পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
আন্তর্জাতিক মানের সেবা দেয়া হবে : খালিদ মাহমুদ চৌধুরী
রাজধানীর পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া নদী বুড়িগঙ্গায় সদরঘাট নদীবন্দরের ওপর চাপ কমাতে পোস্তগোলার শ্মশানঘাটে আরেকটি লঞ্চ টার্মিনাল নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। ৩ হাজার ৩৪৯ কোটি ৪২ লাখ টাকা ব্যয়ে সরকার নতুন এ লঞ্চ টার্মিনাল নির্মাণের সিদ্ধান্ত নিলেও তা বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া শুরু হয়নি। তবে প্রকল্পের মেয়াদ দেড় বছর বাড়িয়ে আগামী ২০২৫ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত করার প্রস্তাব পরিকল্পনা কমিশনে পাঠানো হয়েছে বলে জানা গেছে। প্রথমে প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছিল ৩ হাজার ২০০ কোটি টাকা। তা বাড়িয়ে ৩ হাজার ৩৪৯ কোটি ৪২ লাখ টাকা করার প্রস্তাব করা হয়েছে। ইতোমথ্যে প্রকল্পের বিভিন্ন কাজে ৩৫ কোটি টাকা খরচ হয়েছে। এদিকে প্রকল্পের শুরুতে কিছু দুর্নীতির কারণে বিশ্বব্যাংক অর্থ ছাড়ে বিলম্ব করছে বলে মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে।
বুড়িগঙ্গা, শীতলক্ষ্যা, বালু ও তুরাগসহ দেশের গুরুত্বপূর্ণ নদ-নদীর নাব্য এবং নদীর স্বাভাবিক গতিপ্রবাহ অব্যাহত রাখা সংক্রান্ত টাস্কফোর্সের সভার সিদ্ধান্ত হয়। এর পরে বুড়িগঙ্গা তীরের বাকল্যান্ড বাঁধের ওপর থাকা সব অবৈধ স্থাপনা ও ফুটপাথ দখলমুক্ত করার কাজ শুরু করে বিআইডবিøউটিএ। ইতোমধ্যে বুড়িগঙ্গা, শীতলক্ষ্যা, বালু ও তুরাগ এলাকায় অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে বলে জানা গেছে।
নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী ইনকিলাবকে বলেন, রাজধানীর নদীবন্দরের ওপর চাপ কমাতে পোস্তগোলার কাছে শ্মশানঘাটে আরেকটি নতুন লঞ্চ টার্মিনাল নির্মাণ করা হবে। আমাদের নদীতে একদিকে পানি আসে, আরেকদিকে চলে যায়। ড্রেজিং করে পানি ধরে রাখতে হবে। নৌপথ ব্যবহারকারীদের আন্তর্জাতিক মানের সেবা দিতে সরকার এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। নৌ প্রতিমন্ত্রী বলেন, সদরঘাট দিয়ে দিনে ৩-৪ লাখ মানুষ বিভিন্ন গন্তব্যে যাচ্ছেন। ওই চাপ সামলাতে আমাদের হিমশিম খেতে হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারের সময়ে সড়ক, রেল ও নৌপথে বিলাসবহুল পরিবহনের মাধ্যমে যাত্রীসেবা দেয়া হচ্ছে। যাত্রীর চাপ কমাতে ঢাকার সদরঘাটের টার্মিনাল এলাকা বাড়ানো হবে।
বিআইডবিøউটিএ পরিচালক এবং পোস্তগোলার শ্মশানঘাট নতুন লঞ্চ টার্মিনাল নির্মাণ প্রকল্পের পরিচালক মাহমুদ হাসান সেলিম ইনকিলাবকে বলেন, বিশ্বব্যাংকের আর্থিক সহায়তায় রাজধানীর পোস্তগোলা সেতুর কাছে শ্মশানঘাটে আধুনিক সুবিধা সংবলিত টার্মিনাল নির্মাণ হবে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিআইডবিøউটিএ’র এক কর্মকর্তা জানান, সরকার প্রজ্ঞাপন জারি করেছে প্রকল্পের কাজ দ্রæত করতে, অথচ এখানে প্রকল্পের সময় বারবার বাড়ানো হচ্ছে। যে টাকা ব্যয় দেখানো হয়েছে তা সঠিক নয়। ব্যয় অনেক কম হয়েছে।
বিআইডবিøউটিএ সূত্রে জানা গেছে, ২০১৬ সালে রাজধানীর পোস্তগোলার শ্মশানঘাট নারায়ণগঞ্জ, চাঁদপুর ও বরিশালে আধুনিক সুবিধা সংবলিত টার্মিনাল নির্মাণে বিশ্বব্যাংকে আর্থিক সহায়তায় একটি প্রকল্প নেয়া হয়। পরে ২০১৬ সালের জুলাইয়ে অনুমোদন পাওয়া প্রকল্পের সমীক্ষা চালানো শুরু হয়। সেই প্রকল্পের সমীক্ষা তিন বছরের বেশি। সেখানে প্রকল্পের মেয়াদ ধরা হয় ২০১৬ থেকে শুরু হয়ে আগামী ২০২৪ সালের জুনে প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হবে। কিন্তু গত চার বছরে প্রকল্পে ব্যয় করা হয়েছে ৩৫ কোটি টাকা। এর মধ্যে প্রকল্পের কাজ দ্রæত করতে বিশ্বব্যাংক চাপ প্রয়োগ করে। তারপর বিআইডবিøউটিএ’র পক্ষ থেকে প্রকল্পের মেয়াদ দেড় বছর বাড়িয়ে আগামী ২০২৫ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত করার প্রস্তাব দেন। সেটি এখন পরিকল্পনা কমিশনে পাঠিয়েছে নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়। প্রকল্পের প্রস্তাবনায় রয়েছে- রাজধানীর সদরঘাট থেকে পোস্তগোলার শ্মশানঘাট, নারায়ণগঞ্জ, চাঁদপুর ও বরিশালে আধুনিক সুবিধা সংবলিত টার্মিনাল নির্মাণ, ঢাকার অদূরে পানগাঁও ও আশুগঞ্জে দুটি কার্গো টার্মিনাল এবং ১৫টি লঞ্চঘাট নির্মাণ, এছাড়া নৌপথের নির্দিষ্ট এলাকায় ড্রেজিং করা এবং নৌ-ঘাট এলাকায় ৬টি আশ্রায়ন কেন্দ্র নির্মাণসহ বিভিন্ন স্থাপনা নির্মাণ।
বুড়িগঙ্গা, শীতলক্ষ্যা, বালু ও তুরাগসহ দেশের গুরুত্বপূর্ণ নদ-নদীর নাব্য এবং নদীর স্বাভাবিক গতিপ্রবাহ অব্যাহত রাখা সংক্রান্ত টাস্কফোর্সের এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। টাস্কফোর্সের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ঢাকা, মুন্সীগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ ও গাজীপুর জেলায় নদীর সীমানা নির্ধারণে পিলার (খুঁটি) স্থাপন করা হয়েছে। অবৈধ দখলমুক্ত করে নদীর সীমানা নির্ধারণে গত জুন পর্যন্ত মুন্সীগঞ্জে ৩৬৫টি, গাজীপুরে ৪৩২টি, নারায়ণগঞ্জে ৩ হাজার ৫০৬টি এবং ঢাকায় ২৪০টি খুঁটি স্থাপন করা হয়েছে। জুনের পর খুঁটি স্থাপনের স্বাভাবিক কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।