Inqilab Logo

মঙ্গলবার ০৫ নভেম্বর ২০২৪, ২০ কার্তিক ১৪৩১, ০২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

পুঠিয়ায় যাত্রী ছাউনির অভাবে জনগদুর্ভোগ চরমে

পুঠিয়া (রাজশাহী) উপজেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ২ অক্টোবর, ২০২০, ১০:১৪ এএম

পুঠিয়ায় দীর্ঘদিন থেকে নেই যাত্রী ছাউনি। ঢাকা-রাজশাহী মহাসড়কে উপজেলার সদরের ত্রিমোহনী বাসস্ট্যান্ডে প্রতিদিন শত শত মানুষ আসা যাওয়ায় বিভিন্ন রকম ভোগান্তির শিকার হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এতে জনদুর্ভোগ চরম আকার ধারন করছে। স্থানীয়সূত্রে জানাগেছে, উপজেলা পরিষদের উদ্দ্যোগে ৯০ দশকের দিকে ঢাকা-রাজশাহী মহাসড়কে উপজেলা সদরের ত্রিমোহনী বাসস্ট্যান্ডে একটি যাত্রী ছাউনি নির্মান করা হয়। পরে যাত্রী ছাউনিটি উপজেলা পরিষদ বিলুপ্ত ঘোষণা করে ভেঙ্গে ফেলে। উপজেলার সদর থেকে প্রতিদিন শত শত মানুষ দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা যাওয়া করে। যাত্রী ছাউনি না থাকায় তাদের ঝড়বৃষ্টি রোদের মাঝে কষ্ট করে মহাসড়কে যাতায়াত করতে হচ্ছে। এছাড়াও উপজেলা সদরের সরকারী অফিস, বিভিন্ন ব্যাংক, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, স্কুল কলেজের শিক্ষাথীরাসহ সরকারী বেসরকারী বিভিন্ন অফিসে যাতায়তের জন্য উপজেলা সদরের বাসস্ট্যান্ডে বিভিন্নগণ পরিবহনের জন্য অপেক্ষা করতে হয়। প্রচন্ড তাপদাহে ও ঝড় বৃষ্টিতে বাসস্ট্যান্ডে যাত্রী ছাউনি না থাকায় জনসাধারণসহ শিক্ষার্থীদের পড়তে হয় চরম ভোগান্তিতে। বাধ্য হয়ে তারা স্থানীয় বিভিন্ন মার্কেটে বা দোকানের বারান্দায় অবস্থান করতে হয়। পুঠিয়া ত্রিমোহনী বাসস্ট্যান্ডে সকাল হতে গভীর রাত পর্যন্ত ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে যাত্রীরা আসা যাওয়া করে থাকেন। উপজেলার সদর দিয়ে বাগমারা, তাহেরপুর, চারঘাট, বাঘা ও বাগাতিপারা উপজেলায় প্রবেশ সহজতর হওয়ায় এসব উপজেলার মানুষেরা পুঠিয়া উপজেলা যাতায়াত করে থাকেন। এসব উপজেলার মানুষেরা দেশের বিভিন্ন এলাকা হতে গভীর রাতে পুঠিয়া বাসসট্যান্ডে যাত্রাবিরতী করে থাকেন। গণপরিবহ না পেয়ে বাধ্য হয়ে যাত্রীদের সারারাত সকাল হওয়ার অপেক্ষয় বসে থাকতে হয়। বাগমারা উপজেলার শমসের রহমান বলেন, ব্যাবসার জন্য মাসে দুই থেকে তিনবার ঢাকায় মালামাল আনা নেওয়ার জন্য যাতায়াত করতে হয়। ঢাকা থেকে আসার পর রাতে পুঠিয়াতে কোনো গাড়ি পাওয়া যায় না। তাই সারা রাত বাজারের নৈশ্য প্রহরীদের সঙ্গে আড্ডা দিয়ে রাত পার করতে হয়। বাসমাষ্টার এবং বাসকাউন্টারের মালিকরা বলেন, স্থানীয় রাজনৈতিক নেতা এবং উপজেলা প্রশাসনকে যাত্রী ছাউনির ব্যাপারে একাধিকবার বলা হয়েছ্।ে তারা শুধু প্রতিশ্রুতি দিয়ে থাকেন কিন্তু দীর্ঘদিন হয়ে যাওয়ার পরও যাত্রী ছাউনি হয়নি। পুঠিয়া পৌর মেয়র রাবিউল ইসলাম রবি ইনকিলাবকে বলেন, অতীতে যেখানে যাত্রী ছাউনি ছিল সেখানে বর্তমনে উপজেলা পরিষদ যাত্রী ছাউনি ও সীমানা প্রচীর ভেঙে দিয়ে তার পিছনে নতুন একটি বাথরুম নির্মাণ করে তারা ইজারা দিয়েছেন। বর্তমানে বাথরুম যাওয়া আসা করার স্থানটি অতীতে যাত্রী ছাউনি ছিল। উপজেলা পরিষদ আমাদের জায়গা দিলে এক মাসের ভেতর নতুন যাত্রী ছাউনি নির্মাণ করে দেওয়ার কথা তিনি জানান।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ