রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
বন্যায় সিরাজগঞ্জে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতরের ২৭৪ কিলোমিটার সড়ক এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ১৪৫টি মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিক, মাদরাসা ও ৬০টিরও বেশি প্রাথমিক বিদ্যালয় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। চলতি মৌসুমে বন্যা দীর্ঘায়িত হওয়ায় সিরাজগঞ্জের ৭ উপজেলায় গ্রামীণ সড়ক ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ক্ষতির পরিমাণ ৬৭ কোটি টাকা। এ হিসাব সিরাজগঞ্জ স্থানীয় সরকার অধিদফতর (এলজিইডি) ও জেলা শিক্ষা অফিসের।
সিরাজগঞ্জ এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী মিজানুর রহমান জানান, চলতি বন্যায় জেলায় মোট ২৭৪ কিলোমিটারের মতো গ্রামীণ ও আঞ্চলিক সড়কের ক্ষতি হয়েছে। এখনো সব জায়গা থেকে পানি না নামায় সম্পূর্ণ ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণ করা সম্ভব হয়নি। তবে এই ক্ষতির পরিমাণ আরও বাড়বে। বন্যার পানি সম্পূর্ণ নেমে গেলে এখন পর্যন্ত সড়কগুলোতে যে ক্ষতি হয়েছে তাতে মেরামত বাবদ অন্তত ৬১ কোটি টাকা লাগবে। মেরামতের জন্য আমরা কর্তৃপক্ষকে অবগত করেছি। বরাদ্দ পেলে দ্রুত কাজ শুরু করা হবে।
সিরাজগঞ্জ জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. শফিউল্লাহ জানান, বন্যা দীর্ঘস্থায়ী হওয়ায় জেলার ১৪৫টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পানি ওঠায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এই ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ৬ কোটি টাকা। ক্ষতিগ্রস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের তালিকা সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট অধিদফতরে পাঠানো হয়েছে। বরাদ্দ পেলে ও বন্যার পানি সম্পূর্ণ নেমে গেলে ক্ষতিগ্রস্ত প্রতিষ্ঠানগুলো সংস্কার করা হবে।
সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী এ কে এম রফিকুল ইসলাম জানান, জুনের শেষের দিকে যমুনার পানি সিরাজগঞ্জ ও কাজিপুরে বাড়তে থাকে। ২৮ জুন উভয় পয়েন্টেই বিপদসীমা অতিক্রম করে। এরপর ৪ জুলাই থেকে আবার কমতে শুরু করে এবং ৬ জুলাই বিপদসীমার নিচে নেমে যায়। ৯ জুলাইয়ের পর ফের দ্রুত বাড়তে থাকে এবং ১৩ জুলাই যমুনার পানি ২য় দফায় বিপদসীমা অতিক্রম করে কাজিপুর ও সিরাজগঞ্জ পয়েন্টে। টানা ২৫ দিন পর ৭ আগস্ট যমুনার পানি উভয় পয়েন্টেই বিপদসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হতে শুরু করে। ১১ আগস্ট পর্যন্ত কমতে থাকলেও ১২ আগস্ট থেকে আবারও পানি বাড়তে শুরু করে। ২০ আগস্ট পর্যন্ত বাড়তে থাকে এবং একপর্যায়ে বিপদসীমার কাছাকাছি চলে আসে। তবে ২১ আগস্ট থেকে আবারও পানি কমতে শুরু করে। টানা ১২ দিন ধরে কমার পর ২ সেপ্টেম্বর আবারও বাড়তে থাকে। তবে ১০ সেপ্টেম্বর থেকে পানি কমতে শুরু করেছে। বর্তমানে যমুনার পানি বিপদসীমা অতিক্রমের সম্ভবনা নেই। বৃষ্টিপাত কমলেই দ্রুত গতিতে পানি কমবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।