রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
জহিরুল খলিফা (৩৪) হত্যার ঘটনায় নতুন রহস্য উদঘাটন হয়েছে। ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী একই গ্রামের মোতাহার গাজীর ছেলে রিকশা চালক মো. সোবাহান গাজী (৩০) বর্তমানে মানসিকভাবে ভারসাম্যহীন।
রিকশা চালক মো. সোবাহান গাজী (৩০) জহিরুল খুনের ঘটনাটি দূর থেকে দেখার বিষয়টি ঘাতকরা টের পায়। পরের দিন গোপনে খুনিরা তাকে মেরে ফেলার হুমকি-ধামকি দেয় এবং ঘটনাটি প্রকাশ না করার জন্য বলে। বর্তমানে সোবাহান মানসিকভাবে বিপর্যয় হয়ে পড়েছে। নিহত জহিরুলের একই বাড়ির নাসির উদ্দিন খলিফার কাছে ঘটনাটি বিবরণ বলেছে।
এতে গত বৃহস্পতিবার সোবাহান জানান, ২৯ আগস্ট রাতে জহিরুলের হত্যার বিষয়ে আমি সব জানি। আমি গলাচিপা মেয়র আহসানুল হক তুহিন, থানার অফিসার ইনচার্জ ও জহিরুলের চাচা বাহাউদ্দিন খলিফা (৪৩)র কাছে সব কিছু খুলে বলব। তোমাদের কাছে বললে ঘাতকরা আমাকে হত্যা করে বাড়ির দক্ষিণ পাশে কচুরিপানার খালে অথবা বাবার কবরের পাশে ফেলে রাখবে। আমি আর বাঁচবো না বলে বারবার বিলাপ করছে। এসব কথাগুলো কান্না জড়িত কন্ঠে বলে উপস্থিত নাসির উদ্দিন খলিফার কোলে হেলে পড়ে। কথার ফাঁকে সে এলাকার ইউপি সদস্য মো. গোলাম হোসেন খলিফা, মো. জাসরুল খলিফা, মো. তাজুল খলিফা ও বিপ্লব গাজীর নাম মুখ থেকে বেড়িয়ে আসে। এদের আইনে আওতায় এনে হত্যায় জড়িতদেরকে বের করা সম্ভব হবে বলে উপস্থিত লোকদের ধারণা। মো. সোবাহান গাজীর সাথে প্রায় ২২ মিনিট কথা হয়েছিল। সকল কথাগুলো রেকর্ড করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে মামলার তদন্ত অফিসার মো. সাইফুর রহমান জানান, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট না পৌঁছা পর্যন্ত আমি এখন কিছু বলতে পারব না।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।