পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
আসন্ন উপ-নির্বাচনে জয়ের ব্যাপারে শতভাগ আশাবাদি আওয়ামী লীগ। কিন্তু এমপি বিরোধী হিসেবে পরিচিত নেতারা নৌকার মনোনয়ন পাওয়ায় এমপি পরিবার এবং তাদের অনুসারি নেতাকর্মীরা প্রার্থীর পক্ষে কাজ না করার সম্ভবনা দেখা দিয়েছে। ইতোমধ্যে ঢাকা-৫ এবং পাবনা-৪ এ সাবেক এমপির নেতাকর্মীদের সাথে দলের মনোনিত প্রার্থীর কর্মীদের মধ্যে সংঘাতের ঘটনাও ঘটেছে। এছাড়া দলীয় শৃঙ্খলার অভাবে প্রার্থীর ছড়াছড়ি ছিল আসনগুলোতে। তাই কোন্দল-সংঘাত নিরসন করা এবং সকল প্রার্থীকে এক কাতারে এনে নির্বাচনে কাজে লাগাতে চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে ক্ষমতাসীনরা।
সূত্র জানায়, দীর্ঘ দিন ধরে চলে আসা এমপির লোকজনদের প্রভাবে যেসব নেতারা ক্ষতিগ্রস্থ ছিলেন, যাদের কোনঠাসা করে রাখা হয়েছিল সে সকল নেতাকর্মীরা এখন প্রতিশোধ পরায়ন হয়ে উঠেছে। এতোদিন এমপির ক্ষমতার দাপটের কারণে এমপিবিরোধী নেতারা নানা অন্যায় সহ্য করা ও নির্যাতনের শিকার হলেও ক্ষমতার পরিবর্তনে শোধ নিচ্ছেন এখন। বর্তমানে উল্টোচিত্র ধারণ করেছে প্রত্যেকটি আসন।
৫টি আসনের উপ-নির্বাচনে সমন্বয় করার জন্য ইতোমধ্যে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতাদের দিয়ে সমন্বয় কমিটি করেছে আওয়ামী লীগ। দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতারা ইতোমধ্যে নির্বাচনী কাজ শুরু করেছেন এবং প্রত্যেক প্রার্থীকে মাঠে কাজ করার জন্য নির্দেশনা দিয়েছেন। অভ্যন্তরীণ কোন্দল নিরসনেও কাজ শুরু করেছেন তারা।
জানা যায়, একেকটি আসনে ২০ থেকে ৫৬ জন প্রার্থী মনোনয়ন ফরম কিনেছিলেন। এর মধ্যে ঢাকা-৫ আসনে মনোনয়ন বিক্রি হয়েছে ২০টি, ঢাকা-১৮ আসনে ৫৬টি, নওগা-৬ আসনে ৩৪, পাবনা-৪ আসনে ২৮ এবং সিরাজগঞ্জ-১ আসনে ৩টি। সিরাজগঞ্জ-১ ও ঢাকা-১৮ বাদে অন্য আসনের মনোনয়ন ঘোষণা করা হয়েছে। ঢাকা-৫ এ কাজী মনিরুল ইসলাম মনু, নওগাঁ-৬ এ আনোয়ার হোসেন হেলাল ও পাবনা-৪ এ নুরুজ্জামান বিশ্বাসকে মনোনয়ন দেয়া হয়েছে। আগামী ১৭ অক্টোবর ঢাকা-৫ এবং নওগা-৬ আসনের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
কেন্দ্রীয় নেতারা সকল প্রার্থীদের মাঝে সমন্বয় করার ক্ষেত্রে বেগ পাচ্ছেন। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে দলের মনোনিত প্রার্থীকে মেনে নিচ্ছেন না অন্য প্রার্থীরা। ১৪ সেপ্টেম্বর পাবনা-৪ আসনের উপ নির্বাচনে দলীয় প্রতিনিধি সভায় প্রার্থীদের অভ্যন্তরীণ কোন্দলে সংঘর্ষে কমপক্ষে ২৫ জন আহত হয়েছেন। ঈশ্বরদী উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
এর আগে ১৩ সেপ্টম্বর ঢাকা-৫ আসনে প্রয়াত এমপি হাবিবুর রহমান মোল্লার ঘনিষ্ট ঢাকা দক্ষিণ সিটির ৬৪ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মাসুদুর রহমান মোল্লা বাবুলের কর্মীদের সাথে পূর্ব দ্বন্দের জেরে মারামারি হয়েছে প্রতিদ্ব›িদ্ব পরাজিত কাউন্সিলর প্রার্থী চপলের কর্মীদের সাথে। চপল এখন দলীয় প্রার্থী কাজী মনিরুল ইসলাম মনুর ঘনিষ্ট। একটি ক্লাবের দখলকে কেন্দ্র করে কাউন্সিলর মাসুুদুর রহমান মোল্লার ছেলের বন্ধুদের কুপিয়েছে চপলের কর্মীরা। চপলের বন্ধু ডেমরা থানা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি আবেদের নেতৃত্বে হামলা হয়। এতে প্রান্ত নামের একজনকে মাথায় রাম দা দিয়ে কোপানোর অভিযোগ করেছেন কাউন্সিলর মাসুদুর রহমান মোল্লা। এছাড়া আরো আটজনকে মারধর করা হয়।
নির্বাচনে দলীয় শৃঙ্খলা বজায় রেখে জয়লাভ করাকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখছে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতারা। দলের সম্পাদকমন্ডলীর একজন সদস্য বলেন, এমপি বিরোধীরা মনোনয়ন পাওয়ায় ক্ষমতার সমীকরণ পরিবর্তন হয়েছে। যারা কোনঠাসা ছিল তারা এখন প্রভাব বিস্তার করতে চাচ্ছেন। অতীতের বিভিন্ন কর্মকান্ডের প্রতিশোধও নেয়ার চেষ্টা করছেন। দলের শৃঙ্খলা রক্ষা করাটাই এখন বেশি জরুরী হিসেবে কেন্দ্র থেকে নির্দেশনা দেয়া হচ্ছে। সকল প্রার্থীদের সঙ্গে বসে সমস্যা সমাধান করা হচ্ছে এবং নতুন করে কেউ যেন প্রভাব বিস্তার করে অপকর্ম না করতে পারে সে বিষয়েও মনিটরিং করা হচ্ছে।
এ বিষয়ে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন বলেন, যিনি নৌকার মনোনয়ন পেয়েছেন তার পক্ষে সকল প্রার্থী কাজ করবে এটাই আওয়ামী লীগের রীতিনীতি। তবে যারা দলের শৃঙ্খলা বিরোধী কাজ করবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোরভাবে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।