রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
দেশের রাষ্ট্রয়াত্ত একমাত্র কাগজকল কর্ণফুলী পেপার মিলস লি. (কেপিএম)-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডা. এম এম এ কাদেরের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করেছে উপজেলা চেয়ারম্যান ও চন্দ্রঘোনা ইউপি চেয়ারম্যান। একটি বেসরকারি টেলিভিশনে গত ২৫ সেপ্টেম্বর কাপ্তাই উপজেলা চেয়ারম্যান মো. মফিজুল হক ও চন্দ্রঘোনা ইউপি চেয়ারম্যান আনোয়ারুল ইসলাম চৌধুরী বেবিকে মাদকাসক্ত আখ্যায়িত করেছেন। এছাড়া তাদের বাড়িতে মাদকের আখড়া বসানো হয় বলে মন্তব্য করায় প্রতিবাদ জানিয়ে প্রতিষ্ঠানটির এমডির বিরুদ্ধে কাপ্তাই প্রেসক্লাবে গত শুক্রবার সকালে সংবাদ সম্মেলন করেন তারা।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে কাপ্তাই উপজেলা চেয়ারম্যান মো. মফিজুল হক বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সংসদে বলেছেন, কেপিএম মিলকে বাঁচানো হবে। গত অর্থ বছরে ৫৪ কোটি টাকাও বরাদ্ধ দেয়া হয় কেপিএমকে। অথচ কেপিএম এমডি বলেছেন মিলটি বন্ধ হয়ে যাবে। মিলটি বন্ধ করতে নানা পায়তারাও করছেন তিনি। বন্ধ করেছেন প্রতিষ্ঠানের পাল্প মেশিনসহ নানা যন্ত্রাংশ। সরকারের ভাবমূর্ত্তি ক্ষুন্ন করতে সর্বশেষ একটি বেসরকারি টিভির প্রতিবেদনে জনপ্রতিনিধিদের নামে মিথ্যা, ভিত্তিহীন ও কুরুচিপূর্ণ বক্তব্য প্রদান করেছেন। তিনি এ বক্তব্যের প্রতিবাদ জানান। বক্তব্য রাখেন, চন্দ্রঘোনা ইউপি চেয়ারম্যান আনোয়ারুল ইসলাম চৌধুরী বেবি।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, রাঙামাটি আ.লীগের শ্রমবিষয়ক সম্পাদক মো. হানিফ, সাবেক রাঙামাটি জেলা পরিষদ সদস্য প্রকৌশলী রুবায়েত আক্তার প্রমুখ।
এ বিষয়ে কেপিএমের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডা. এম এম এ কাদের জানান, আমি দুই চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে এ ধরনের মন্তব্য করিনি। আমি বলেছি সন্ধ্যার পর চন্দ্রঘোনার বিভিন্ন বাসায় মাদকের আড্ডা বসানো হয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।