Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

মসজিদের জায়গা বিক্রির অভিযোগ

ফরিদপুর জেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২০, ১২:০৩ এএম

ফরিদপুরের সালথা উপজেলার রসুলপুর গ্রামের রাহুতপাড়া এলাকায় মসজিদের ওয়াকফ করা জায়গা দখল করে বিক্রির অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় সহিদুজ্জামান চৌধুরী ওরফে সহিদ চৌধুরীর বিরুদ্ধে। এ নিয়ে স্থানীয় ধর্মপ্রাণ মুসল্লিদের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে প্রতিকার পেতে তারা প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
স্থানীয়দের অভিযোগে জানা যায়, রসুলপুর বাজার সংলগ্ন ১১৮নং রাহুতপাড়া মৌজার ১৩৯নং খতিয়ানের ২৯৭নং দাগের মসজিদের নামে ওয়াকফ করা ৭ শতাংশ জায়গা জোরপূর্বক দখল করে সহিদ চৌধুরী। এর মধ্যে ৩ শতাংশ জমি ইতোমধ্যে বিক্রি করে দিয়েছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। এছাড়া ১১৮নং রাহুতপাড়া মৌজার বিএস ১৩৯নং খতিয়ানে পানি উন্নয়ন বোর্ডের সরকারি জমি সহিদ চৌধুরী নিজ নামে অবৈধভাবে রেকর্ড করে বিভিন্ন লোকের কাছে বিক্রির পায়তারা করছে।
স্থানীয় গ্রামবাসী জানায়, জমিদার মৈজদ্দিন বিশ্বাস খান সাহেব চৌধুরীদের নামে এ এলাকায় ১০১ একর জমি ছিল। এসব জমির খাজনা ও কৃষিকাজ থেকে যে টাকা পাওয়া যেত তা জমিদার মৈজদ্দিন বিশ্বাস খান সাহেব চৌধুরীগণ পেতেন। এরই মাঝে বর্তমান দখলকারী সহিদ চৌধুরীর পিতা মৃত সামচুল হক চৌধুরী দখল মূলে জমিদারদের বেশ কিছ জমি বিএস রেকর্ড করে নেন।
এ সকল জমির মধ্য থেকে কিছু জমি আগে বিক্রি করেছেন এবং বর্তমানে বাকি জমিগুলো বিক্রির পায়তারা করছেন। বর্তমানে জমিদার মৈজদ্দিন বিশ্বাসদের কিছু জমি মসজিদ এবং স্কুলের নামে ওয়াকফ এবং দান করা জমি এই সহিদ চৌধুরী বিক্রি এবং বিক্রির পায়তারা করছেন। ইতোমধ্যে রাহুতপাড়া বিদ্যালয়ের খেলার মাঠের মধ্যে খুটি পুতে তাতেলাল রং করে আলাদা করে রেখেছেন। এতে স্কুলের শিক্ষার্থীদের শরীরচর্চা এবং খেলাধুলা বন্ধ হয়ে গেছে। এ সকল ভূমি জালিয়াতি ও দুর্নীতির বিষয়ে সহিদ চৌধুরীর বিরুদ্ধে ফরিদপুর জেলা প্রশাসক বরাবর আবেদন করেছেন এলাকাবাসী। মসজিদ এবং স্কুলের দানকৃত ও ওয়াকফ করা জায়গা দখল করে যাতে বিক্রি করতে না পারে এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের কাছে জোর দাবি জানান গ্রামের সচেতন মহলের ব্যক্তিবর্গ।
সহিদ চৌধুরী বলেন, ৬০/৭০ বছর ধরে আমরা ভোগ দখল করে আসছি। নিয়মিত খাজনা দিচ্ছি। আমার বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ আনা হয়েছে তা একেবারেই মিথ্যা।
এ বিষয়ে মৈজদ্দিন বিশ্বাসের উত্তরসুরি, ওয়াকফ’র মোতাওয়াল্লি, সাবেক মন্ত্রী চৌধুরী কামাল ইবনে ইউসুফ বলেন, মৈজদ্দিন বিশ্বাসের জমিদারীর কিছ অংশের খাজনা তুলতেন সহিদ চৌধুরীর পিতা। বিভিন্ন সময় সে গোপনে বেশ কিছু জমি বিএস রেকর্ড করে নেন। পরবর্তীতে তার ছেলে সেই ওয়াকফ জমি গুলো জালিয়াতি করে বিক্রির চেষ্টা করছেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ