পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর ঘিরে ব্যবসা বাণিজ্য সম্প্রসারণসহ শিল্পায়নের ব্যাপক সম্ভাবনা দেখছেন শিল্পমন্ত্রী ন‚রুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন ও রেলপথ মন্ত্রী মো. নূরুল ইসলাম সুজন। গতকাল শুক্রবার দুপুরে পঞ্চগড়ের বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর পরিদর্শন করে বন্দর সংশ্লিষ্টদের সাথে মতবিনিময়কালে বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর কেন্দ্রিক বিভিন্ন সম্ভাবনার কথা তুলে ধরেন দুই মন্ত্রী।
শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন বলেন, বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর একটি সম্ভাবনাময় স্থলবন্দর। এই বন্দর দিয়ে প্রতিবেশি তিন দেশের সাথে বাংলাদেশের বাণিজ্য চলছে। পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জে একটি অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তোলার কাজ শুরু হয়েছে। অর্থনৈতিক অঞ্চলে উৎপাদিত পণ্য বাংলাবান্ধা বন্দর দিয়ে আশপাশের দেশগুলোতে রপ্তানি করতে পারলে বৈদেশিক মুদ্রা আসবে এবং ব্যাপক কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হবে। মন্ত্রী আরো বলেন, শিল্প মন্ত্রণালয় দেশে শিল্পায়নের মাধ্যমে বিকল্প কর্মসংস্থানে অঙ্গীকারাবদ্ধ। সেই লক্ষ্যে বর্তমান সরকার কাজ করে যাচ্ছে। এ অঞ্চলে শিল্প সম্ভাবনা ও কৃষিভিত্তিক কলকারখানা গড়ে তোলার সম্ভাবনাময় খাতগুলো চিহ্নিত করতে এ সফর। চিনিকলগুলোকে আধুনিকায়ন ও বিকল্প আয়ের ব্যবস্থা করে প্রতিষ্ঠানগুলোকে লাভজনক করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এতে কেউ কর্মহীন হবে না বরং কর্মসংস্থান বাড়বে। চিনিকলগুলো বন্ধ কিংবা শ্রমিক ছাঁটাই করা হবে না।
রেলপথ মন্ত্রী মো. নূরুল ইসলাম সুজন বলেন, বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরকে রেলের সাথে সংযুক্ত করতে পঞ্চগড় থেকে বাংলাবান্ধা পর্যন্ত রেলপথ স¤প্রসারণের লক্ষ্যে সম্ভাবতা যাচাইয়ের পর ডিপিপি তৈরির কাজ চলছে। আশা করছি শিগগিরই এই রেলপথ নির্মাণের কাজ শুরু হবে। বাংলাবান্ধায় পর্যন্ত রেলযোগাযোগ শুরু হলে ব্যবসা বাণিজ্যের ক্ষেত্রে ইতিবাচক পরিবর্তন আসবে। এ ছাড়া বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর নিয়ে মহাপরিকল্পনা তৈরির জন্য স্থানীয় জনপ্রতিনিধিসহ সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান জানান মন্ত্রী।
এ সময় অন্যদের মধ্যে পঞ্চগড়-১ আসনের সংসদ সদস্য মজাহারুল হক প্রধান, জেলা প্রশাসক সাবিনা ইয়াসমিন, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ইউসুফ আলী, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আনোয়ার সাদাত সম্রাট, তেঁতুলিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান কাজী মাহমুদুর রহমান ডাবুল, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সোহাগ চন্দ্র সাহা ও বাংলাবান্ধা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান কুদরত-ই খুদা মিলনসহ বন্দর সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা ও ব্যবসায়ীরা উপস্থিত ছিলেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।