Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার ০৭ নভেম্বর ২০২৪, ২২ কার্তিক ১৪৩১, ০৪ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

মূল্য নিয়ে শঙ্কিত পাট চাষি

মো. হাসান চৌধুরী, সুনামগঞ্জ থেকে | প্রকাশের সময় : ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০২০, ১২:০৬ এএম

ভাটির জনপদ সুনামগঞ্জ। এ অঞ্চলের মানুষের আয়ের উৎস হচ্ছে একমাত্র কৃষি। এই কৃষি নির্ভরশীল অঞ্চলে রয়েছে অনেক সমতল ভূমি। ধান-পাট আলু বাদামসহ অন্যান্য ফসলের জন্য রয়েছে উর্রবর মাটি। আমাদের প্রধান অর্থকারি ফসল সোনালি পাট। এবার কৃষক পাট রোপন করে বাম্পার ফলন পেয়েছেন। সুনামগঞ্জ পাট চাষিদের মুখে সোনালি হাসির ঝিলিক। তবে তারা আশংকা করছেন পাট মৌসুমে সিন্ডিকেট পাটের দরপতন ঘটায় আর মধ্যসত্ব ভোগিরা মুনাফা লুটে কৃষক তার ন্যায়্য মূল থেকে বঞ্চিত হন। কৃষকরা আশা প্রকাশ করেন সংশ্লিষ্ট আধিদফতরে দায়িত্বশীলরা এ দিকে নজর দিবেন।
চলতি বছর তিন দফা বন্যার কারণে নদী খাল বিল জলাশয়ে পানি থাকায় পাট জাগ দিতে পাট অসুবিধায় পড়তে হয়নি। ইতোমধ্যে পাট কাটা ও আঁশ ছাড়ানোর কাজ শেষ হয়েছে। এখন আবহাওয়া অনুক‚লে থাকলেই সোনালি আঁশ শুকিয়ে কৃষকরা ঘরে তুলতে পারবে। আগামী ১ সাপ্তাহ মধ্যে এ অঞ্চলের পাট কাটা, জাগ এবং শুকানোর কাজ শেষে সোনালি ফসল আসবে শহর ও শহরতলি হাট-বাজারে। জেলার দোয়ারা বাজার এলাকার পাট চাষি নবাব মিয়া জানান, পাট তো ভাল হয়েছে এখন কয়েক দিন রোদ পেলে পাট দ্রæত শুকানো যাবে। তিনি বলেন, কোন অসাধু পাট ব্যবসায়ী কারসাজি করে তাদের অক্লান্ত শ্রম ঘামের উৎপাদিত পাটের ন্যায়্য মূল্য কমিয়ে দিতে না পারে এবং দ্রব্য মূল্য বৃদ্ধি সাথে সামঞ্জস্য রেখে পাটের মূল্য বৃদ্ধি না করলে কৃষক পাট উৎপাদন করতে উৎসাহী হবে না। এক কেদার পাট চাষে খরচ পড়ে ১২ থেকে ১৮ হাজার টাকা। স্থানীয় বাজারে ভালো মানের পাট ১৮শ’ থেকে ১৯শ’ টাকা মণ দরে বিক্রি হচ্ছে।
কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, ধর্মপাশা, দোয়ারাবাজার উপজেলায় পাটচাষ বেশি হয়। চলতি পাট মৌসুমে এ বছর মেস্তা, দেশি, তোষা, কেনাফ জাতের ৭৫৫ হেক্টর পাট আবাদ হয়েছে। গতবার আবাদ ৭৫০ হেক্টর, যা এ বছর ৫ হেক্টর বেশি।
ধর্মপাশা উপজেলা ৫১০ হেক্টর এবং দোয়ারাবাজার উপজেলায় ২৫০ হেক্টর পাট চাষ হয়েছে। চলতি বছরে উৎপাদনের লক্ষমাত্রা ধরা হয়েছে ৫ হাজার ৩১ বেল্ট।
দোয়ারাবাজার উপজেলার লক্ষীপুর গ্রামের কৃষক আব্দুল জানান, এবার পরীক্ষামূলক এক বিঘা জমিতে পাট চাষ করেছিলাম। অন্য বছরের তুলনায় ফলন ও পাটের দাম তুলনামূলক ভালো হলেও পাট চাষে খরচ বেশি হওয়ায় লাভের মুখ দেখতে পারবো বলে মনে হয় না।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ