পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
সাউদিয়া এয়ারলাইন্স ও বিমানের সউদীগামী যাত্রীদের ফিরতি টিকিটের জটিলতা এখনো নিরসন হয়নি। গতকাল বৃহস্পতিবারও উল্লেখিত এয়ারলাইন্স দু’টির অফিসের সামনে শত শত সউদীগামী যাত্রী টিকিট না পেয়ে খালি হাতে বাড়ী ফিরে যায়। গত ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত প্রায় পঁচিশ হাজার সউদীগামী কর্মীর ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে। এসব কর্মীর সউদী যেতে হলে পুনরায় ভিসা ও ইকামার মেয়াদ বাড়াতে হবে। তবে সউদী কফিলের অনেকেই সদয় হয়ে কিছু কিছু আটকে পড়া প্রবাসী কর্মীর ভিসা ও ইকামার মেয়াদ বাড়িয়ে দিচ্ছেন। ইকামার মেয়াদ বৃদ্ধি পাওয়ায় এসব প্রবাসী কর্মীর মাঝে স্বস্তি ফিরে এসেছে। তারা এখন ফিরতি টিকিটের জন্য হুমড়ি খেয়ে পড়ছে ট্রাভেলস এজেন্সিগুলোতে। সউদীর চাকরি রক্ষার জন্য কেউ কেউ নিরুপায় হয়ে লক্ষাধিক টাকা দিয়েও সউদী পাড়ি দিচ্ছে। দেশটিতে বিশ লক্ষাধিক প্রবাসী বাংলাদেশি কঠোর পরিশ্রম করে প্রতি মাসে প্রচুর রেমিট্যান্স দেশে পাঠাচ্ছে।
‘সউদী কফিল সদয় হয়েই আমার ভিসা ও ইকামার মেয়াদ বাড়িয়ে দিয়েছেন। আল্লাহ আমার ইজ্জত রক্ষা করছেন। সউদীর মাটিতে আল্লাহ আমার রিজিক রেখেছেন বলেই ভিসা ও ইকামার মেয়াদ বেড়েছে।’ কুমিল্লার সউদী প্রবাসী মনির গতকাল বৃহস্পতিবার মতিঝিলস্থ বিমান অফিসের সামনে ইনকিলাবকে এসব কথা বলেন। এক প্রশ্নের জবাবে প্রবাসী মনির বলেন, গত ২ মে বিমানের ফিরতি টিকিট ছিল। করোনার কারণে এতদিন সউদী যাওয়া হয়নি। কয়েক দিন যাবত রোদ-বৃষ্টিতে ভিজেও বিমানের ফিরতি টিকিট পাচ্ছি না। বিমান অফিসের সামনে পকেটমারদের উপদ্রব বাড়ছে। বুধবার লাইনে দাঁড়ানোর সময়ে পকেট থেকে তার মোবাইটি মুহূর্তেও মধ্যে উধাও হয়ে যায়। তিনি বলেন, নগরীর ফকিরাপুলস্থ দশটি ট্রাভেলস এজেন্সিতে গিয়েছি রিয়াদের একটি ফিরতি টিকিটের দাম ৭০ হাজার টাকা থেকে এক লাখ টাকা চাচ্ছে। এত টাকা যোগাতেও পারছি না;আর সউদী যাওয়ার সুযোগও পাচ্ছি না।
পটুয়াখালীর সউদী প্রবাসী হারুন ও চাঁদপুরের আবুল খায়ের কাওরান বাজারস্থ সাউদিয়া এয়ারলাইন্সের অফিসের বাইরে দাঁড়িয়ে ইনকিলাবকে বলেন, আমাদের সউদী কফিল ভিসা ও ইকামার মেয়াদ আগামী ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত বাড়িয়ে দিয়েছেন। এ জন্য সউদী কফিলের কাছে আমরা কৃতজ্ঞ। ফেনীর সউদী প্রবাসী জয়নাল আবেদীন গত বার দিন যাবত ঘুরেও সাউদিয়ার ফিরতি টিকিট ভাগ্যে জোটেনি। রিয়াদস্থ ট্রাভেলস এন্ড ট্যুরসের পাকিস্তানী ম্যানেজার তার ফিরতি টিকিটের টাকা তুলে নিয়ে গেছে। ফলে তার ফিরতি টিকিট রি-ইস্যু করতে পারছে না সাউদিয়া কর্তৃপক্ষ। আগামী ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত তার ইকামার মেয়াদ রয়েছে। এ সময়ের মধ্যে তাকে রিয়াদ যেতে হবে না হলে তার চাকরি হারাতে হবে। ঝালকাঠীর সউদী প্রবাসী মো. জাহাঙ্গীর আলম কয়েক দিন যাবত ঘুরেও সাউদিয়া এয়ারলাইন্সের টিকিট পাচ্ছে না। তার ভিসা ও ইকামার মেয়াদ আগামী ১৫ অক্টোবর শেষ হয়ে যাবে। তাকে আগামী ৪ অক্টোবর টোকেন নেয়ার জন্য ঢাকায় আসতে বলায় তিনি খালি হাতে বাড়ি ফিরে যান। এছাড়া মেহেরপুরের আব্দুর রাজ্জাক, টাঙ্গাইলের ফজর আলী, আব্দুর রহমান, ঝালকাঠীর নূরুল ইসলাম ও চট্টগ্রামের রুবেল গত এক সপ্তাহ যাবত সাউদিয়া এয়ারলাইন্সের সামনে লাইনে দাঁড়িয়েও ফিরতি টিকিট পায়নি। ক্ষোভ প্রকাশ করে প্রবাসী ফজর আলী বলেন, সাউদিয়ার অনেক ফ্লাইট খালি যাচ্ছে অথচ আমরা প্রতিদিন ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করেও টিকিট পাচ্ছি না। তিনি বলেন, গত ১৮ সেপ্টেম্বর থেকে আশকোণাস্থ হোটেলে থেকে সাউদিয়ার অফিসে ধরণা দিয়েও কোন টিকিট পাচ্ছি না। কেউ পরিস্কার করেও কিছু বলছে না কবে নাগাদ ফিরতি টিকিট পাবো।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।