রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
নাটোরের আলোচিত বড়াইগ্রাম উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ও মুক্তিযোদ্ধা ডা আয়নাল হক হত্যা মামলার রায়ে তোরাব আর শামীম নামে দুইজনের মৃতুদন্ড ও ১১ জনকে খালাস দিয়েছে আদালত। হত্যাকান্ডের ১৮ বছর পর গতকাল সোমবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে নাটোরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক সাইফুর রহমান সিদ্দিক আলোচিত এই হত্যা মামলার রায় ঘোষণা করেন।
নাটোর জজ কোর্টের পিপি সিরাজুল ইসলাম জানান, সেই সময় আসামিরা ডা. আয়নাল হককে প্রকাশ্যে হত্যা করে উল্লাস করেছিল। কিন্তু বিএনপি সরকার ক্ষমতায় থাকার কারণে আসামিদের প্রয়োজনীয় নথিপত্র উপস্থাপন করা হয়নি। ফলে অনেক আসামি আইনের ফাঁক গলে খালাস পেয়ে গেছে। তারা এর জন্য উচ্চ আদালতে আবারো আপিল করবেন বলে জানান। এদিকে চাঞ্চল্যকর এ হত্যাকান্ডের রায়ের ঘটনায় তীব্র প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন ডা. আয়নাল হকের পুত্র আওয়ামী লীগ নেতা ও বনপাড়া পৌরসভার মেয়র কে এম জাকির হোসেন।
তিনি জানান, এই রায় কোনোভাবেই মেনে নিতে পারছেন না। সরাসরি হত্যায় অংশ নেয়া অনেক আসামি খালাস পেয়ে গেছে। উচ্চ আদালতে আপিল করবেন বলে জানান তিনি। এদিকে আসামিপক্ষের প্রতি অবিচার করা হয়েছে উল্লেখ করে বিএনপি নেতা শহিদুল ইসলাম বাচ্চু বলেছেন, তারা ন্যায়বিচার থেকে বঞ্চিত হয়েছেন বলে মনে করছেন। তারা এই রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করবেন। উল্লেখ্য, ২০০২ সালের ২৯ মার্চ বড়াইগ্রামের বনপাড়া বাজারে প্রকাশ্যে পিটিয়ে ও অস্ত্রের আঘাতে উপজেলা আওয়ামী লীগের তৎকালীন সভাপতি ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মুক্তিযোদ্ধা ডা. আয়নাল হককে হত্যা করা হয়। সে সময় ডা আয়নাল হকের পুত্রবধধূ নাজমা রহমান বাদি হয়ে মোট ১৭ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেন। এর মধ্যে চারজন আসামি মৃত্যুবরণ করেছেন। বাকি ১৩ জন আসামির মধ্যে দুই জনের মৃত্যুদন্ডের আদেশ ও ১১ জনকে খালাস দেয় আদালত।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।