Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ধুম নদীর ভাঙনে দিশেহারা

মোশফিকুর রহমান সৈকত, নীলফামারী থেকে | প্রকাশের সময় : ৪ অক্টোবর, ২০২০, ১২:১৪ এএম

বন্যার পানি নেমে যাওয়ার সাথে সাথে ভাঙন শুরু হয়েছে নীলফামারীর জলঢাকা উপজেলার ধুম নদীতে। ইতোমধ্যে বসতভিটা, গাছপালা ও ফসলী জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে। ভাঙন রোধে পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃপক্ষ কোন পদক্ষেপ না নেয়ায় আতংকিত হয়ে পড়েছে ভাঙন কবলিত এলাকার মানুষজন।
জলঢাকা উপজেলার গোলমুন্ডা ইউনিয়নের পূর্ব গোলমুন্ডা ঘোড়ামারা এলাকায় ধুম নদীর ভয়াবহ ভাঙন শুরু হয়েছে। গত কয়েকদিনে ওই গ্রামের ১২টি পরিবারের ঘর-বাড়ি, বাঁশঝাড়, গাছপালা ও ফসলি জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে। অনেকে ঘর-বাড়ি সরিয়ে অন্যত্র আশ্রয় নিয়েছে। প্রতিনিয়তই ভাঙনের কবলে পড়ছে নতুন নতুন এলাকা। চরম হুমকির মুখে পড়েছে পূর্ব গোলমুন্ডা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও একটি মসজিদ। যে কোন সময় নদীগর্ভে বিলীন হতে পারে এই দুটি স্থাপনা।
এদিকে ভাঙন রোধে কার্যকর পদক্ষেপ না থাকায় নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছেন ভাঙন কবলিত এলাকার মানুষজন। ঘোড়ামারা গ্রামের সফিকুল ইসলাম, আলতাফ হোসেন, আলহাজ তৈয়ব আলী, আফজাল হোসেন, মনোয়ার, বাবুল, মানিক, রেজাউলসহ অনেকের অভিযোগ স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃপক্ষকে অবগত করার পরেও ভাঙন রোধে কোন পদক্ষেপ না নেয়ায় প্রতিদিনেই বসতভিটা ও ফসলি জমি নদীগর্ভে বিলীন হচ্ছে।
গোলমুন্ডা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তোজাম্মেল হোসেন জানান, ঘোড়ামারা গ্রামের ধুম নদীর ভাঙনে ইতোমধ্যে অনেক পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ভাঙন রোধে পানি উন্নয়ন বোর্ডকে অবগত করা হলেও তারা কোন পদক্ষেপ নেননি।
পানি উন্নয়ন বোর্ড নীলফামারীর ডালিয়া ডিভিশনের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী ফারুক হোসেন বলেন, ঘোড়ামারা গ্রামে নদী ভাঙনের বিষয়টি আমার জানান নেই। আমি লোক পাঠিয়ে বিষয়টি দেখছি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ