Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

দেশের সর্বাধিক বৃষ্টিপাতে দক্ষিণাঞ্চলে স্বাভাবিক জনজীবনে ছন্দ পতন

বর্ষন অব্যাহত থাকলে ফসল নিয়ে দুর্ভাবনাও আছে

বরিশাল ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ২২ সেপ্টেম্বর, ২০২০, ৪:৪৮ পিএম

লঘু চাপের প্রভাবে দেশের সর্বাধীক বৃষ্টিপাতে দক্ষিণাঞ্চলে স্বাভাবিক জন জীবনে ছন্দ পতন ঘটলেও জোয়ারের প্লাবন সিমিত থাকায় কৃষকের মনে কিছুটা স্বস্তি থাকলেও বর্ষন অব্যাহত থাকলে আগাম শীতকালীন সবজি নিয়ে দুঃশ্চিন্তাও রয়েছে। ভাদ্রের অমাবশ্যায় ভর করে লঘুচাপের প্রভাবে ফুসে ওঠা সাগরের জোয়ার আর উজানের ঢলের সাথে অবিরাম বর্ষনে সমগ্র দক্ষিণাঞ্চলের কৃষি ব্যবস্থা লন্ডভন্ড হয়ে যাবার এক মাসের মাথায় আশি^নের অমাবশ্যার মরা কাটালে আরেক লঘুচাপে বৃষ্টি হলেও জোয়ারের প্লাবন নেই। সোমবার সারা দিন ও রাতের বৃষ্টিপাতে সমগ্র দক্ষিণাঞ্চলের জনজীবনে যথেষ্ঠ ছেদ পড়ে।
মঙ্গলবার সকাল ৯টার পূর্ববর্তি ২৪ ঘন্টায় বরিশালে দেশের সর্বাধীক ৬৮ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। এসময় পটুয়াখালীতে ৬৫ ও সাগর পাড়ের কলাপাড়াতে ৫৭ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়। সোমবার সকালেও দেশের সর্বাধীক ৭৭ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয় বরিশালে। মঙ্গলবার সকাল ৬টা থেকে দুপুর ৩টা পর্যন্ত আরো ২৩ মিলি বৃষ্টিপাত রেকর্ড হয়েছে বরিশালে। দক্ষিণাঞ্চলের মূল দানাদার খাদ্য ফসল আমন রোপনের ভরা মৌসুমে লঘুচাপের প্রভাবে এ বর্ষন এখনো বিরূপ প্রভাব না ফেললেও তা অব্যাহত থাকলে পরিস্থিতি ঝুকিপূর্ণ হতে পাড়ে বলেও শংকিত কৃষিবীদগন। বিকেল পৌনে ৪টায় এরিপোর্ট লেখা পর্যন্ত দক্ষিণাঞ্চলের প্রায় সর্বত্র মাঝারী বর্ষন অব্যাহত ছিল।
গত তিনদিনের প্রায় পৌনে দুশ মিলিমিটার বৃষ্টিপাতে বরিশাল মহানগরীর অনেক রাস্তাঘাট আবার প্লাবিত হয়েছে। নগরীর রুদ্ধপ্রায় পয়ঃ নিস্কাশন ব্যবস্থা তিনদিনে পৌনে দুশ মিলমিটার বর্ষনের পনি নিস্কাশন করতে পারেনি। আর ড্রেনগুলোর ময়লা আবর্জনা সরিয়ে নিস্কাশন ব্যবস্থা পুনরুদ্ধারে তেমন কোন তৎপড়তাও চোখে পড়েনি। নগরীর মরা খালগুলোর পানি বিপরিত মুখি হয়ে নগরীতে প্রবেস করছে।
সোমবাার দিনভর বঙ্গোপসাগর থেকে গভীর সঞ্চালনশীল মেঘমালা ছুটে এসে দক্ষিণাঞ্চলে বৃষ্টি ঝড়িয়েছে। যা সারা রাতই অব্যাহত ছিল। মঙ্গলবার দিনের বিভিন্ন সময় বরিশাল সহ দক্ষিণাঞ্চলের আকাশে সূর্য হাসি ছড়ালেও তা স্থায়ী হয়নি। বার বারই উত্তর বঙ্গোপসাগর থেকে ছুটে আসা মেঘমালায় আকাশকালো করে বৃষ্টি ঝড়িয়েছে। সকাল ৬টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত বরিশালে আরো ২৩ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে । বরিশাল সহ দক্ষিণাঞ্চলের সব নদী বন্দরকে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখানোর পাশাপাশি পায়রা সমুদ্র বন্দরকে ৩ নম্বর স্থানীয় হুশিয়ারী সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
আবহাওয়া বিভাগের মতে, উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও উড়িষ্যা-পশ্চিমবঙ্গ উপক’লে অবস্থানরত লঘুচাপটি উত্তরÑপশ্চিম বঙ্গোপসাগর সহ গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গে অবস্থান করছে। মৌসুমী বায়ু সারা দেশের ওপর সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে মাঝারী থেকে প্রবল অবস্থায় বিরাজ করছে। বরিশাল সহ উপক’লভাগে অস্থায়ী দমকা ও ঝড়ো হাওয়া সহ হালকা থেকে মাঝারী বৃষ্টি অব্যাহত থাকার কথাও বলছে আবহাওয়া বিভাগ। পাশাপাশি কোন কোন এলাকায় মাঝারী ধরনের ভারী থেকে ভারী বর্ষনের সম্ভবনার কথা জানিয়েছে আবহাওয়া বিভাগ। এমনকি মঙ্গলবার সকাল থেকে পরবর্তি ৩ দিন দক্ষিণাঞ্চলে বৃষ্টিপাতের প্রবনতা অব্যাহত থাকবে বলেও মনে করছে আবহাওয়া বিভাগ।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ