পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ভারতের অযোধ্যায় বাবরি মসজিদ ভেঙ্গে ফেলার ঘটনায় বিজেপি নেতা লালকৃষ্ণ আদভানি, মুরলী মনোহর জোশী, উমা ভারতীসহ ৩২ জন অভিযুক্তকে নির্দোষ ঘোষণা দিয়ে খালাস দেয়ার ভারতীয় কোর্টের রায়ের নিন্দা জানিয়েছেন জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ এর মহাসচিব আল্লামা নূর হোসাইন কাসেমী। আজ বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, ভারতীয় আদালত উগ্র হিন্দুত্ববাদের পক্ষ নিয়ে সত্য, ন্যায় ইনাসফ ও বাস্তবতার সাথে শুধু তামাশাই করেনি বরং মুসলমানদের বিরুদ্ধে হিন্দুত্ববাদি আগ্রাসনকে বৈধতা দিতে শুরু করেছে। একই ভূমিকা আমরা ২০১৯ সালের নভেম্বরে বাবরি মসজিদের জায়গায় রামমন্দির নির্মাণের রায়েও প্রত্যক্ষ করেছি। তিনি বলেন, হিন্দু উগ্রবাদীরা ভারতজুড়ে বছরব্যাপী নানা সভা সমাবেশ করে এবং সুনির্দিষ্ট দিন ক্ষণ, তারিখ দিয়ে ১৯৯২ সালের ৬ ডিসেম্বর প্রকাশ্যে উল্লাস নৃত্যে ঐতিহাসিক বাবরি মসজিদ গুঁড়িয়ে দেয়ার মতো যে বর্বরতা চালিয়েছিল, তার প্রমাণ এখনো মুছে যায়নি। সেদিন এই মামলার আসামী উমা ভারতী বাবরি মসজিদ ভাঙার জন্য নিজেদের সাঙ্গপাঙ্গদের উদীপ্ত করতে কীভাবে একের পর এক স্লোগান দিয়েছিল এবং বিজেপি শীর্ষ নেতা আদভানি জোশীরা মঞ্চে বসে কীভাবে মিষ্টি বিলাচ্ছিলেন তার প্রমাণ এখনো মুছে যায়নি। কিন্তু ভারতের উচ্চ আদালত দীর্ঘ ২৮ বছর পর সে ঘটনায় দায়ের করা মামলায় অভিযুক্ত ৩২ জনকেই বেকসুর খালাস দিয়ে বলেছে, ওই ধ্বংসাত্মক ঘটনা ছিল ‘হঠাৎ ঘটে যাওয়া’ স্বত:স্ফূর্ত জনরোষের ফল’। সেই দিনের ভূমিকায় আসামীদের বিরুদ্ধে কোন অপরাধ দেশটির বিচারকরা খুঁজে পায়নি। ভারতীয় আদালতের এমন নগ্ন পক্ষপাতদুষ্ট রায়ে শান্তিকামি বিশ্ববাসী হতভম্ব হয়েছেন।
তিনি বলেন, এই রায়ে ভারতের বিচার ব্যবস্থা ভেঙ্গে পড়াই কেবল প্রমাণ করে না, বরং দেশটির বিচার বিভাগের উপরও যে হিন্দুত্ববাদিরা কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা করে নিয়েছে সেটাও স্পষ্ট হয়েছে। ভারতের সংখ্যালঘু মুসলমানদের বিরুদ্ধে চলমান দমন-পীড়ন, উচ্ছেদাভিযান ও মানবাধিকার হরণকে প্রাতিষ্ঠানিক বৈধতা দিতে এই রায়কে উগ্র হিন্দুত্ববাদিরা আগামী দিনে ব্যবহার করতে পারে। আল্লামা কাসেমী বলেন, বাংলাদেশ সরকারের কর্তব্য ভারতের ক্রমবর্ধমান মুসলিম নিপীড়ন ও বাবরি মসজিদ ভাঙ্গার মামলার পক্ষপাতদুষ্ট রায়ের প্রতিবাদ জানানো এবং এসব বন্ধে ক‚টনৈতিকভাবে ভারতের উপর চাপ প্রয়োগ করা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।