Inqilab Logo

বুধবার ১৩ নভেম্বর ২০২৪, ২৯ কার্তিক ১৪৩১, ১১ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

‘মাস্ক’ রফতানি বাণিজ্যে সম্ভাবনা

কানাডা, জার্মানি, ইউরোপ যুক্তরাষ্ট্রে চাহিদা বেড়েছে

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৩ অক্টোবর, ২০২০, ১২:০৫ এএম

করোনার কারণে সারাবিশ্বে ব্যবসা-বাণিজ্য নিম্নমুখী। সংক্রমণ ঠেকাতে বিশ্বের এক দেশ থেকে আরেক দেশে আমদানি ও রফতানি কম হচ্ছে। ব্যবসা-বাণিজ্যে মন্দার কারণে কমেছে অনেক পণ্যের চাহিদা। বিপরীতে করোনা সংক্রমণ ঠেকানোর ব্যক্তিগত সুরক্ষাসামগ্রীর চাহিদা বেড়েছে বহুগুণ। বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে ‘মাস্ক’সহ নতুন নতুন ক্রয়াদেশ আসছে। ফলে সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে দেশের তৈরি পোশাক খাতে। স্থানীয় বাজারের বিপুল চাহিদা পূরণ করে ‘মাস্ক’ ব্যাপক হারে রফতানি হচ্ছে বিশ্ববাজারে।
তৈরি পোশাক শিল্পের মালিকদের সংগঠন- বিজিএমইএ সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছরের (মার্চ-জুলাই) পাঁচ মাসে দুই কোটি ৬৯ লাখ ডলারের মাস্ক রফতানি করেছে বাংলাদেশ। গত বছরের একই সময়ে রফতানি হয়েছিল ২৭ লাখ ডলারের মাস্ক। এ হিসাবে চলতি বছর মার্চ থেকে জুলাই সময়ে মাস্কের রফতানি বেড়েছে ৮৮৩ শতাংশ। চলতি বছরের জুনে এক কোটি ৯ লাখ মাস্ক রফতানি হয়েছে। পরের মাস জুলাইয়ে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে এক কোটি ২৪ লাখে। গত বছরের তুলনায় চলতি বছরের জুলাইয়ে মাস্ক রফতানি বেড়েছে ১১১৭ শতাংশ।
গার্মেন্টস ব্যবসায়ীরা জানান, মহামারি করোনার প্রাদুর্ভাবের কারণে বিশ্বব্যাপী বেড়েছে সুরক্ষাসামগ্রীর চাহিদা। বিভিন্ন দেশ থেকে এসব পণ্যের ক্রয়াদেশ বাংলাদেশে আসছে। নতুন সম্ভাবনা সৃষ্টি হওয়ায় অনেকে এ খাতে বিনিয়োগে এগিয়ে আসছেন। ফলে কর্মসংস্থান সৃষ্টির পাশাপাশি দিনদিন বাড়ছে এ খাতের রফতানি আয়।
বিজিএমইএ ও বিকেএমইএ’র তথ্য অনুযায়ী, প্রচলিত বাজারের মধ্যে মাস্ক রফতানি বেশি হারে বেড়েছে কানাডায়। মোট রফতানির প্রায় এক-পঞ্চমাংশ অর্থাৎ ৫০ লাখ ডলারের মাস্ক নিয়েছে দেশটি। আগের অর্থবছরে এর পরিমাণ ছিল ২৮ হাজার ডলার। দেশটিতে সার্বিক পোশাক রফতানি ২৬ শতাংশ কমলেও মাস্কের এ চাহিদায় বড় সম্ভাবনা দেখছেন উদ্যোক্তারা। জার্মানি, ফ্রান্সসহ ইউরোপের সব দেশ এবং যুক্তরাষ্ট্রেও মাস্কের চাহিদা বেড়েছে কয়েকগুণ।
ভারত ও যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক বাজার গবেষণা ও কনসালটিং কোম্পানি- গ্র্যান্ড ভিউ রিসার্চের তথ্য অনুযায়ী, গত বছর বিশ্বব্যাপী ব্যক্তিগত সুরক্ষাসামগ্রীর বাজার ছিল ৫ হাজার ৯০০ কোটি ডলারের। ২০২৭ সালে সেটি বেড়ে ৮ হাজার ৪০০ কোটি ডলারে দাঁড়াবে। অনেক নতুন নতুন শিল্পপ্রতিষ্ঠান এ খাতে বিনিয়োগে এগিয়ে আসছে।
আদমজী রফতানি প্রক্রিয়াকরণ এলাকায় (ইপিজেড) ব্যক্তিগত সুরক্ষাসামগ্রীসহ বিভিন্ন পণ্য তৈরিতে এক কোটি ৮০ লাখ ডলার (১৫২ কোটি টাকা) বিনিয়োগ করছে দেশের বেসরকারি খাতের শীর্ষস্থানীয় একটি শিল্পপ্রতিষ্ঠান। সহযোগী প্রতিষ্ঠান হিসেবে রয়েছে মেসার্স বঙ্গ প্লাস্টিক ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেড।
রফতানিমুখী দেশীয় মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানটি বার্ষিক ৮৫০ মেট্রিক টন পিপিই (সার্জিক্যাল ফেস মাস্ক, ফেস মাস্ক কেএন-৯৫ ও এন-৯৫, সার্জিক্যাল হ্যান্ড গøাভস, সু কাভার, মপ ক্যাপ, মেডিকেল গাউন, স্যানিটারি ন্যাপকিন, ডায়াপার, হ্যান্ড স্যানিটাইজার ইত্যাদি) উৎপাদন করবে। স¤প্রতি বেপজার সঙ্গে এ সংক্রান্ত একটি চুক্তি সই করেছে। এখানে প্রায় দুই হাজার লোকের কর্মসংস্থান হবে। উৎপাদিত পণ্য রফতানি করবে প্রতিষ্ঠানটি। যার মূল টার্গেট থাকবে ইউরোপ ও যুক্তরষ্ট্রের বাজার।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: করোনাভাইরাস

৪ জানুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ