Inqilab Logo

মঙ্গলবার ১৯ নভেম্বর ২০২৪, ০৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৬ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সড়কের পাশে মরা গাছ যেন মরণফাঁদ

কর্তৃপক্ষের নজর নেই

শংকর চন্দ্র বনিক, নান্দাইল (ময়মনসিংহ) থেকে | প্রকাশের সময় : ৬ অক্টোবর, ২০২০, ১২:০৬ এএম

ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার জনগুরুত্বপূর্ণ দু‘টি ব্যস্ততম সড়কের পাশে শতাধিক মরা গাছ যেন আজ মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে। যে কোন সময়ে সামান্য ঝড় ও বাতাসে মরা গাছগুলো সড়কের মধ্যে ভেঙে পড়ে মারাত্মক দুর্ঘটনার সৃষ্টি হতে পারে। এতে পথচারীদের দুর্ঘটনার ভয় আশংকাসহ বিঘিœত হচ্ছে যানচলাচল। বিশেষ করে রাতের আঁধারে রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে থাকা গাছগুলো যেন এক একটি মরণ ফাঁদ। স্থানীয়রা এসব ঝুঁকিপূর্ণ মরা গাছ কেটে নেওয়ার দাবি জানালেও এ বিষয়ে নজর নেই সড়ক ও জনপদ বিভাগ বা বনবিভাগের।
সরজমিনে পরিদর্শনে দেখা যায়, নান্দাইল উপজেলা সদর হতে বাকচান্দা বাজার এবং বারুইগ্রাম চৌরাস্তা হতে আঠারবাড়ি সড়ক ও জনপদ বিভাগের রাস্তার পাশে বিভিন্ন প্রজাতির ফলজ ও বনজের শত শত মরা গাছ দাড়িয়ে রয়েছে। যেকোন সময় উক্ত গাছের ডালপালা ভেঙে পড়ে ঘটছে বিভিন্ন দুর্ঘটনা। নান্দাইল বাকচান্দা বাজার রাস্তার দু’পার্শে সারি সারি শিশু প্রজাতির গাছ অর্ধমৃত ও পুরো মৃত গাছ শুকিয়ে রয়েছে। অপরদিকে নান্দাইল চৌরাস্তা-আঠারবাড়ী রাস্তার ফুলবাড়ীয়া, বাঁশহাটি ও শান্তিনগর নামক স্থানে রাস্তার পাশে প্রায় অর্ধশত ছোটবড় বিভিন্ন প্রজাতির মূল্যবান গাছ মরে গেছে। তবে গাছের ডালপালা ও পাতা নেই, মরে শুকিয়ে আছে। আবার কোন কোন গাছের ডালপালা কে বা কারা রাতের আঁধারে কেটে নিয়ে যাচ্ছে। গাছের বাকল পর্যন্ত তুলে নিয়ে যাচ্ছে, আবার যে যার মতো সুযোগ বুঝে জীবিত বা মৃত গাছের ডালপালা কেটে নিয়ে মুন্ড বানিয়ে দিচ্ছে গাছগুলোকে। পরে সেগুলোও আবার ঝোপ বুঝে কোপ মেরে নিয়ে যায় স্থানীয় কিছু প্রভাবশালী মহল। এছাড়া রাস্তার পাশে অর্ধকাটা জীবিত ও মৃত গাছ মাটিতে পড়ে থাকতে দেখা গেছে। যেকোন সময় সেগুলো চলে যাবে রান্ন ঘরের উনুনে। এ যেন দেখার কেউ নেই। উক্ত গাছগুলো সরকারের নিয়ন্ত্রনে কেটে নিয়ে যাওয়ার জন্য জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করছেন সুশীল সমাজের লোকজন। তা না হলে গাছ বা গাছের ডালপালা ভেঙে সড়কে পড়ে পথচারী ও যানবাহন চলাচলে প্রাণহানির ঘটনা ঘটতে পারে।
এ বিষয়ে সড়ক ও জনপদ বিভাগের উপ-প্রকৌশলী কর্মকর্তা মাহমুদ সালেহিন জানান, মৃত গাছগুলো কাটার ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বনবিভাগকে চিঠি দেয়া হয়েছে। বনবিভাগের কর্মকর্তা বাবু দিপঙ্কর রায় জানান, করোনার কারণে টেন্ডার পিছিয়ে পড়েছিলো। তবে চলতি অক্টোবর মাসের মধ্যে টেন্ডারের মাধ্যমে গাছগুলো কাটা হবে এবং সেখানে নতুন গাছের চারাও রোপনের ব্যাবস্থা করা হবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ