Inqilab Logo

বুধবার ২০ নভেম্বর ২০২৪, ০৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

মীরসরাইতে পান ক্ষেতে মড়ক!

মীরসরাই (চট্টগ্রাম) উপজেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০২০, ৩:১৭ পিএম

কৃষি প্রধান বাংলাদেশে নানা চাষাবাদের মধ্যে পান চাষ অন্যতম। কারণ একবার পান চাষ শুরু করলে তার সুফল পাওয়া যাওয়া যায় বছরের পর বছর ধরে। শুধু মাত্র পরিচর্যা মধ্যে দিয়ে দীর্ঘদিন ধরে উৎপাদিত ফসলের মূল্য পাওয়া যায়। অনেকেই আছে প্রজন্মের পর প্রজন্ম পান চাষ করে জীবিকা নির্বাহ করে থাকে। সাধারণত পাহাড়ের পাদ দেশে কিংবা একটু উচু টিলা এই পান চাষ করা হয়ে থাকে। ঠিক তেমনি মীরসরাইয়ে পান হয়ে থাকে ২নং হিঙ্গুলী ইউনিয়নে। পানক্ষেতে বর্তমানে মড়ক দেখা দিয়েছে। মড়ক লাগায় পানের উৎপাদন যেমনি কম হচ্ছে তেমনি সঠিক দামের সুফল পাচ্ছেন না পানচাষিরা।
কৃষি অফিস সুত্রে জানা যায়, উপজেলার ২নং হিঙ্গুলী ইউনিয়নের পান চাষ হয়ে থাকে। ২ হেক্টর বা ১৫ বিঘা জমিতে ২৫ জন চাষী এই পান চাষ করে থাকেন। এতে ২৫ মেক্ট্রিক টন পান উৎপাদন হয়ে থাকে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় উপজেলার ২নং হিঙ্গুলী ইউনিয়নের মেহেদী নগর গ্রামের ভোলা কুমার দে পানের বরজে পানক্ষেতে পানের পাতা ও কা-ে পচন দেখা দেওয়ার পাশাপাশি গোড়া পচা রোগ দেখা দিয়েছে। ক্ষেতে মড়ক দেখা দেওয়ায় এবার লোকসানের আশঙ্কাও করছেন তিনি। পানের পাতায় কালো ও হলুদ বর্ণে পান বিবর্ণ হয়ে গেছে।
ভোলা কুমার দে প্রায় ২৮ শতক জমিতে দুই বছর আগে পান চাষ শুরু করেন। এতে তার মোট খরচ ব্যয় হয় প্রায় ৯০ হাজার টাকা। তিনি হালের বলদ বিক্রি করে উক্ত টাকার জোগান দেন। পানের বিরা (১৮ খন্ডা) বর্তমান মূল্য ৪৫- ৫০ টাকা।
সম্প্রতি তার বরজে নানা ধরণের রোগ দেখা দিলে তার কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়ে। তিনি বারইয়ারহাট বাজারের ডিলার অহিদ এন্ড ব্রাদার্স ও আবুল হোসেন এন্ড সন্স এই দুই দোকান থেকে বিভিন্ন কোম্পানীর নানা ধরণের ওষুধ ব্যবহার করা পরও পান রোগ মুক্ত হয়নি। তিনি ক্ষোভের সহিত জানান কৃষি সংশ্লিষ্ট কোন কর্মকর্তা আজ পর্যন্ত দেখা পাননি। পরামর্শের জন্য উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তাদের দায়িত্ব থাকলেও তারা এই পর্যন্ত আসেনি। ফলে পানের বরজ নিয়ে আমি র্দুচিন্তার মধ্যে আছি।
পানচাষী সমর দে ও সংকর দে জানান, নানা প্রতিকুলতার যেমন অতি বৃষ্টি, বাঁশের দাম ও শ্রমিকের মজুরী বেশি হওয়া অপরদিকে পানের দাম কম হওয়ায় এই বছর ক্ষতির সম্মুখিন হবো।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রঘুনাথ নাহা বলেন, পানক্ষেতে পানের লতা ও গোড়া পচা রোগ সাধারণত হয়ে থাকে। এই রোগ গুলো থেকে প্রতিরোধ করার জন্য ছত্রাক ও ব্যাকটেরিয়া নাশক ওষুধ ব্যবহার করা পরামর্শ দিয়ে থাকি কৃষকদের।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ