করোনা পরিস্থিতিতে ভার্চুয়াল কোর্টের অনেক সাফল্য পাওয়া গেছে। ভার্চুয়াল কোর্টেকে আরো সাফল্য মন্ডিত করতে গেলে বিচারক ও আইনজীবীদের প্রশিক্ষণ প্রয়োজন। এ কথা বলেছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। গতকাল রোববার মুন্সিগঞ্জে ৪২ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত ৮ তলা চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত ভবন উদ্বোধনের ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন মুন্সিগঞ্জের সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ হোসনে আরা বেগম। অনুষ্ঠানে মুন্সিগঞ্জ-৩ আসনের এমপি মৃণাল কান্তি দাস,আইন ও বিচার বিভাগের সচিব মো. গোলাম সারওয়ার, গণপূর্ত অধিদপ্তরের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মোসলেহ উদ্দিন আহমেদ, জেলা প্রশাসক মো. মনিরুজ্জামান তালুকদার,চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রোকেয়া রহমান, পুলিশ সুপার আব্দুল মোমেন,জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি মো. জাকারিয়া মোল্লা প্রমুখ বক্তৃতা করেন। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন আইন ও বিচার বিভাগের যুগ্ম সচিব বিকাশ কুমার সাহা।
বিচার বিভাগে কোভিড-১৯ পরিস্থিতি মোকাবেলায় তথ্য প্রযুক্তির ভূমিকার কথা উল্লেখ করে আনিসুল হক আরও বলেন, ভার্চুয়াল কোর্টের মাধ্যমে গতকাল পর্যন্ত ৫০ হাজারের অধিক মামলা নিষ্পত্তি করা হয়েছে। কারাগারগুলোতে ওভার পপুলেশনের সমস্যা নিরসন করা হয়েছে। করোনা পরিস্থিতিতে ভার্চুয়াল কোর্টের অনেক সাফল্য পাওয়া গেছে। ভার্চুয়াল কোর্টেকে আরো সাফল্য মন্ডিত করতে গেলে বিচারক ও আইনজীবীদের প্রশিক্ষণ প্রয়োজন। আইনমন্ত্রী বলেন, ভার্চুয়াল কোর্টকে আরো সাফল্য মন্ডিত করার জন্য প্রধান বিচারপতি যে সব পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন তাতে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা প্রদান করার জন্য আইসিটি বিভাগকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নির্দেশ দিয়েছেন। পাশাপাশি দুই হাজার ৮শ’ কোটি টাকার ই-জুডিসিয়ারি প্রকল্প গ্রহণ করা হচ্ছে যা এখন পরিকল্পনা কমিশনে আছে। এ প্রকল্প কিছুদিনের মধ্যে একনেক মিটিংয়ে উঠবে। এসব প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে ৩১ লাখ মামলার জট থাকবে না। গত ১২ বছরে বাংলাদেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় জননেত্রী শেখ হাসিনা যতটা সক্রিয় ছিলেন তার পাশাপাশি সহযোগিতা করেছে বিচার বিভাগ। এই সহযোগিতা এবং বিচার বিভাগের কাজ যেভাবে চলছে সেভাবে চলতে থাকলে নিশ্চিত বাংলাদেশে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভিশন-২০৪১ সফল হবে। ৩১ লাখ মামলাজট নিয়ে সরকার অত্যন্ত সজাগ। এ জট নিরসন করা হবে।
##