ে মালামালের স্তুূপ, গাড়ি মেরামতের কারখানা, যেখানে সেখানে ময়লার স্তুূপ, ড্রেনেজ নিষ্কাসন ব্যাবস্থা ঠিক না থাকায় বৃষ্টি হলে সড়কে হাটু পরিমান পানি ওঠে যাওয়া। এসব সমস্যার কারণে অনেক বছর ধরে মানুষজন খুব কষ্ট করছে। ভোগান্তি থেকে নিস্তার পেতে ভুক্তভোগিরা স্থানীয় দুই কাউন্সিলর ও পৌরমেয়রকে বার বার অবহিত করার পরও তাদের এ বিষয়ে কোন নজর নেই বলে জানান।
ফেনী সড়ক উপবিভাগ-২ এর উপ-সহকারী প্রকৌশলী বিল্লাল হোসেন জানান, সড়কের দুইপাশে পৌরসভার ভাঙা ড্রেনগুলো মেরামত হয় না অনেক বছর। যত্রতত্র সড়কে পৌরবর্জ্য ফেলার কারণে আমাদের অধিনে থাকা সড়কগুলির ক্ষতি হচ্ছে। এ বিষয়ে ফেনী পৌরসভাকে চিঠি দেয়া হয়েছে অনেকবার, কিন্তু কাজের কোন অগ্রগতি হচ্ছে না।
এ বিষয়ে ফেনী পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আজিজুল হক জানান, একাডেমি সড়কটি পৌরসভার ড্রেন থেকে নিচু হওয়ায় সড়কে পানি ওঠে যায়। সড়ক বিভাগকে প্রথমে তাদের রাস্তা উঁচু করতে হবে। না হলে সমস্যা থেকেই যাবে। তিনি বলেন, আগামী প্রজেক্টে প্রথমে ওই সড়কে দুইপাশে পৌরসভার অধিনে থাকা ড্রেনগুলোর নির্মাণ কাজ শুরু হবে।
ফেনী টিআই (প্রশাসন) মো. আলাউদ্দিন জানান, ফেনী পৌরশহরের সড়কগুলোতে যানজট নিরসন ও শৃংঙ্খলা রক্ষায় ট্রাফিক পুলিশের বিশেষ টিম সবসময় কাজ করছে। সরকার ২০১৮ সালের নীতিমালা অনুযায়ী সড়ক পরিবহনের নতুন আইন করায় মামলার জট না থাকায় অপরাধ বাড়ছে বলে তিনি জানান।
ফেনী সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী আহসান উদ্দিন আহমেদ ইনকিলাবকে বলেন, একাডেমি সড়কের বিষয়ে আমরা ইতোমধ্যে ফেনী-২ আসনের এমপি নিজাম উদ্দিন হাজারীর স্বাক্ষরিত ডিউলেটারসহ একটি লিখিত প্রস্তাবনা মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছি। আশা করি সড়কের একটি স্থায়ী সমাধান হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।