Inqilab Logo

বুধবার, ২২ মে ২০২৪, ০৮ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১৩ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

ধীরগতির কাজে দুর্ভোগে যাত্রীরা

পটিয়া-বোয়ালখালী সড়কে চলছে নিম্নমানের সংস্কার

পটিয়া (চট্টগ্রাম) থেকে এস. কে. এম. নূর হোসেন | প্রকাশের সময় : ৪ অক্টোবর, ২০২০, ১২:১৪ এএম

চট্টগ্রামের পটিয়া-বোয়ালখালী-কানুনগোপাড়া সড়কের সংস্কার কাজ চলছে খুবই নিম্নমানের এবং ধীরগতিতে। কার্যাদেশ পাওয়ার পর থেকে ৩ বছরের মধ্যে উক্ত কাজ শেষ করার কথা থাকলেও ৩৩ মাসেও ৫০ ভাগ কাজ শেষ করতে পারেনি। ফলে স্বাভাবিকভাবে চলাচল করতে পারছে না যানবাহন। এতে জনগণের দুর্ভোগের শেষ নেই।
পটিয়া-বোয়ালখালী সড়ক চট্টগ্রাম দক্ষিণাঞ্চলের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ সড়ক। এসড়ক দিয়ে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ চলাচল করে। এ সড়কের গুরুত্ব বিবেচনা করে সরকার ২০১৬-২০১৭ অর্থ বছরে সড়কের সংস্কার কাজের জন্য ৪৫ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়। জেলা সড়ক যথাযথ মান ও প্রসস্ততায় উন্নীতকরণ প্রকল্পের আওতায় সড়ক ও জনপথ দোহাজারী সড়ক বিভাগ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করে।
সড়কের ১২ ফুট থেকে বৃদ্ধি করে ১৮ ফুট প্রস্থ এবং ১১.৫০ কিলোমিটার দৈর্ঘ্য সড়ক কার্পেটিং দ্বারা উন্নয়নের জন্য ব্যয় ধরা হয় ৪৫ কোটি ৯ লাখ ১৭ হাজার টাকা। ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান হাসান টেকনো বিল্ডার্স, রানা বিল্ডার্স ও মেসার্স সালেহ আহমদ জে বি যৌথভাবে টেন্ডার প্রাপ্ত হয়। ২০১৮ সালের ১ জানুয়ারি ঠিকাদারকে কার্যাদেশ দেয়া হয়। কাজ শেষ করার মেয়াদ রয়েছে ২০২০ সালের ৩১ ডিসেম্বর। কিন্তু ঠিকাদার সময়মত কাজ শুরু না করে গত ২০১৯ সালে ৫ এপ্রিল কাজটির ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। সড়কের প্রস্থ বৃদ্ধি করার জন্য বাহির থেকে মাটি আনার কথা থাকলেও বাহিরের মাটি না এনে সড়কের পাশের ধানী জমি, ভিটে বাড়ি ও পুকুর কেটে মাটি ভরাট করা হয়। নাম মাত্র মাটি ভরাটের দরুন বৃষ্টির পানিতে মাটিগুলো পুনরায় সরে যাচ্ছে। নিম্নমানের পাথর ও অধিক পরিমানে বালি দিয়ে মেকাডাম কাজ করার কারণে গেল বর্ষায় বালি, পাথর সরে গিয়ে সড়কে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। এছাড়া মেকাডামের পাথরগুলো ওঠে গিয়ে রাস্তায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে গেছে। ছড়িয়ে ছিটিয়ে যাওয়া পাথর ও বড় বড় গর্তের যানবাহন চলছে লাফিয়ে লাফিয়ে। অনেক সময় ধীরে আস্তে হেলে যানবাহন চলার কারণে একদিকে যাত্রীরা সঠিক সময়ে গন্তব্যে পৌঁছতে পারে না, অন্যদিকে যানবাহনের ঝাঁকুনিতে যাত্রীদের শরীরের অবস্থা কাহিল হয়ে যায়। অন্ত:স্বত্বা কিংবা সিজারিয়ান মহিলারা এ সড়ক দিয়ে চলাফেরা করা ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় তাদেরকে ৪ গুণ ভাড়া দিয়ে বিকল্প পথে চলাচল করতে হয়। ঠিকাদার সময়মত কাজ শুরু না করাই মেকাডাম করেও সেখানে কাপের্টিং কাজ শেষ করতে পারেনি বলে যানবাহন চালকদের অভিযোগ।
সওজ’র পটিয়া উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী তত্ত¡বধায়ক কর্মকর্তা মোহাম্মদ ইউনুছ কাজটির দেখাশুনার দায়িত্ব থাকলেও তিনি রহস্যজনকভাবে নীরব ভ‚মিকা পালন করছে। ফলে ঠিকাদারেরা ইচ্ছামত কাজ করে যাচ্ছে।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে সড়ক ও জনপথ দোহাজারী সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী সুমন সিংহ জানান, উক্ত সড়কে ইতোমধ্যে ২৭ কোটি ৫৩ লাখ ৫৮ হাজার টাকার কাজ হয়েছে। যার আর্থিক অগ্রগতি ৬৪%। বর্ষার কারণে যে সমস্ত স্থানে মেকাডাম ওঠে গর্তের সৃষ্টি হয়েছে, সেখানে মেকাডাম সমন্বয় করে গর্তগুলো ভরাট করা হচ্ছে। আগামী জানুয়ারির মধ্যে কাজ শেষ করা যাবে বলে তিনি আশা করছেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ