পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, সরকারের দূর্বল পররাষ্ট্র নীতির কারণে মিয়ানমার সেনাবাহিনী সম্পূর্ণ অযাচিত ও উদ্দেশ্যমূলকভাবে সীমান্তে সেনা সমাবেশের দুঃসাহস দেখাচ্ছে। গতকাল গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলন তিনি এ কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, সরকারের দ‚র্বল পররাষ্ট্র নীতি আজ মিয়ানমারের কাছে স্পষ্ট। এর পরিপ‚র্ণ সুযোগ গ্রহন করেই মূলত মিয়ানমার আন্তর্জাতিক সীমান্তে সেনা সমাবেশ করার দুঃসাহস দেখাচ্ছে। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির পক্ষ থেকে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর এহেন সেনা সমাবেশের তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানাই। মিয়ানমার সেনাবাহিনীর এই ধরনের অপতৎপরতা রুখতে সর্বাত্মক প্রস্তুতি গ্রহনপূর্বক আন্তঃআঞ্চলিক কুটনৈতিক উদ্যোগ গ্রহনের পদক্ষেপ করতে বর্তমান নতজানু সরকারের প্রতি আহবান জানাচ্ছি।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, কেনো এখানে রোহিঙ্গা সমস্যা নিয়ে আমরা কথা বলছি। এই দেখেন না- সৈন্য সমাবেশ করছে। আজকে ভারত-চীন সীমান্তে সৈন্য সমাবেশ হয়-এটা নিয়ে তোলপাড় হয়ে যায়। আমাদের সরকারের কোনো কথা নেই। তারা একবারে চুপচাপ থেকে নিরাপত্তা পরিষদে একটি চিঠি দিয়েছে। এখন পর্যন্ত কার্যকর কোনো পদক্ষেপ এই সরকার রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানের ব্যাপারে নিতে পারেনি।
২০১৭ সালে মিয়ানমারের রাখাইন থেকে বিতাড়িত হয়ে আসা রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠিকে তাদের দেশে ফেরত পাঠানোর ব্যাপারে বাংলাদেশে সরকারের ব্যর্থতার কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, রোহিঙ্গা গণহত্যা ও জাতিগত নিপীড়ন-নির্যাতনের মুখে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়ার তিন বছরপূর্তির প্রাক্কালে সীমান্তে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর সমাবেশের ততপরতা সংকট সমাধানে বাংলাদেশের নতজানু পররাষ্ট্রনীতির ধারাবাহিক ফলাফল মাত্র। প্রায় ১২ লক্ষাধিক(গণমাধ্যমে প্রকাশিত) শরণার্থী সমস্যার সমাধানে যে ধরনের সমন্বিত বহুমুখী ততপরতা নেয়া অত্যাবশ্যক েিছ্লা যা এই গণবিচ্ছিন্ন সরকার নিতে সম্পূণরূপে ব্যর্থ হয়েছে। এই সমস্যার সমাধানে আমরা বৈশ্বিক, আঞ্চলিক ও দ্বিপাক্ষিক সকল স্তরেই ব্যর্থ হচ্ছি। বর্তমান গণবিচ্ছিন্ন সরকারের নতজানু পররাষ্ট্র নীতির সুযোগে রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধান কঠিন থেকে কঠিনতর হচ্ছে। কারণ হচ্ছে, সরকারের চরম ব্যর্থতা তারা তাদের বন্ধুদেশগুলোকে তাদের পক্ষে নিয়ে আসার ব্যাপারে ব্যর্থ হয়েছে।
মির্জা ফখরুল বলেন, আমাদের মনে রাখতে হবে, রোহিঙ্গা জাতিগোষ্ঠির বর্তমান বিশ্বের সবচেয়ে নিপীড়িত জনগোষ্ঠি। বিশ্বের মানচিত্রে এই জনগোষ্ঠিকে বাঁচিয়ে রাখতে হলে অবশ্যই আন্তর্জাতিক ব্যবস্থাপনায় বেসামরিক তদারকিতে মিয়ানমারের রাখাইন অঞ্চলকে একটি নিরাপদ অঞ্চল প্রতিষ্ঠা করে যথাযথ নাগরিক অধিকার ও মর্যাদায় রোহিঙ্গাদের নিজ দেশের আবাসভূমিতে পূর্ণবাসনের ব্যবস্থা করার কোনো বিকল্প নাই।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, সরকারের প্রতি আবারো আহবান জানাই, রোহিঙ্গা সমস্যা দূর করতে হলে জাতীয় ঐক্যমতের ভিত্তিতে মানুষের ভোটাধিকার ফিরিয়ে দিন, গণতন্ত্র সুপ্রতিষ্ঠিত করুন, বর্হিবিশ্বে দেশের আস্থা ও গ্রহনযোগ্যতা পুনরুদ্ধার করুন।
ভাসানচরে রোহিঙ্গাদের আশ্রয় কেন্দ্র স্থাপনের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, কোনো একটা পত্রিকায় ছাপা হলো যে, স্থায়ীভাবে শরণার্থীদের বসবাসের জন্য ভাসানচরে একটি সিটি গড়ে তোলা হয়েছে। অর্থাৎ রোহিঙ্গারা স্থায়ীভাবে এখানে থাকবে সেই বিষয়টা বোধহয় সরকার নিশ্চিত করছেন। স্থায়ীভাবে তাদেরকে রেখে বাংলাদেশের মানুষের কল্যাণের জন্য তো নয়। এটা যে বাংলাদেশের মানুষের কত বড় সমস্যা তা কিছুদিন পরে আমরা অনুধাবন করতে পারবো। এটা একটা আন্তর্জাতিক চক্রান্ত বলে আমরা মনে করি। এখনই যদি সরকার এটাকে (রোহিঙ্গা সমস্যা) অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে অগ্রাধিকারভাবে বিবেচনায় না নিয়ে আসে জাতিসংঘে তাহলে কিন্তু এটা বাংলাদেশের জন্য একটা ভয়ানক বিপর্যয় অপেক্ষা করছে।
মির্জা ফখরুল বলেন, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ও খালেদা জিয়ার শাসনামলে রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে যেসব চুক্তি করা হয়েছিলো তাকে সমানে নিয়ে চুক্তি করা হলে এর সমাধান হতে পারে। এই সরকার তো সেটা করছে না। তারা তো করছে একেবারে নিজেদের স্বার্থে। আজকে যে মিয়ানমারের কাছে তারা (সরকার) নতজানু হয়ে গেছে এটার কারণ হচ্ছে এই সরকারের আন্তর্জাতিক পর্যায়ে কোনো অবস্থান নেই। বিশেষ করে যে দুইটি সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব যারা প্রভাব বিস্তার করে মিয়ানমারের উপরে- চীন ও ভারত। এই দুইটি রাষ্ট্রই কিন্তু এই বিষয়ে একেবারে নেগেটিভ অবস্থানে। বর্তমান সরকারের মূল লক্ষ্যটাই হচ্ছে ক্ষমতায় টিকে থাকা যেনতেনোভাবে। নিজের দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌত্ব চলে যাক তাতে কোনো অসুবিধা নেই। দেখুন আমাদের সীমান্তে মানুষ হত্যা হয় একটা প্রতিবাদ পর্যন্ত তারা সঠিকভাবে করে না। যেসব চুক্তি-টুক্তি হয়েছে তা জনসমক্ষে প্রকাশ করে না। তারা (আওয়ামী লীগ) রাজনৈতিকভাবে দেউলিয়া হয়ে গেছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।