বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ উপজেলায় মডেল মসজিদ নির্মাণের ভূমি অধিগ্রহণে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। সরকারের সম্পত্তি সরকারের নিকটই বিক্রি করেছে দখলদাররা।
ভূমি অধিগ্রহণকালীন দায়িত্বে থাকা সাবেক উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা মোহাম্মদ আলী আফরোজ, সাবেক সহকারী কমিশনার (ভূমি) মমতা আফরিন ও সাবেক উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের যোগসাজশে ভূমি অধিগ্রহণ করা হয়। ভূমির মালিকানা উপজেলা পরিষদ হলেও মালিকানা দাবিদাররা প্রায় অর্ধেক মূল্য গ্রহণ করে পুরো টাকায় স্বাক্ষর করে দিয়েছেন বলে একাধিক সূত্র জানিয়েছে।
অধিগ্রহণকৃত ভূমির মূল্য ৬কোটি টাকা নির্ধারণ করা হয় । তাতে মালিক দাবীদাররা প্রায় ৩কোটি টাকা পেয়েছেন। বাকি টাকা অধিগ্রহণকারীরা ভাগবাটোয়ারা করে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। বিগত প্রায় ছয় দশক সম্পত্তির খোঁজখবর উপজেলা প্রশাসন ও উপজেলা পরিষদের জনপ্রতিনিধিরা না রাখায় এই সম্পত্তির বেশিরভাগ অংশই এখন বেদখলে। ফলে ব্যক্তি মালিকানা দাবি করা সরকারের সম্পত্তি সরকারের নিকট বিক্রি করেছে দখলদাররা।
জানা যায় পাকিস্তান আমলে তৎকালীন চাঁদপুর মহাকুমার ফরিদগঞ্জ টিটিএন্ড ডিসি এর নামে ১০একর সম্পত্তি অধিগ্রহণ করা হয়। সেই অনুযায়ী উপজেলা পরিষদের এলএকেস নং ১৯২/৬৩-৬৪ সালে কাচিয়ারা গ্রামের ২৯১ মৌজার ৪৫ জন ব্যক্তির নিকট থেকে ওই সময়ের ৩৪ হাজার টাকা মূল্যের সম্পত্তি অধিগ্রহণের সিদ্ধান্ত দেয়া হয়।
এছাড়া ১৯৫৭সালে সাফ কবলা দলিল মূলে তৎকালীন সিও ডেভেলপমেন্টের নামে আরও ৬৭ শতাংশ ভূমি ক্রয় করা হয়। কিন্তু উপজেলা পরিষদ তাদের অধিগ্রহণকৃত ১০একর সম্পত্তির মধ্যে ৫একর সম্পত্তির খাজনা নিয়মিত দিয়ে আসলে ও বর্তমানে মাত্র পরিষদের দখলে রয়েছে ৪ একর ৬৭ শতক।
সাম্প্রতিক ফরিদগঞ্জ উপজেলা পরিষদের মাসিক সমন্বয় সভায় উপজেলা প্রকৌশলী ড. মোহাম্মদ জিয়াউল ইসলাম মজুমদার উপজেলা পরিষদের সম্পত্তির হদিস নেই বলে আলোচনার প্রেক্ষিতে উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান জিএম তসলিমকে আহ্বায়ক করে ৫সদস্য বিশিষ্ট পরিষদের স্থাবর সম্পত্তি যাচাই-বাছাই ও রক্ষা উপ-কমিটি গঠন করা হয়।
সূত্র জানায়, প্রায় ৬ কোটি টাকা ব্যয়ে উপজেলা মডেল মসজিদের নামে যে সম্পত্তি অধিগ্রহণ করা হয়েছে, তা উপজেলা পরিষদের অধিগ্রহণকৃত পূর্বের সম্পত্তি। মসজিদের মত পবিত্র একটি কাজেও অবৈধ বাণিজ্যের অভিযোগ অবাক করেছে সচেতন মহলকে। সরকার যেখানে মানুষের ভূমির হিসাব বুঝিয়ে দিয়ে থাকে, সেখানে সরকারের নিজের সম্পত্তির খোঁজ নেই। বিষয়টি জরুরি ভিত্তিতে তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা নিলে প্রকৃত রহস্য উন্মোচিত হবে বলে স্থানীয়দের অভিমত।
সাবেক উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তা মোহাম্মদ আলী আফরোজ, সহকারী কমিশনার ভূমি মমতাজ আফরিনসহ দুই কর্মকর্তার মোবাইল নাম্বার না থাকায় তাদের বক্তব্য নেয়া যায়নি ।নির্বাহী কর্মকর্তার অফিসে ওই দুই কর্মকর্তার মোবাইল নাম্বার চাইলে কেউ দিতে রাজি হয়নি।
এ বিষয়ে স্থানীয় সংসদ সদস্য মোঃ শফিকুর রহমান ক্ষোভ প্রকাশ করে জানান, দ্রুত আইনি ব্যবস্থা গ্রহণপূর্বক পদক্ষেপ নিতে উপজেলা প্রকৌশলী ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি বলেন এ বিষয়ে কোনো আপোষ নেই । দোষীদের অবশ্যই শাস্তি পেতে হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।