বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
মৌলভীবাজার জেলা সংবাদদাতা : আসামিকে না পেয়ে বাবাকে হাতকড়া দিয়েছিল পুলিশ। ভীত বাবা পালিয়ে বাঁচতে হঠাৎ দৌড়াতে শুরু করেন। কিছুদূর গিয়ে পড়ে যান তিনি। আর ওঠেনি। সেখানেই শেষ। এমন দাবি ওই ব্যক্তির পরিবারের। তিনি ছাতির মিয়া (৫৫)।
আজ বৃহস্পতিবার ভোরে মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার থিম্পুর ইউনিয়নের কালেঙ্গা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে বলে পরিবারটির ভাষ্য।
হাতকড়া দেওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করে পুলিশ বলছে, পুলিশ দেখে ছেলে ইয়াবা ব্যবসায়ী রিপন মিয়ার সঙ্গে পালানোর সময় পড়ে গিয়ে মারা যান ছাতির মিয়া।
ভোরে কালেঙ্গা গ্রামে রিপনকে ধরতে অভিযান চালায় মৌলভীবাজার পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) একটি দল। অভিযানে নেতৃত্ব দেন উপ-পরিদর্শক (এসআই) নজরুল ইসলাম। তাঁকে ডিবি থেকে প্রত্যাহার করে পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়েছে।
ছাতির মিয়ার স্ত্রী সখিনা বেগম অভিযোগ করেন, পুলিশ বাড়িতে ঢুকেই সবাইকে পিটিয়েছে। তাঁর ভাষ্য, ছেলে মাদক ব্যবসা করেন, ঠিক আছে। কিন্তু তাঁর স্বামীর নামে তো কোনো মামলা ছিল না। পুলিশ ছেলেকে না পেয়ে স্বামীকে হাতকড়া পরাল। সেই অবস্থায় তাঁর স্বামী ভয়ে পালানোর সময় পড়ে গিয়ে মারা যান। পরে হাতকড়া খুলে নেয়।
ছাতির মিয়ার প্রতিবেশী চারজনের সঙ্গে মোবাইল ফোনে কথা বলে জানা যায়, ঘটনার পর স্থানীয়ভাবে কিছুটা উত্তেজনার সৃষ্টি হলে কালেঙ্গা গ্রামে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়।
মৌলভীবাজারের জ্যেষ্ঠ সহকারী পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মোল্লা মোহাম্মদ শাহীন জানান, রিপনকে গ্রেপ্তারে পুলিশি অভিযান চলছিল। সেখানে পরিবারের অন্যদের ওপর কোনো চাপ ছিল না। ছেলের সঙ্গে বাবা দৌড়ে পালাতে গিয়ে আকস্মিকভাবে মারা যান। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তবে দায়িত্বে অবহেলার কারণে এসআই নজরুল ইসলামকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।