পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
মানবপাচার, অর্থ পাচার, ঘুষ প্রদান এবং রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকির অভিযোগে কুয়েতের কারাগারে আটক বাংলাদেশের লক্ষীপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য শহীদ ইসলাম পাপুল। তার মুক্তির জন্য করা একটি আবেদন শুনানি শেষে নাকচ করে দিয়েছে কুয়েতের আদালত। গতকাল কুয়েতের দৈনিক আল-কাবাসের খবরে পাপুলকে ‘বাঙালি এমপি’ সম্বোধন করে এ তথ্য জানানো হয়।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার কুয়েতের অপরাধ বিষয়ক আদালতের কাউন্সিলর আব্দুল্লাহ আল-ওসমানের আদালতে শহীদ ইসলাম পাপুলের বিচার শুরু হয়। বিচারক মামলার কার্যক্রম স্থগিত করে আগামী পহেলা অক্টোবর পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করেছেন। পাশাপাশি এই মামলায় অভিযুক্ত আরও তিন বাংলাদেশি নাগরিককে আদালত আটকের নির্দেশ দিয়েছেন। যারা পূর্বে এই মামলা থেকে অব্যাহতি পেয়েছিলেন। এ নিয়ে এই মামলায় আটক বাংলাদেশির সংখ্যা দাড়াঁলো পাঁচ জনে।
পাপুলের কাছ থেকে ঘুষ গ্রহণের অভিযোগে অভিযুক্ত দুই কুয়েতি এমপি আদালতে উপস্থিত ছিলেন না। তাদের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ অস্বীকার করেন পাপুল।
এর আগে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম বিবিসির খবর পাপুলের বিচার শুরুর কথা জানানো হয়। গত ৬ জুন মানবপাটার ও অর্থ পাচারের অভিযোগে ল²ীপুর-২ আসনের স্বতন্ত্র এমপি পাপুলকে গ্রেপ্তার করার নির্দেশ দেয় কুয়েতের সরকারি কৌঁসুলিরা। ওই সময় তাকে গ্রেফতার করা হয়। এ সময় তার প্রতিষ্ঠানের একজন হিসাবরক্ষকসহ কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরবর্তীতে তার বিপুল পরিমান ব্যাংক একাউন্ড জব্দ করা হয়।
ওই সময় গত আল-কাবাস এক প্রতিবেদনে জানায়, পাপুল তার বিরুদ্ধে আনা সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তবে তিনি বলেছেন, কুয়েতের তিনজন সিনিয়র কর্মকর্তাকে বন্ধুত্বের নিদর্শনস্বরূপ ৫০ হাজার দিনার বা এক লাখ ৬৩ হাজার ৩৮৮ ডলার উপহার দিয়েছিলেন।
পাপুলকে গ্রেপ্তারের পাশাপাশি তার মারাফি কুয়েতিয়া কোম্পানির অ্যাকাউন্টে পাঁচ মিলিয়ন কুয়েতি দিনার বা বাংলাদেশি টাকায় ১৩৭ কোটি ৮৮ লাখ ৮৩ টাকা জব্দ করা হয়েছে। কুয়েত আদালতে অভিযোগ প্রমাণিত হলে কি সাজা হবে পাপুলের। কুয়েতের ২০১৭ সালের এক মামলার রায়ে বিস্তারিত উল্লেখ করা হয়। দেশটির আইন অনুযায়ী অর্থপাচার প্রমাণিত হলে ৭ বছরের সাজা হবে পাপুলের। সেই সাথে মানবপাচার প্রমাণিত হলে সাজা হবে ১৫ বছর। আর সেক্সুয়াল মানবপাচার প্রমাণিত হলে সাজা হবে যাবজ্জীবন কারাদন্ড।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।