বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের উপ-দপ্তর সম্পাদক সজিবুর রহমান ও ছাত্রলীগ কর্মী তারেক হালিমী নামে দুই নেতাকর্মীকে অপহরণ করেছিল এক দল দুর্বৃত্ত। অপহরণের পর তাদের উদ্ধারের পাশাপাশি অপহরণকারীদের আটক করতে সমর্থ হয়েছে জালালাবাদ থানা পুলিশ। মঙ্গলবার দুপুরে জালালাবাদ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. অকিল উদ্দিন আহম্মদ বলেন, সোমবার (২৮ সেপ্টেম্বর) রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শিক্ষার্থী নিখোঁজের বিষয়ে একটি জিডি করা হয়েছে। এর প্রেক্ষিতে তাদেরকে উদ্ধার করা হয়। তবে এ বিষয়টি কোতয়ালী থানার আওতাধীন হওয়ায় ওই থানায় স্থানান্তর করা হয়েছে তাদের । এদিকে, মঙ্গলবার বিকেলে সজিবুর রহমান বাদি হয়ে অপহরণকারী অভ্র কুমার দাস ও মুন্না কোরায়েশির বিরুদ্ধে কোতয়ালী থানায় মামলা দায়ের করেছেন বলে নিশ্চত করেন মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার জ্যোতির্ময় সরকার। সোমবার দিবাগত মধ্যরাতে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের দুই নেতাকর্মী নিখোঁজের ঘটনায় জালালবাদ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি নং: ১১৭৯জি) করেন শাবি ছাত্রলীগের উপ-ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সম্পাদক ইমরান আহমেদ। ছাত্রলীগ সূত্রে জানা যায়, সোমবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটক থেকে সজিব ও তারেক বাসায় যায়। তার কিছুক্ষণ পর বাসায় রুমে ঢুকে পিস্তল দিয়ে ভয় দেখিয়ে তাদের সিএনজিতে করে তুলে নিয়ে যায় অপহরণকারীরা। পরে অপহরণকারীদের একজন তাকে দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-সভাপতি তরিকুল ইসলাম তারেক ও সাধারণ সম্পাদক ইমরান খানের বিরুদ্ধে ফেসবুকে স্টাটাস দেয়। এছাড়া ভয় দেখিয়ে ফেসবুক লাইভে এসে তাদের বিরুদ্ধচারণ করতে বাধ্য করে। পরবর্তীতে সজিবকে অপহরণ করে দক্ষিণ সুরমার খোজারখলা পলিটেকনিক ইনিস্টিটিউটের কাছে তাকে তুলে নিয়ে যায়। পরে অপহরণকারীরা সজিবের ফোন, মানিব্যাগ রেখে টিকিট কেটে নরসিংদীর বাসে তুলে দেয়। সিলেট না ছাড়লে তাকে তার প্রাণনাশের আশঙ্কা আছে বলে হুমকি প্রদান করে বলেও জানা যায়। পরে সজিব সুরমা বাইপাসের কাছে বাস থেকে নেমে সিএনজি ড্রাইভারের মাধ্যমে থানায় ফোন দেয়। পরে পুলিশ গিয়ে তাকে উদ্ধার করে। পরবর্তীতে সজিবের বক্তব্যের প্রেক্ষিতে পুলিশ জানতে পারে তারেক হালিমী জিম্মি রয়েছে অপহরণকারীদের কাছে। খোঁজখবর নিয়ে রাতেই তারেক হালিমীকে উদ্ধার করে পুলিশ। শাবি ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মো. রুহুল আমিন জানান, সজিব নিজেই মুক্ত হয়ে যোগাযোগ করেছে। আর তারেক হালিমীকে পুলিশ উদ্ধার করেছে। আমি মনে করি এ ঘটনাটি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অংশ। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর আবু হেনা পহিল বলেন, এ ঘটনায় আমরা সর্বোচ্চ সহযোগিতা করে যাচ্ছি। উল্লেখ্য, উদ্ধারকৃত তারেক হালিমী ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মো. রুহুল আমিনের ও সজিবুর রহমান বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ইমরান খানের অনুসারী।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।