বিএনপি নেতা সাজুর তত্ত্বাবধানে বিজয় দিবস র্যালিতে বিপুল নেতাকর্মীর অংশগ্রহন
ঢাকা-১৪ আসনের বিএনপি মনোনীত সংসদ সদস্য প্রার্থী ও দারুসসালাম থানা বিএনপির সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এস
বর্তমানে গণতন্ত্র শব্দটা সংবিধান থেকে প্রত্যাহার হয়ে গেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। তিনি বলেন, গণতন্ত্র শব্দটির স্থানে এখন প্রতিস্থাপিত হয়েছে লুটপাটতন্ত্র আর যৌনতন্ত্র। নারী নির্যাতনের ঘৃণ্যতম অধ্যায় একাত্তরের যুদ্ধে আমরা দেখেছি পাকিস্তানের বর্বরবাহিনীর কাছে। কিন্তু বর্তমানে নারী ও শিশু নির্যাতন ৯ থেকে ৯০ বছর বয়সে পর্যন্ত পরিত্রাণ পায় না। মানুষ বলে মানুষের মন ভাঙা আর মন্দির ভাঙা নাকী এক সমান। তাহলে শিশু বা নারীর ইজ্জত হানি করা একটা মসজিদ ও মন্দির ভাঙার চেয়েও অনেক গুরুত্বপূর্ণ পাপ বা অন্যায়। এই অন্যায়ের ৮ বছরেরও বিচার হয়নি। এই অবস্থা থেকে উত্তরণে সরকারের বিরুদ্ধে সকলকে রাজপথে নামার আহবান জানান তিনি।
মঙ্গলবার ‘রামু ট্র্যাজেডি’র ৮ বছর উপলক্ষে হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিষ্টান কল্যাণ ফ্রন্টের উদ্যোগে আয়োজিত এক ভার্চুয়াল আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
সভায় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, আমাদের একটাই লক্ষ্য হওয়া উচিত বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে হবে, গণতন্ত্রকে মুক্ত করতে হবে, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে আনতে হবে। আমাদের ৩৫ লাখ মানুষের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দূর করতে হবে, যারা কারাগারে আছেন তাদের বের করতে হবে। একটা মুক্ত স্বদেশ, মুক্ত বাংলাদেশ নির্মাণ করতে হবে। আসুন আমরা সবাই দল-মত-বর্ণ নির্বিশেষে সেই লক্ষ্যে কাজ করি।
রামুর ঘটনার প্রসঙ্গ টেনে মির্জা ফখরুল বলেন, রামু ঘটনা আমার কাছে মনে হয় বিচ্ছিন্ন কোনো ঘটনা নয়, এটি বাংলাদেশের সামগ্রিক রাজনৈতিক ও সামাজিক পরিস্থিতি তারই একটা প্রতিফলন। বাংলাদেশে এখন কোনো গণতন্ত্র নেই, সংবিধান নেই। মানুষের কারোই বৌদ্ধ সেটা ধর্মাবলম্বী হোক, খ্রিষ্টান ধর্মাবলম্বী হোক, ইসলাম ধর্মাবলম্বী হোক কারোই কোনো অধিকার এখানে আপনার নেই। এককথায় এখন এটা পুরোপুরিভাবে গণতন্ত্রবিহীন একটা ফ্যাসিস্ট রাষ্ট্রে পরিণত হতে যাচ্ছে। কর্তৃত্ববাদীতা, অন্যের অধিকার হরণ করা, অন্যের ওপর অত্যাচার-নির্যাতন করা-এটা একটা প্রবণতা বেড়েই চলেছে প্রতিদিনই।
রামুর ঘটনাসহ সংখ্যালঘুদের উপাসনালয়ে হামলার নানা ঘটনার নিন্দা জানিয়ে বিএনপি মহাসচিব বলেন, আওয়ামী লীগ যখনই এসেছে ক্ষমতায় তখনই এই প্রবণতা বেড়ে গেছে। হিন্দুসহ সংখ্যালঘু সম্প্রদায় কখনো নিরাপদ বোধ করেনি, তাদের সম্পদ দখল করে নেয়া হয়েছে। এদের একটা ডাবল স্ট্যান্ডার্ড আছে। মুখে বলবে আমরা সংখ্যালঘুদের স্বার্থ আমরা রক্ষা করি। তাদের দ্বারাই তাদের নেতাদের দ্বারা তাদের সময়ে সবচেয়ে বেশি সংখ্যালঘুদের অধিকারগুলো হরণ করা হয়েছে, ধবংস করা হয়েছে।
সংগঠনের আহবায়ক গৌতম চক্রবর্তীর সভাপতিত্বে ও অপলেন্দু দাস অপু‘র সঞ্চালনে এই ভার্চুয়াল আলোচনা সভায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আবদুল মঈন খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ভাইস চেয়ারম্যান নিতাই রায় চৌধুরী, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য অধ্যাপক সুকোমল বড়ুয়া, কেন্দ্রীয় নেতা জয়ন্তু কুমার কুন্ড, দীপেন দেওয়ান, অর্পনা রায় দাশ, দেবাশীষ রায় মধু, সুশীল বড়ুয়া, নিপুণ রায় চৌধুরী, তরুণ দে, মিল্পন বৈদ্য প্রমূখ বক্তব্য রাখেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।