প্রাক্তন প্রেমিকের নির্যাতনের শিকার অভিনেত্রী
মালায়ালাম সিনেমার অভিনেত্রী আনিকা বিক্রমন। প্রাক্তন প্রেমিক অনুপ পিল্লাই তাকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করেছেন বলে অভিযোগ
গেল কয়েকমাস ধরেই খবরের শিরোনামে উঠে আসছেন কঙ্গনা রানাউত। সুশান্তের মৃত্যুকে কাজে লাগিয়ে একের পর এক বিস্ফোরক মন্তব্য করেই চলেছেন অভিনেত্রী। এর জন্য অবশ্য বেশ আলোচিত-সমালোচিত হচ্ছেন। তবে কোনোকিছুর তোয়াক্কা না করে তিনি তার বিতর্কিত কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছেন। এবার সোশ্যাল মিডিয়ায় সাংবাদিককে প্রকাশ্যে হুমকি দিয়ে বিপাকে পড়েছেন 'কুইন' খ্যাত এই চিত্রতারকা।
সম্প্রতি কঙ্গনার বিরুদ্ধে অভিযোগ এনে সাংবাদিক কমলেশ সুতার বলেন, গত বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি প্রার্থীর মহারাষ্ট্র সরকারের শিবসেনাকে ভোট দেওয়ার বিষয়ে কঙ্গনা মিথ্যা বলেছিলেন। তবে নায়িকার কথায়, 'বিজেপির সমার্থক হয়েও শিবসেনাকে ভোট দিতে চাননি তিনি। কিন্তু জোর করে তাকে ভোট দিতে হয়েছে।'
এ প্রসঙ্গ টেনে কমলেশ আরও বলেন, 'কঙ্গনা পশ্চিম বান্দ্রার ভোটার। আর তার এলাকায় যে আসন সেখানে বিজেপি প্রার্থী আশীষ শেলার এবং বিজেপির পুনম মহাজন লোকসভা নির্বাচনে একে অপরের প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন। তিনি যদি ২০১৪ সালের কথা বলেন তাহলে লোকসভা নির্বাচনে একই প্রার্থীরা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিল। সুতরাং বিধানসভার নির্বাচনে বিজেপির পক্ষে তার ভোট দেওয়ার বিকল্প ছিল।'
মূলত এরপরই ওই সাংবাদিকের ওপর চেটে যান কঙ্গনা রানাউত। সোশ্যাল মিডিয়ায় কমলেশকে হুমকি দিয়ে নায়িকা লেখেন, 'আপনি আমাকে জড়িয়ে বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়াচ্ছেন। এই সস্তা ট্রোলের মূল্য আপনাকে দিতে হবে। শুধু তাই নয়, খুব শিগগিরই আপনাকে আইনি নোটিশ পাঠাবো। এই তথ্য প্রমাণ করতে না পারলে আপনাকে জেলেও যেতে হতে পারে।'
কঙ্গনার এই মন্তব্যটি নিজের টুইটারে শেয়ার করেন সাংবাদিক কমলেশ সুতার। সেই টুইটটি ভাইরাল হয়ে যেতেই কঙ্গনার বিরুদ্ধে সরব হয়েছে মুম্বাই প্রেস ক্লাব। এরই মধ্যে তারা একটি বৈঠক করে অভিনেত্রীর মন্তব্যের নিন্দা জানিয়েছে। পাশাপাশি কঙ্গনার বিরুদ্ধে পরবর্তী পদক্ষেপ নিতে প্রস্তুতিও গ্রহণ করেছে মুম্বাই প্রেস ক্লাব।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।