পিরোজপুর ও বরগুনাতে আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধির ফলে দক্ষিণাঞ্চলে করোনা সংক্রমনের সংখ্যা সামান্য বৃদ্ধি পেয়েছে। শণিবার দুপুরের পূর্ববর্তি ২৪ ঘন্টায় বরিশাল ও পটুয়াখালীতে আক্রান্তের সংখ্যা সামান্য কমলেও ভোলা ও ঝালকাঠীতে নতুন সংক্রমনের খবর ছিলনা। শণিবার দুপুর পর্যন্ত দক্ষিণাঞ্চলে নতুন ১৭ জন সহ মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাড়িয়েছে ৮ হাজার ৩৯২ জনে। আগের দিনের চেয়ে সংক্রমনের সংখ্যা একজন বেড়েছে। আর এ পর্যন্ত সর্বমোট মৃত্যু হয়েছে ১৭১ জনের। এ অঞ্চলে এখনো মৃত্যুহার ২.০৪%। 

তবে এসময়ে সুস্থ হয়ে ওঠার সংখ্যাও যথেষ্ঠ হ্রাস পেয়েছে। গত ২৪ ঘন্টায় দক্ষিণাঞ্চলের ৬ জেলায় মাত্র ৮ জন সহ এ পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন ৭ হাজার ৬৯২ জন। শুক্রবারে ২৪ জন ও বৃহস্পতিবারে ২৭ জনের সুস্থ হয়ে ওঠার খবর দিয়েছিল বিভাগীয় স্বাস্থ্য দপ্তর। শণিবার সকালের পূর্ববর্তি ২৪ ঘন্টায় শুধুমাত্র বরিশাল ছাড়া অন্য ৫ জেলা থেকে নতুন কারো সুস্থ্য হয়ে ওঠার খবর দেয়নি স্বাস্থ্য বিভাগ। তবে এরপরেও দক্ষিণাঞ্চলে সুস্থতার হার ৯১.৮৪%।
মূলত গত কিছু দিন ধরেই দক্ষিণাঞ্চলে নমুনা পরিক্ষার সংখ্যা ক্রমশ হ্রাস পেয়েছে। গত ২৪ ঘন্টায় বরিশাল শের এ বাংলা মেডিকেল কলেজের পিসিআর ল্যাবে মাত্র ১১৯ জনের ও ভোলা জেলা হাসপাতালে ৩৫ জনের নমুনা পরিক্ষা হয়েছে বলে জানা গেছে। এখনো দক্ষিণাঞ্চলে সনাক্তের হার ১৭.৩০%।
গত ২৪ ঘন্টায় দক্ষিণাঞ্চলে আক্রান্ত ১৭ জনের মধ্যে ৮ জনই বরিশালে। এনিয়ে জেলাটিতে ৩ হাজার ৫৩৭ জন আক্রান্ত ও ৬৮ জনের মৃত্যর খবর দিয়েছে স্বাস্থ্য বিভাগ। আর জেলায় এ আক্রান্তের মধ্যে মহানগরীতেই সংখ্যাটা ৩ হাজারের ওপরে। যার মধ্যে শের এ বাংলা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল ছাড়াও জেনারেল হাসপাতালের ৫ শতাধীক চিকিৎসক ও চিকিৎসা কর্মী করোনা সংক্রমনের শিকার হয়েছেন। এখনো দক্ষিণাঞ্চলের ৬ জেলার মধ্যে বরিশালেই প্রতিদিন সংক্রমন বেশী। তবে জেলায় আগের দিনের ১০ জন থেকে শণিবারে সংক্রমনের সংখ্যাটা ৮ জনে হ্রাস পেয়েছে।
পটুয়াখালীতেও আক্রান্তের সংখ্যা আগের দিনের ৪ থেকে দুজনে হ্রাস পেয়েছে। ফলে জেলাটিতে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ১ হাজার ৪৩০ জনে উন্নীত হয়েছে। জেলাটিতে এ পর্যন্ত মারা গেছেন ৩৭ জন। অপরদিকে পিরোজপুরে আক্রান্তের সংখ্যা আগের দিনের এক থেকে ৬ জনে উন্নীত হয়েছে। ফলে জেলাটিতে এ পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা ১ হাজার ৮৬ জনে দাড়াল। মারা গেছেন ২৩ জন।
বরগুনাতে আগের দুদিন আক্রান্তের কোন খবর না থাকলেও শণিবারে নতুনকরে ১জনের সংক্রমণের খবর দিয়েছে স্বাস্থ্য বিভাগ। জেলাটিতে এ পর্যন্ত ৯১৩ জন আক্রান্তের মধ্যে ১৩ জনের মৃত্যু ঘটেছে। তবে ঝালকাঠীতে গত ৪ দিন কোন করোনা রোগীর সন্ধান মেলেনি বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য বিভাগ। জেলাটিতে আক্রান্তের সংখ্যা আগের ৬৯৯ রয়েছে। এপর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ১৬ জনের। আর ভোলাতেও শণিবার নতুন কোন আক্রান্ত ও সুস্থতার খবর ছিলনা। জেলাটিতে ইতোমধ্যে ৭১৭ জন আক্রান্তের মধ্যে ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ দ্বীপ জেলায় মৃত্যুহার এখনো ১%-এর কম।
বরিশালে শের এ বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের করোনা ওয়ার্ডে শণিবার সকাল পর্যন্ত ২৩জন, আইসোলেশন ওয়ার্ডে ১৬ জন ও আইসিইউ’তে আরো ৪ জন চিকিৎসাধীন ছিল।