Inqilab Logo

রোববার ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২১ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয়-পরাজয়ের ফ্যাক্টরগুলো

প্রকাশের সময় : ১১ আগস্ট, ২০১৬, ১২:০০ এএম

মুহাম্মদ রেজাউর রহমান
প্রতি চার বছর পর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন বিশ্বের সর্বত্র দারুণ আগ্রহের সৃষ্টি করে। বিশ্বের সর্বাপেক্ষা শক্তিধর রাষ্ট্র যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টকেও সর্বাপেক্ষা ক্ষমতাশালী রাষ্ট্রপ্রধান হিসেবে সকলেই স্বীকার করেন। সাধারণত যুক্তরাষ্ট্রের প্রধান বৃহত্তম দুই দল যথা রিপাবলিকান পার্টি ও ডেমোক্রেটিক পার্টি প্রেসিডেন্ট পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় দুজন প্রার্থীকে দলগত মনোনয়ন দিয়ে থাকে। বর্তমান প্রেসিডেন্ট ডেমোক্রেট দল মনোনীত বারাক ওবামা গত দুই মেয়াদে মোট আট বছর প্রেসিডেন্ট পদে অধিষ্ঠিত। সাধারণত নির্বাচিত প্রেসিডেন্টকে যুক্তরাষ্ট্রের জনগণ দ্বিতীয়বার চার বছর মেয়াদে পুনঃনির্বাচিত করে থাকে। আট বছরের মেয়াদে প্রেসিডেন্ট যাতে স্বীয় কর্মসূচি বাস্তবায়িত করতে পারেনÑ সেই বিবেচনায় প্রথম মেয়াদে নির্বাচিত প্রেসিডেন্টকে দ্বিতীয় মেয়াদেও নির্বাচিত হতে দেখা যায়।
যুক্তরাষ্ট্রের পরবর্তী প্রেসিডেন্ট নির্বাচন আগামী নভেম্বর মাসে। সে নির্বাচনে বিভিন্ন রাজ্যে দলীয় ভোটের মাধ্যমে দলের মনোনয়ন লাভের জন্য চেষ্টা করতে হয়। সম্প্রতি ডেমোক্রেট পার্টির জাতীয় সম্মেলনে প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটনের স্ত্রী হিলারি ক্লিনটন চূড়ান্ত দলীয় মনোনয়ন লাভে সমর্থ হয়েছেন। এর আগে রিপাবলিকান পার্টির জাতীয় সম্মেলনের ধনাট্য ব্যবসায়ী ডোনাল্ড ট্রাম্পের মনোনয়ন চূড়ান্ত করা হয়। দুই প্রার্থীই এখন তাদের নির্বাচনী প্রচারাভিযান শুরু করেছেন। দল হিসেবে রিপাবলিকান পার্টি রক্ষণশীল। ডেমোক্রেটদের কিছুটা উদারপন্থী হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এবারের রিপাবলিকান প্রার্থী ইতোমধ্যে বেশ কিছু বিতর্কিত মন্তব্য করে আলোচিত-সমালোচিত হয়েছেন। একবিংশ শতাব্দীর দ্বিতীয় দশকে ডোনাল্ড ট্রাম্পের মতো যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী যেসব মন্তব্য করে সকলের নিন্দা কুড়িয়েছেন- সেসবের মধ্যে যে দু’টি মন্তব্য বিশেষভাবে উল্লেখ করা যায়- তা হলো ১) মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে মুসলমানদের প্রবেশ নিষিদ্ধ করতে হবে এবং ২) দেশে অবস্থানকারী প্রায় দেড় কোটি অবৈধ অধিবাসীকে যুক্তরাষ্ট্র থেকে বহিষ্কার করতে হবে।
একজন ধনকুবের ব্যবসায়ী হিসেবে ডোনাল্ড ট্রাম্প যোগ-বিয়োগ হিসেব করেই কথাগুলো বলেছেন। সাদা চামড়ার যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকদের তারা যে দলেরই হোক তাদের সমর্থন আদায়ের জন্যই ট্রাম্পের এই উক্তিÑরাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা এমনটাই মনে করছেন। রিপাবলিকানদের একটা বড় শক্তি হলো ধর্মপ্রিয় মধ্যবিত্ত খ্রিস্টানদের তাদের পক্ষে প্রভাবিত করার জন্য চার্চের যাজক সম্প্রদায় ভূমিকা রাখেন। যুক্তরাষ্ট্রে চার্চের যাজকেরা ডেমোক্রেটদের চাইতে রিপাবলিকানদের পক্ষে রয়েছেন কারণ রিপাবলিকান সমর্থক ও নেতৃত্ব অবৈধ গর্ভপাত, অভিবাসীদের নাগরিকত্ব প্রদান ইত্যাদির বিরোধী। ডেমোক্রেটরা মনে করেন- গর্ভ যার সিদ্ধান্ত তার এবং মার্কিন অর্থনীতির প্রয়োজনেই অভিবাসীদের উপস্থিতি প্রয়োজন। বিশ্বায়নের প্রতিক্রিয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতিও যথেষ্ট ভেঙে পড়েছে। চীন, মেক্সিকো ও ভারত এসব দেশে প্রস্তুত সামগ্রী যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তুত দ্রব্যসমূহের তুলনায় অধিকতর সাশ্রয়ী হওয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের অনেক কলকারখানা বন্ধ হয়ে গেছে। বেড়েছে বেকারত্ব। ট্রাম্প কী পারবেন বা পারবেন না তা বলা যায় না। তবে পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে তিনি এটাও ঘোষণা করেছেন যে অসম বাণিজ্য দূর করে তিনি দেশের অর্থনীতি পুনরুজ্জীবিত করে তুলবেন। ডেমোক্রেট প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী হিলারি ক্লিনটন অর্থনৈতিক সংস্কার করার জন্য ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দিলেও তার বিরুদ্ধে যেসব কথা বলা হচ্ছে তার মধ্যে ডেমোক্রেট প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার অর্থনীতির চাঙ্গা করে তোলার ব্যর্থ প্রয়াসও রয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের ২৪০ বছরের মধ্যে এই প্রথম একজন নারী প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। নিউইয়র্কের সিনেটর একজন আইনজীবী ও প্রেসিডেন্ট ওবামার প্রথম চার বছর দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে হিলারির রয়েছে বিশাল অভিজ্ঞতা। এর আগে প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটনের স্ত্রী হিসেবে হিলারি আট বছর ছিলেন দেশের ফার্স্ট লেডি। যুক্তরাষ্ট্রের নারী সমাজকে আরো এগিয়ে নেয়ার সুযোগ তার হবে প্রেসিডেন্ট হিসেবে নির্বাচিত হলে।
এছাড়া ঘোষণা অনুযায়ী অভিবাসী হিস্পানিক ও অন্যান্য শ্রেণির অভিবাসীদের নাগরিকত্ব দানের প্রতিশ্রুতিও দিয়েছেন হিলারি। দেশের নারী ভোটার ও অভিবাসীদের ভোট হিলারিকে জয়যুক্ত হতে সাহায্য করতে পারে। জয়যুক্ত হলে ইতিহাস গড়বেন হিলারি। আট বছর আগে ডেমোক্রেট পার্টির মনোনয়ন দৌড়ে ওবামার কাছে পরাজিত হয়ে হিলারি নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ওবামার পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে চার বছর দায়িত্ব পালন করেছেন।
এই বছরের মনোনয়ন দৌড়ে হিলারি অভিজ্ঞ অন্য রাজনীতিক ডেমোক্রেট পার্টিরই সিনেটর বার্নি স্যান্ডারসকে হারিয়ে চূড়ান্তভাবে দলের মনোনয়ন লাভে সমর্থ হয়েছেন। ২৪০ বছরের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রে প্রতি চার বছর অন্তর নিয়মিত প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। অন্য কোনো নারী প্রার্থী প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে অংশগ্রহণ করনেনি। আট বছর আগেই মনোনয়ন পাওয়ার জন্য অনেকটা পথ পাড়ি দিয়েছিলেন হিলারি। কিন্তু রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট বুশের আট বছরের অপশাসনের বিরুদ্ধে সমালোচনার ঝড় বইয়ে দিয়ে ওবামা মনোনয়ন দৌড়ে এগিয়ে গেলে হিলারি নিচের প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে নিয়েছিলেন। বাক্যবাগিশ বারাক ওবামা পরিবর্তনের শ্লোগানকে পুঁজি করে নির্বাচনে জয়ী হয়েছিলেন। প্রেসিডেন্ট হিসেবে বারাক ওবামার জয়ও ছিল রেকর্ড স্থাপনকারী ঘটনা। এর আগে কৃষ্ণাঙ্গ কোনো প্রার্থী যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেননি। প্রেসিডেন্ট ওবামার আট বছরের শাসনামলে যুক্তরাষ্ট্রের জনগণের অর্থনৈতিক অবস্থা আরো শোচনীয়। বৈরী সিনেট তার অনেক কর্মসূচি পাস করতে দেয়নি। ওবামার শাসনামলে হাউস অব রিপ্রেজেনটেটিভস বা কংগ্রেসে সংখ্যাগরিষ্ঠতা থাকলেও পার্লামেন্টের উচ্চ কক্ষ বা সিনেটে ছিল রিপাবলিকানদের সংখ্যাগরিষ্ঠতা।
দেশের অর্থনীতির উন্নয়নে প্রেসিডেন্ট ওবামার ব্যর্থতার দায়ভার কাটিয়ে ওঠার গুরুদায়িত্বও বহন করতে হবে হিলারিকে। তারপরেও একটা সাধারণ প্রথা যা যুক্তরাষ্ট্রে গড়ে উঠেছেÑতা হচ্ছে কোনো দলের মনোনীত নির্বাচিত প্রেসিডেন্টকে পরপর চার বছর চার বছর এই আট বছরের বেশি সুযোগ না দিয়ে অন্য দলের মনোনীত প্রার্থীকে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত করা। যেহেতু প্রেসিডেন্ট ওবামার ঝুড়িতে সাফল্য খুব বেশি কিছু নেই তাই তার দলেরই মনোনীত প্রার্থীকে নির্বাচিত করার অর্থ হচ্ছে একনাগাড়ে বারো বছর এবং ২০১৬ সালে নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট চার বছরের মেয়াদ শেষে পুনরায় নির্বাচিত হলে একটানা ষোলো বছর ডেমোক্রেটদের দেশ শাসনের সুযোগ দেয়ার ব্যাপারে দেশের অধিকাংশ ভোটারদের কার্পণ্য না থাকলে তাতে অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না। তারপর ২০১৬ সালে অর্থাৎ এ বছরের নভেম্বর মাসে নির্বাচিত হলেও দেশের অর্থনীতির পুনরুজ্জীবনে কতটুকু সফল হবেন হিলারি তা সম্পূর্ণ অনিশ্চিত।
যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতিকে ২০০০ সাল থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত থেকে রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট জর্জ বুশ যেভাবে ধ্বংস করে দিয়ে গেছেন তাতে প্রেসিডেন্ট হিসেবে যে দলেরই প্রার্থী জয়ী হন না কেন দেশের অর্থনীতিকে পুনরায় ২০০০ সাল পূর্ব-সময়ের মতো পুনর্গঠন করা রীতিমতো অসম্ভব। যুক্তরাষ্ট্রের বাজেট ঘাটতি এখন বিশেষজ্ঞদের মতে ২০০০ কোটি ডলার। চলমান ইসলামিক স্টেটের বিরুদ্ধে যুুদ্ধেই যুক্তরাষ্ট্রকে ব্যয় করতে হচ্ছে প্রতিদিন এগারো কোটি ডলার। প্রেসিডেন্ট বুশের আমলে প্রথমে ইরাক ও পরে লিবিয়া থেকে যথাক্রমে প্রেসিডেন্ট সাদ্দাম ও প্রেসিডেন্ট গাদ্দাফিকে গদিচ্যুত থেকে শুরু করে ঐ অঞ্চলে বিরাট সৈন্যবাহিনীকে মোতায়েন রাখায় যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতির ওপর যেভাবে চাপ দেয়া হয়েছে তাতে অভ্যন্তরীণ বিভিন্ন সেবা খাতকে অনেক সংকুচিত করতে হয়েছে। ডেমোক্রেট বা রিপাবলিকান কোনো প্রেসিডেন্টর পক্ষেই এই অর্থনৈতিক অপচয়কে মোকাবেলা করে সুস্থ পরিস্থিতি পুনঃপ্রতিষ্ঠা করা সম্ভব নয়। ইরাক ও সিরিয়া আক্রমণের আগে আফগানিস্তান যুদ্ধেও যত সৈন্য পাঠানো হয়েছিল- প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার আগে বারাক ওবামার প্রতিশ্রুতি সত্ত্বেও আজ পর্যন্ত আফগানিস্তান থেকেও আমেরিকান সৈন্য প্রত্যহার পুরোপুরি করা সম্ভব হয়নি।
শুধু অর্থনীতির ক্ষেত্রেই নয়- প্রেসিডেন্ট ওবামার মধ্যপ্রাচ্যে থেকে সৈন্য প্রত্যাহার করার প্রতিশ্রুতিও শুধু বাগাড়ম্বরে পরিণত হয়েছে। ডেমোক্রেট দলীয় নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট আট বছরেও অর্থনীতি, ভূরাজনীতি ও পররাষ্ট্রনীতির ক্ষেত্রে যে ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছেন তারপরেও ২৪০ বছরের মধ্যে এই প্রথম একজন নারী প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী হিসেবে হিলারি ভোটারদের বিবেচনায় কতটুকু স্থান পাবেন তা একেবারেই অনিশ্চিত। তার ওপর রয়েছে রিপাবলিকান দলীয় প্রার্থী ধনকুবের ডোনাল্ড ট্রাম্পের দেশের আইনশৃঙ্খলা, অর্থনীতি ও বিশ্বে পুনরায় যুক্তরাষ্ট্রের ভাবমর্যাদা উজ্জ্বল করার অবাস্তব প্রতিশ্রুতি।
যুক্তরাষ্ট্রের বর্তমান অবস্থা যেভাবে তুলে ধরেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প তা হলো দেশে আইনশৃঙ্খলা বলতে কিছু নেই। কৃষ্ণাঙ্গ অস্ত্রধারীদের হাতে খুন হচ্ছে পুলিশ বাহিনীর সদস্যেরা, শ্বেতাঙ্গ মার্কিন তরুণদের কাজ বাগিয়ে নিচ্ছে রবাহুত অভিবাসীরা, বহির্বিশ্বে যুক্তরাষ্ট্রের মর্যাদা ভূলুন্ঠিতÑএসব কিছুই হচ্ছে ডেমোক্রেট কৃষ্ণাঙ্গ প্রেসিডেন্টের জন্য। তাই সকল পরিস্থিতি সামাল দেয়ার জন্য প্রয়োজন একজন রিপাবলিকান দলীয় শক্ত-সমর্থ প্রেসিডেন্টের যা হচ্ছেন তিনি। ২০০৮ সালে পরিবর্তনের ধোঁয়া তুলে নির্বাচিত হয়েছিলেন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা। তার সৃষ্ট জঞ্জাল সরাতে এখন প্রয়োজন একজন রিপাবলিকান দলীয় প্রেসিডেন্ট। ডোনাল্ড ট্রাম্প নিজে কোনো রাজনীতিবিদ না হয়েও রিপাবলিকান দলীয় প্রেসিডেন্ট মনোনয়ন প্রার্থীদের পরাজিত করে মনোনয়নের দৌড়ে তিনি জয়ী হয়েছেন। এতে তার পুঁজি ছিল নগদ অর্থ ও বাগাড়ম্বর। কোনো অভিজ্ঞ রাজনীতিবিদ এমন প্রতিশ্রুতি কখনই দিতেন না যে তিনি নির্বাচিত হলে রাতারাতি দেশের অবস্থার আমূল পরিবর্তন করে ফেলবেন। মধ্য ও পশ্চিম যুক্তরাষ্ট্রের কয়েকটি রাজ্যে রিপাবলিকানদের সমর্থন তুলনামূলকভাবে বেশি থাকায় ট্রাম্প অন্তত ১০/১১টি রাজ্যে তার বিপুল জয়ের কথা ভেবে উল্লসিত। কিন্তু মার্কিন নারী সমাজের মধ্যে ইতিহাসের প্রথম নারী প্রার্থীর পক্ষে ভোট দেয়ার উচ্ছ্বাস তার সকল সম্ভাবনা নষ্ট করে দিতে পারে। অন্যদিকে দেশের অর্থনীতির বেহাল অবস্থাÑ ওবামা প্রশাসনের মধ্যেপ্রাচ্যের দেশগুলো থেকে মার্কিন সৈন্য প্রত্যাহারের ব্যর্থতা ও আট বছর পর রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট প্রার্থীকে জয়ী করার ইচ্ছা হিলারির অন্তত আট-নয় বছরের প্রেসিডেন্ট হওয়ার স্বপ্নকে বিফলে পরিণত করতে পারে।
য় লেখক : গবেষক ও প্রাবন্ধিক



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয়-পরাজয়ের ফ্যাক্টরগুলো
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ