Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ঢাবি ছাত্রী ধর্ষণের ঘটনায় সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু

আদালতে মজনুর কান্না

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২১ সেপ্টেম্বর, ২০২০, ১২:০০ এএম

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শিক্ষার্থী ধর্ষণের ঘটনায় গতকাল সাক্ষ্য গ্রহণের দিন ধার্য ছিল। সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আদালত থেকে নিয়ে যাওয়ার সময় কান্না শুরু করে অভিযুক্ত ধর্ষক মজনু। ‘মায়ের কাছে যেতে চাই’ বলে কাঁদতে কাঁদতে শুয়ে পড়ে সে। এ সময় পুলিশ সদস্যরা তাকে ধরে আদালত থেকে নিয়ে যায়। মজনু বলে, ‘আমি যাবো না। আমি মায়ের কাছে যাবো।’ তবে ঢাকা মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর আব্দুল্লাহ আবু বলেন, দন্ড থেকে বাঁচার জন্যই এমন অভিনয় করছে মজনু।

সংশ্লিষ্টরা জানান, গতকাল ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৭ এর বিচারক বেগম মোসাম্মৎ কামরুন্নাহারের আদালতে সাক্ষ্যগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। এ দিন ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর বাবা আদালতে সাক্ষ্য দেন। সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে পরবর্তী সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য আজ দিন ধার্য করেন আদালত।
উল্লেখ্য, গত ৫ জানুয়ারি সন্ধ্যার পর সাড়ে ৫টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাসে রওনা দেন ওই ছাত্রী। সন্ধ্যা ৭টার দিকে তিনি রাজধানীর কুর্মিটোলা বাসস্ট্যান্ডে বাস থেকে নামেন। এরপর একজন অজ্ঞাত ব্যক্তি তার মুখ চেপে ধরে সড়কের পেছনে নির্জন স্থানে নিয়ে যায়। সেখানে ধর্ষণের পাশাপাশি তাকে নির্যাতনও করা হয়। তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে ক্ষতচিহ্ন রয়েছে। ধর্ষণের একপর্যায়ে তিনি অজ্ঞান হয়ে পড়েন। রাত ১০টার দিকে নিজেকে একটি নির্জন জায়গায় নিজেকে আবিষ্কার করেন ওই ছাত্রী।
পরে সিএনজি নিয়ে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে আসেন। রাত ১২টার দিকে ওই ছাত্রীকে ঢামেক হাসপাতালের ওয়ানস্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) ভর্তি করান তার সহপাঠীরা। ৬ জানুয়ারি রাতে ধর্ষণের শিকার ওই ছাত্রীর বাবা ক্যান্টনমেন্ট থানায় মামলা দায়ের করেন।
প্রাথমিক তদন্ত ও অভিযোগ যাচাই-বাছাই শেষে রাতেই নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৯ (১) ধারায় মামলাটি তালিকাভুক্ত করে থানা কর্তৃপক্ষ।
পরে ৮ জানুয়ারি অভিযুক্ত ধর্ষক মজনুকে গ্রেফতার করা হয়। মজনুকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার পর সে ধর্ষণের কথা স্বীকার করে। এরপর ১৬ জানুয়ারি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়ে ধর্ষণের দায় স্বীকার করেন মজনু। গত ২৬ আগস্ট এই মামলার একমাত্র আসামি মজনুর বিচার শুরু হয়। ওইদির তার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে বিচার শুরুর নির্দেশ দেন আদালত।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ